Advertisement
Advertisement
Shilpa Shetty Raj Kundra

‘আগে ৬০ কোটি জমা দিন, তারপর বিদেশ যান’, শিল্পা শেট্টি, রাজ কুন্দ্রাকে ভর্ৎসনা বম্বে হাই কোর্টের

গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজ-শিল্পার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করে মুম্বই পুলিশ।

First deposit 60 crore: Bombay HC to Shilpa Shetty, Raj Kundra
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:October 8, 2025 7:48 pm
  • Updated:October 8, 2025 7:50 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিল্পা শেট্টি, রাজ কুন্দ্রার জীবনে আইনি বিতর্কের অভিশাপ যেন কিছুতেই কাটতে চাইছে না! গত আগস্ট মাসেই তারকাদম্পতির বিরুদ্ধে ৬০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছিলেন মুম্বইয়ের জনৈক ব্যবসায়ী। সংশ্লিষ্ট মামলায় মঙ্গলবারই পাঁচ ঘণ্টার জেরায় শিল্পার বয়ান রেকর্ড করে মুম্বই পুলিশ। তার চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এবার বম্বে হাই কোর্টে ‘মুখ পুড়ল’ শিল্পা শেট্টি, রাজ কুন্দ্রার।

Advertisement

গত সেপ্টেম্বর মাসে ৬০ কোটির আর্থিক জালিয়াতি মামলায় তারকা দম্পতির বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করে মুম্বই পুলিশ। ফলত, ইচ্ছে করলে যখন-তখন রাজ-শিল্পার দেশের বাইরে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। অনুমতি সাপেক্ষেই বিদেশ ভ্রমণ করতে হবে তাঁদের। সেই লুক আউট নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পালটা বম্বে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিল্পা শেট্টি এবং রাজ কুন্দ্রা। কিন্তু তারকাদম্পতির আবেদন পত্রপাঠ নাকচ করে দেয় আদালত। বম্বে হাই কোর্টের তরফে তাঁদের সাফ জানানো হয় যে, “আগে ৬০ কোটি টাকা জমা দিন, তারপর লস অ্যাঞ্জেলস কিংবা বিদেশের যেখানে ইচ্ছে, সেখানে ঘুরতে যান।”

এদিকে বম্বে হাই কোর্টের কাছে ঘুরতে যাওয়ার ‘আবদার’ জানানোর পরই একের পর এক মন্দিরে সপরিবারে পুজো দিতে দেখা যায় শিল্পা শেট্টিকে। কিন্তু ঈশ্বরের দরবারে গিয়েও আর্থিক প্রতারণা মামলা থেকে নিস্তার পেলেন না অভিনেত্রী! প্রসঙ্গত, শিল্পা ও রাজের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন লোটাস ক্যাপিটাল ফিন্যানসিয়াল সার্ভিসের ডিরেক্টর দীপক কোঠারি। তাঁর দাবি, ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ওই সংস্থায় তিনি ৬০ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। দীপকের অভিযোগ, ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য দেওয়া হলেও সেই টাকা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করেছেন শিল্পা ও রাজ। আরও জানান, যখন তিনি ওই সংস্থায় বিনিয়োগ করেন, তখন ৮৭ শতাংশ শেয়ার শিল্পার নামে ছিল। দীপক জানিয়েছেন, তাঁর কাছে মোট ৭৫ কোটি টাকার ঋণ চাওয়া হয়েছিল। ১২ শতাংশ হারে সুদ পাওয়ার কথা ছিল তাঁর। করের বোঝা এড়াতে তিনি বিনিয়োগ হিসেবে ওই পরিমাণ টাকা সংস্থায় ঢালতে রাজি হয়েছিলেন। ঠিক হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে তাঁকে।

ধাপে ধাপে শিল্পা ও রাজের সংস্থায় বিনিয়োগ করেছিলেন দীপক। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে ৩১.৯৫ কোটি টাকা দেন তিনি। ওই বছরই সেপ্টেম্বর মাসে ফের কিছু টাকা দেন। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৬ সালের মার্চের মধ্যে দেন আরও ২৮.৫৪ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে ৬০.৪৮ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল। স্ট্যাম্প ডিউটি বাবদও ৩.১৯ লক্ষ টাকা খরচ হয়। দীপকের দাবি, ব্যক্তিগত ভাবে তাঁকে টাকা ফেরানোর গ্যারান্টি দিয়েছিলেন শিল্পা। যদিও সেই বছরের সেপ্টেম্বরেই সংস্থার ডিরেক্টর পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। পরবর্তীকালে তারকা দম্পতির সংস্থা দেউলিয়া ঘোষিত হয়। ওই সংস্থার বিরুদ্ধে মোট ১.২৮ কোটির মামলা দায়ের হয়। এর ফলে সর্বস্বান্ত হয়েছেন দীপকও। এই অবস্থায় আর্থিক প্রতরণার অভিযোগে শিল্পা শেট্টি ও রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন তিনি। সেই প্রেক্ষিতেই সম্প্রতি রাজ-শিল্পার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করে মুম্বই পুলিশ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ