সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেশওয়ারের প্রাণকেন্দ্র কিসসা খাওয়ানি বাজার। ১৯১৮ থেকে ১৯২২ সালের মধ্যে সেখানেই কাপুর হাভেলি তৈরি করেছিলেন দিওয়ান বিশ্বেশ্বরনাথ কাপুর। ঠাকুরদার তৈরি বাড়িতেই জন্মেছিলেন রাজ কাপুর। পরে ভাগ্যের ফেরে এসে উপস্থিত হন আরব সাগরের তীরে। সেখান থেকেই শুরু হয় গ্ল্যামার জগতের যাত্রা। একই পথের পথিক ছিলেন তাঁরই পাড়ার সুদর্শন যুবক মহম্মদ ইউসুফ খান। সারা ভারত যাকে চেনে দিলীপ কুমার নামে। কিংবদন্তি এই দুই অভিনেতার পূর্বপুরুষের ভিটে সংস্কারের কাজ শুরু করল পাকিস্তান সরকার।
ইসলামাবাদের প্রত্নতত্ত্ব দপ্তরের পরিচালক ড. আবদুস সামাদ জানিয়েছেন, সাত কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে রাজ কাপুর ও দিলীপ কুমারের পৈতৃক ভিটের সংস্কারকার্যের জন্য। আগামী দুই বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৩ জুলাই তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এই বাড়িগুলোকে জাতীয় ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করেন। খবর, সোমবারই খাইবার-পাখতুনখাওয়া সরকারের তরফে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। জানা গেল, প্রত্নতত্ত্ব দপ্তর দুই কিংবদন্তী অভিনেতার বাড়িগুলির প্যাটার্নে কোনওরকম বদল আনতে চাইছেন না। দিলীর কুমার এবং রাজ কাপুর দুজনের পৈতৃক ভিটেই বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকের ঔপনিবেশিক প্রভাব প্রতিফলিত করে। আর তাই খুব যত্ন করে সংস্কারের কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে এমন স্থাপত্য নষ্ট না হয়।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের পরিচালক আবদুস সামাদের মন্তব্য, এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল পাকিস্তানের ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা এবং হেরিটেজ ট্যুরিজমকে আরও উৎসাহিত করা। তাঁর সংযোজন, এই সংস্কার কার্যের ফলে স্থানীয় অনেকের কর্মসংস্থান হবে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলেও আশাবাদী তিনি। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের ব্যস্ততম জায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম কিসসা খাওয়ানি বাজার। শোনা যায়, কয়েক বছর আগেই হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছিল রাজ কাপুর ও দিলীপ কুমারের স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি দু’টিকে। তা সত্ত্বেও একদল মানুষ বাড়ি দু’টি ভেঙে তার বদলে অত্যাধুনিক প্লাজা তৈরি করতে চেয়েছিল। সেসব রুখতেই এবার দুই কিংবদন্তী ভারতীয় অভিনেতার বাড়ি দুটিকে মিউজিয়ামে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.