সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁরা উভয়ই বি টাউনের দুই ফিল্মি পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। কথা হচ্ছে করিনা কাপুর ও সইফ আলি খানের। ২০১২সালে চারহাত এক হয় তাঁদের। জুটির বয়সের পার্থক্য প্রায় এগারো বছরের। দাম্পত্য এক যুগেরও বেশি। কিন্তু চারিদিকে যখন এত বিচ্ছেদের খবর সেই সময়ে তাঁরা যেন একপ্রকার নজির গড়েছেন তাঁদের দাম্পত্যযাপনে। বিয়ের এত বছর পর আজও তাঁদের সম্পর্কে কোনও রকমের আঁচ লাগেনি। দুই সন্তানকে নিয়ে তাঁদের সুখী গৃহকোণ। ঠিক কোন উপায়ে নিজেদের সুখী দাম্পত্য ধরে রেখেছেন তাঁরা? ঝগড়া হলে বা করিনা রেগে গেলে ঠিক কীভাবে করিনার রাগ গলান সইফ এবার ফাঁস করলেন সেই সিক্রেট।
নিজেদের দাম্পত্য জীবন সেভাবে সকলের সামনে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা বা সমস্ত কিছু নিয়ে সকলের সামনে সেভাবে আলোচনা করেন না তাঁরা কখনওই। তবে একে অপরের প্রতি যে শ্রদ্ধাশীল তা তাঁরা বারবার স্বীকার করেছেন। এহেন জুটির ভালোবাসার মাঝেই মেঘ জমলে অর্থাৎ করিনা রেগে গেলে কীভাবে তাঁকে সামলান সইফ জানালেন নিজেই। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “করিনা রেগে গেলে আমি চুপ করে যাই। কোনও কথা বলি না। শুধু শুনে যাই।” অর্থাৎ আমজনতা হোন বা তারকা সংসারে স্ত্রীর দাপটে যে সবাই মৌনতা পালনে তৎপর তা যেন আরও একবার সইফের কথাতেই স্পষ্ট। যদিও এই সিক্রেট খুনসুটির মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়া প্রসঙ্গেই ভাগ করে নিয়েছেন ছোটে নবাব।
উল্লেখ্য, এর আগে করিনা নিজেও বলেছেন বারবার যে, তাঁদের দাম্পত্যে বয়সের পার্থক্য কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি কখনও। তাঁদের কাছে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকাটাই একটা বড় বিষয়। কারণ ভালোবাসা থাকলে তাতেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। সম্পর্কে ভালোবাসা থাকাটা অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। তাঁরা একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন, ভালোবাসায় বাঁচতে ভালোবাসেন। আর তাই অন্য কিছুই তাঁদের মধ্যে প্রাধান্য পায়নি কখনও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.