Advertisement
Advertisement

Breaking News

Javed Akhtar

‘পাকিস্তানের সেনাপ্রধান উন্মাদ, পহেলগাঁওয়ের পর ওদের চোখ মুম্বইয়ের দিকে’, বিস্ফোরক জাভেদ আখতার

শাহবাজ সরকারকে বিঁধে কোন ইঙ্গিত দিলেন প্রবীণ শিল্পী?

Javed Akhtar Slams Pakistan Over 'Repeated' Terror Attacks

ফাইল ছবি

Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:May 2, 2025 10:07 am
  • Updated:May 2, 2025 10:08 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “একতরফা সম্পর্ক রাখা যায় না”, পহেলগাঁও সন্ত্রাসের পরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছিলেন জাভেদ আখতার। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, “ভারতে পাকশিল্পীদের বয়কট করা হোক।” ২২ এপ্রিল, পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় নিরীহ পর্যটকদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তাড়া করে বেড়াচ্ছে প্রবীণ গীতিকারকে। সম্প্রতি দিল্লির এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে হাজির হয়েও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন জাভেদ আখতার।

প্রবীণ শিল্পীর সোজাসাপটা প্রশ্ন, “পাকিস্তান বারবার এই ধরনের সন্ত্রাস কাণ্ডের দায় ঝেড়ে ফেলে। এই সন্ত্রাসবাদীরা কোথা থেকে আসছে? জার্মানি তো নয়। কারণ ওরা তো আমাদের প্রতিবেশী দেশ নয়। পহেলগাঁওতে যা ঘটেছে, সেখানকার পরিবেশ অশান্ত থাকবেই। কারণ বারবার এই ধরণের ঘটনা ঘটলে কোনও জায়গাতেই শান্তি বজায় থাকে না। প্রতি বছর একটা করে এরকম মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।” জাভেদের সংযোজন, “কংগ্রেস হোক বা বিজেপি, যে যখন ভারতে ক্ষমতায় থেকেছে, তখনই কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করেছে। এমনকী অটল বিহারী বাজপেয়ীজিও পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওরা কী করল? সৌজন্যবোধ দেখানো তো দূরঅস্ত, পালটা কার্গিল যুদ্ধ বাঁধিয়ে অপমান করল। এটাকেই কি পাকিস্তান বন্ধুত্ব বলে?”

কার্গিল যুদ্ধের পর পাকিস্তানের অবস্থানেরও তীব্র সমালোচনা করে জাভেদ বলেন, “ওদের কথা আর কী বা বলব? নিজেদের দেশের শহিদ সেনাজওয়ানের মৃতদেহও তো নিতে অস্বীকার করেছিল ওরা। আজও, ৯৯ শতাংশ কাশ্মীরি ভারতের প্রতি অনুগত বলে মনে করি। আশা করি, পহেলগাঁও কাণ্ডে ওদের যোগ্য জবাব ফিরিয়ে দেবে ভারত সরকার। পাকিস্তান সরকারকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া উচিত যে এসব আর সহ্য করব না আমরা। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান তো উন্মাদ। কোনও বোধবুদ্ধি নেই ওর। পহেলগাঁও হামলার পর ওদের চোখ মুম্বইয়ের দিকেও।”

দিন কয়েক আগে পাক মুলুকের শিল্পীদের বয়কট চেয়ে জাভেদ আখতার বলেছিলেন, “সম্পর্ক আর সম্মানের বিষয়টা সবসময়ে একতরফা থেকেছে। নুসরত ফতেহ আলি খান, গুলাম আলি, নূর জাহান ভারতে যখন এসেছিলেন, আমরা তাঁদের দারুণভাবে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলাম। এরপর ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ এলেন। যিনি এই উপমহাদেশের একজন বড় কবি। আদতে পাকিস্তানের বাসিন্দা হলেও তিনি যখন অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে ভারতে এসেছিলেন, তখন তাঁকে রীতিমতো রাষ্ট্রপ্রধানের মতো সম্মান দিয়েছিল সরকার। এর প্রতিদান কখনও দেওয়া হয়নি! পাকিস্তানের বড় বড় কবিরা লতা মঙ্গেশকরের গানের জন্য লিখেছিলেন। ষাট-সত্তরের দশকে তো ভারত এবং পাকিস্তান, দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় শিল্পী ছিলেন লতাজি, কিন্তু কেন কোনোদিন পাকিস্তানে ওঁর কোনও গান রেকর্ড হল না? পাকিস্তানের মানুষের প্রতি আমার এক্ষেত্রে কোনও অভিযোগ নেই। ওঁরা লতা মঙ্গেশকরকে অনেক ভালোবাসা দিয়েছেন।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement