Advertisement
Advertisement
Celebrity Der Durga Puja

‘দেশের বাড়িতে কাঞ্চন-কৃষভিকে নিয়ে অষ্টমীর অঞ্জলি, দশমীতে ঋতুদির সঙ্গে সিঁদুরখেলা’, জমজমাট শ্রীময়ীর পুজো

প্রথম পুজোয় ৫০টির বেশি জামা হল কৃষভির! কী জানালেন মা শ্রীময়ী?

Durga Puja 2025: Kanchan, Sreemoyee's Durga puja plan with krishvi
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:September 27, 2025 5:25 pm
  • Updated:September 27, 2025 5:33 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবা-মা হওয়ার পর প্রথম পুজো। তাই কৃষভিকে ঘিরে হাজারো প্ল্যান কাঞ্চন-শ্রীময়ীর। মেয়ের জন্য সেই আগস্ট থেকেই শপিং শুরু হয়েছে। উপরন্তু পঁচিশের পুজো তাঁদের কাছে স্পেশাল হওয়ার আরেকটি কারণ ‘রক্তবীজ ২’। যে ছবিতে সেলেব দম্পতি রয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। সেই প্রেক্ষিতে ‘রক্তবীজ ২’-এর প্রচার দিয়েই উৎসব উদযাপন শুরু হয়েছে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর। চতুর্থীর প্রিমিয়ারের পর ষষ্ঠী টু দশমী কী প্ল্যান? সংবাদ প্রতিদিন-এর সঙ্গে ভাগ করে নিলেন শ্রীময়ী চট্টরাজ।

Advertisement

মাতৃত্বের প্রথম পুজো। কেমন অনুভূতি? শ্রীময়ী বলছেন, “আগেরবার কৃষভি গর্ভে ছিল, এবার আমার কোলে চড়ে ঠাকুর দেখবে।” কোথায় কোথায় ঠাকুর দেখার প্ল্যান রয়েছে? মেয়ে ভিড়ে কতটা ঠিক থাকবে- মনে সেই চিন্তা নিয়েই কড়চা ঘেঁটে অভিনেত্রী জানালেন, প্যান্ডেল হপিং বলতে কলকাতার বাঁধা-ধরা কিছু পুজো রয়েছে। সেগুলি দেখবই। তালিকায় উত্তর কলকাতার কাশীবোস লেন, হাতিবাগান সর্বজনীন, নবীন পল্লী মাস্ট! তার পর? অষ্টমী-নবমীতে সপরিবারে কাঞ্চনের গন্তব্য শ্বশুরবাড়ির দেশের বাড়ি। শ্রীময়ী বললেন, “মুর্শিদাবাদে আমার বাবার আদি বাড়িতে সাড়ে তিনশো বছরের পুজো। কলাবউ স্নান, সন্ধিপুজো থেকে সিঁদুরখেলা সব রীতি মেনে হয় প্রতিবার। এবারে কাকা-কাকিমা-সহ আমাদের অন্যান্য আত্মীয়রাও আসছেন গ্রামের পুজোয়। তাই আমারও ইচ্ছে রয়েছে কাঞ্চন-কৃষভিকে নিয়ে যোগ দেওয়ার। আসলে সারাবছর তো পরিবারের সকলে একসঙ্গে হওয়া হয় না। তবে এবার পুজোয় আমাদের ‘বিগ ফ্যাট হ্যাপি ফ্যামিলি’ একছাদের তলায় জড়ো হবে। দাদুরা ন’ ভাই। অতঃপর বাবা-কাকাদের পর আমাদের প্রজন্ম মিলিয়ে অনেক লোক।”

Kanchan-Sreemoyee in Raktabeej 2
ছবি: ফেসবুক

শ্রীময়ীর কাছে অষ্টমীর অঞ্জলী মানেই লাল শাড়ি। এবারও সেই ধারা বজায় রাখছেন তিনি। আর বাকি দিনগুলি? অভিনেত্রীর সংযোজন, “পুজোর জন্য যা শপিং করেছিলাম। দিন কয়েক আগে থেকেই সেগুলি পরা শুরু হয়ে গিয়েছে আমার। কাঞ্চনের জন্যেও লাল পাঞ্জাবি বানিয়েছি। অষ্টমীতে পরবে। শাড়ি যেহেতু আমার নেশা, তাই পশ্চিমী পোশাকের থেকে আমার সম্ভারে ঐতিহ্যবাহী পোশাক-আশাকের পাল্লাই ভারী। আর দশমীতে সাদা-লাল শাড়ি পরব।” প্রথম পুজোয় কৃষভির কতগুলো জামা হল? মা শ্রীময়ী জানাচ্ছেন, পঞ্চাশ-ষাটটা জামা হবে! আগের জামাগুলো একটাও গায়ে আঁটছে না বেচারির। সবকটা নতুন! প্রথম ওর জন্যেই জামা কেনা হয়েছে। আগস্ট মাস থেকে ওর শপিং শুরু করেছি। যখন যা ট্রেন্ডি দেখেছি, কিনে নিয়েছি। ফ্যান্সি পোশাক আবার মেয়ে গায়ে রাখতে চায় না, অস্বস্তি হয় বলে। কাঞ্চন আমাকে বলছে- এত জামা সকাল-বিকেল পরিয়েও শেষ হবে না। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব যে-ই আসছেন, সকলে আদর করে কৃষভির জন্য জামা, অ্যাকসেসরিজ নিয়ে আসছেন।

পুজোর কোন বিষয়টি সবথেকে বেশি উপভোগ করেন? তড়িৎগতিতে শ্রীময়ীর উত্তর, “আমার কাছে স্পেশাল আকর্ষণ সিঁদুরখেলা। বিয়ের আগে প্রতিবার বাগবাজারের সিঁদুরখেলা উপভোগ করতাম। তখন তো মাকে বরণ করতে পারতাম না। আমাদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ম, অবিবাহিতরা সিঁদুর খেলতে পারে না। গতবছর খেলেছি। এবছর দেশের বাড়িতে থাকলে ওখানে কৃষভিকে নিয়ে সিঁদুর খেলব। তবে সেটা হয়তো হবে না। কারণ দশমীতে ঋতুদির (ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত) সঙ্গে সিঁদুরখেলার প্ল্যান রয়েছে। এছাড়াও, ওঁর ছায়াসঙ্গী, শর্মিষ্ঠাদির বাড়িতে দুর্গাপুজোর আমন্ত্রণ রয়েছে আমাদের। একদিন ওখানে যাব সপরিবারে। পাশাপাশি আমাদের পাড়ায় কাঞ্চনের কিছু বন্ধুবান্ধব রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে আড্ডা, ভোগ খাওয়া এগুলো মাস্ট!”

ছবি ফেসবুক

পুজো মানেই তো কবজি ডুবিয়ে খানাপিনা। উপরন্তু শ্রীময়ী দারুণ রাঁধুনি। পুজোর কোনও একদিন রান্না করার প্ল্যান রয়েছে? অভিনেত্রী জানালেন, পুজোর চারদিন আমি বাড়িতে খেতে একদম পছন্দ করি না। ফুটপাতে লাল কাপড়়ে মোড়া হাঁড়িতে বিরিয়ানি পাওয়া যায়, সেটা আমার অনেক বেশি পছন্দের। শ্রীময়ীর সংযোজন, “বাপের বাড়িতে থাকতে ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত নিরামিষ খেতাম। এখন কাঞ্চনের পাল্লায় পড়ে সেসবের পাঠ চুকেছে! নবমীতে মাটন মাস্ট। খেতেই হবে। তবে আমাদের দেশের বাড়িতে পুজোর কদিনে আবার দশমীর আগে মাছ হেঁশেলে ঢোকে না।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ