Advertisement
Advertisement
Dilip Ghosh Anirban Bhattacharya

‘রসিকতা যেন শালীনতার মাত্রা না ছাড়ায়’, অনির্বাণের ‘হুলিগানিজম হুলে’ কড়া হুঁশিয়ারি দিলীপ ঘোষের!

অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে 'বাকস্বাধীনতা'র পাঠ প্রবীণ পদ্মনেতার।

Dilip Ghosh reacts to Anirban Bhattacharya's band song
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:September 4, 2025 5:47 pm
  • Updated:September 4, 2025 5:47 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘হুলিগানিজম’-এর হুলে আক্রান্ত নেটভুবন! রবিবার মিলনমেলা প্রাঙ্গনের অনুষ্ঠানে বঙ্গ রাজনীতির ‘তিন ঘোষ’কে একসূত্রে গেঁথে যেভাবে কণ্ঠ ছেড়েছিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, সেই ক্যামেরাবন্দি মুহূর্ত নিয়েই দিন দুয়েক ধরে নেটপাড়ায় শোরগোল। টলিউডের অভিনেতা-পরিচালক তথা গীতিকার-গায়কের পলিটিক্যাল স্যাটায়ার মূলক গান নিয়ে বিতর্কও তুঙ্গে! বিশেষ করে তোলপাড় রাজনৈতিকমহল। কুণাল ঘোষ, শতরূপ ঘোষের পাশাপাশি অনির্বাণের কথা ও সুরের নিশানায় দিলীপ ঘোষও। যদিও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এবং বামনেতা শতরূপ ঘোষ হাস্যরসে মোড়া এই গানের ভাবনাকে প্রশংসায় ভরিয়েছেন, তবে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ সম্ভবত বিষয়টিকে মোটেই ভালো মনে নেননি!

Advertisement

এদিন ব্যান্ডের উর্দি গায়ে মঞ্চে একের পর এক বোমা ফাটালেন অনির্বাণ! ব়্যাপের আঙ্গিকে গানের কথার ছত্রে ছত্রে রাজনীতির কারবারিদের নাম নিতে শোনা যায় অভিনেতাকে। ততোধিক উল্লাসে ফেটে পড়েন নিচে দাঁড়িয়ে থাকা শ্রোতা-দর্শক। কী এমন শব্দচয়ন ছিল সেই গানে? মঞ্চে পারফরম্যান্সের মাঝেই অনির্বাণকে বলতে শোনা যায়, “ভাই আর এক ঘোষও আছে। দাদা খুবই রোম্যান্টিক। ঘোষ দিয়ে যায় চেনা। গয়না-দোকান সব তুলে দাও গরুর দুধে সোনা!” উল্লেখ্য, ‘হুলিগানিজম’-এর নতুন এই গান নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় কোনওরকম প্রতিক্রিয়া না দিলেও এবার এক সংবাদমাধ্যমের কাছে এপ্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন দিলীপ ঘোষ।

প্রবীণ বিজেপি নেতার মন্তব্য, “বাকস্বাধীনতা তো সকলের আছে তবে, শালীনতার মাত্রা যেন না ছাড়ায়। রসিকতা যেন শালীনতার বাইরে না যায় কিংবা কারও আদর্শ বা নীতিতে আঘাত না করে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। শুধুমাত্র জনপ্রিয়তা এবং মনোরঞ্জনের জন্য যাকে যা ইচ্ছে বলার অধিকার কারও নেই। সে বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।” যদিও কুণাল ঘোষ অনির্বাণের এহেন পলিটিক্যাল স্যাটায়ারে মোটেই রাগ করেননি। বরং সেই গানের ক্যামেরাবন্দি মুহূর্ত শেয়ার করে খোদ অভিনেতা-পরিচালক-গায়কের ঢালাও প্রশংসা করেছেন। তৃণমূল নেতার মন্তব্য, “অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যর নতুন ব্যান্ড ‘হুলি-গান-ইজম’ এর গানের অংশ। আমার মজা লেগেছে, ভালো লেগেছে। গানের ধরণ, উপস্থাপনাও উপভোগ করলাম। একটু তির্যক? তাতে কী! কুণাল ঘোষ এসব মজা নিতে জানে। ভালো থেকো অনির্বাণ।” এমনই সুর শতরূপ ঘোষের কণ্ঠেও। শতরূপের মন্তব্য, “আমরা সবসময় চাই শিল্পীরা পলিটিক্যাল স্ট্যান্ড নিক। তাঁদেরও রাজনৈতিক মতামত থাক। আমার নাম নিয়েছে আমি কৃতজ্ঞ। তাতে যদি কোনও তির্যকতা থেকে থাকে, আমরা মনে করি, আমাদের সমালোচনা শিল্পের মাধ্যমে উঠে আসতেই পারে।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ