Advertisement
Advertisement
Farhan Akhtar

সরষের মধ্যেই ভূত! ফারহান আখতারের ১২ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট, কাকে ‘পাকড়াও’ করল পুলিশ?

ফারহানের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর নেপথ্যে কে?

Farhan Akhtar’s Family Driver Booked For Duping Actor Of Rs 12 Lakh
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:October 4, 2025 1:10 pm
  • Updated:October 4, 2025 1:10 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড়সড় আর্থিক জালিয়াতির শিকার ফারহান আখতার। দীর্ঘদিন যাঁকে বিশ্বাস করে পরিবারের সঙ্গে ছায়াসঙ্গীর মতো জুড়ে রেখেছিলেন, সেই ব্যক্তিই কিনা অভিনেতা-পরিচালকের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে চম্পট দিল। এ যেন সরষের মধ্যেই ভূত!

Advertisement

বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, স্বনামধন্য চিত্রনাট্যকার তথা ফারহানের মা হানি ইরানির গাড়ি চালাতেন ওই ব্যক্তি। পরিবারের বিশ্বাসযোগ্য ড্রাইভার বলেই এযাবৎকাল পরিচিত ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি হানি ইরানির ম্যানেজার হিসেব মেলাতে গিয়ে যে আর্থিক লেনদেনের হদিশ পান, তাতে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড় হয় গোটা আখতার পরিবারের। জানা গিয়েছে, ফারহান আখতারের নামে একটি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতেন তাঁর মা। গাড়ির তেল ভরার জন্য বিশ্বাস করে সেই ক্রেডিট কার্ডই ড্রাইভার নরেশ সিংয়ের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ঘুণাক্ষরেও টের পাননি যে এর পরিণতি কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে!

ওই গাড়িচালক ফারহানের নামের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে মোট ১২ লক্ষ টাকা হাতিয়েছেন বলে অভিযোগ। আর এহেন কাণ্ডে নরেশকে সাহায্য করেছে বান্দ্রার পেট্রোল পাম্পের এক কর্মী। ইতিমধ্যেই উভয়ের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন হানি ইরানির ম্যানেজার দিয়া ভাটিয়া। সম্প্রতি দিয়াই আবিষ্কার করেন যে, হানি ইরানির গাড়ির জন্য যেখানে ৩৫ লিটার পেট্রোলের প্রয়োজন হয়, সেখানে ৬২১ লিটার পেট্রোলের ‘ভুয়ো বিল’ জমা দিয়েছেন নরেশ। তৎক্ষণাৎ প্রকৃত কারণ জানতে চাওয়া হলে সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে দিয়া ভাটিয়ার জেরার মুখে খুব বেশিক্ষণ মিথ্যে কথা বলতে পারেননি ওই ড্রাইভার। একসময়ে নিজের দোষ স্বীকার করে ফেলেন।

জেরার মুখে নরেশ সিং জানিয়েছেন, ২০২২ সালে পরিবারের পুরনো গাড়িচালক সন্তোষ কুমার তাঁকে ৩টি ক্রেডিট কার্ড দিয়েছিলেন। সেই তিনটিই ফারহানের নামের। যদিও তিনি একটিমাত্র কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলার কথা জানিয়েছেন, তবে হানি ইরানির ক্ষুরধার ম্যানেজার ধরে ফেলেন যে, তিনটি ভিন্ন কার্ডের মাধ্যমে অতিরিক্ত জ্বালানি কিনেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এমন একটি গাড়ির জন্য পেট্রোল কেনার রেকর্ড ‘এন্ট্রি’ করেছেন, সেটাও ৭ বছর আগে বিক্রি হয়ে গিয়েছে। এরপরই ফারহানের মায়ের সামনে নরেশ সিংকে নিয়ে আসেন দিয়া ভাটিয়া। সেখানেই অভিযুক্ত স্বীকার করে যে, বছর তিনেক ধরে এইভাবেই টাকা তুলছেন তিনি। যাতে ধরা না পড়েন তাই অরুণ সিং নামে ওই পেট্রোল পাম্পের কর্মীকেও টাকা দিতেন বলে জানিয়েছেন। এরপরই পুলিশ দুই অভিযুক্তকে আটক করেছে বলে খবর।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ