Advertisement
Advertisement
Kali Puja 2025

ভোগে খিচুড়ি-লাবড়া, কারণসুধা! কালীভক্ত খরাজের বাড়িতে জমজমাট পুজোর আয়োজন

সরা পুজো থেকে কীভাবে মূর্তিপুজো শুরু হল অভিনেতার বাড়িতে? জানুন।

Kali Puja 2025: Kharaj Mukherjee's ancestral kali puja
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:October 18, 2025 3:08 pm
  • Updated:October 18, 2025 3:08 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘কালীনামে দাও রে বেড়া, ফসলে তছরুপ হবে না…’, কালীভক্ত খরাজ মুখোপাধ্যায়ের এই মান্যতা। প্রতিবার দীপান্বিতা কালীপুজোর পাশাপাশি অভিনেতার দেশের বাড়িতে মাঘ মাসে রটন্তী কালীপুজোও হয়। প্রতিবারের মতো এবারও কালী সাধনায় ব্রতী খরাজ।

Advertisement

খরাজ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির কালীবন্দনার ইতিহাস পঞ্চাশ বছরেরও বেশি। অভিনেতার বাবা কৃষ্ণনগর থেকে একটি সরা এনেছিলেন। তাতেই আঁকা ছিল দেবী-প্রতিকৃতি। প্রথম সরাপুজোই শুরু হয়। কিন্তু এত বছরে সেই সরার অনেক ক্ষতি হয়েছে। সময়ের সঙ্গে প্রায় খসে গিয়েছে! খরাজের দাদাই উদ্যোগী হয়ে কৃষ্ণনগর থেকে কারিগর ডেকে এনে সেই সরা মেরামত করিয়ে আনেন। সেটি এখন সযত্নে এক বাক্সে থাকে। তবে তা ছোঁয়া সম্ভব নয়। তার পর থেকেই প্রতিবছর কালীপ্রতিমা এনে পুজো শুরু হয়। তখন থেকে কাঁচের বাক্সে রাখা পটচিত্রের পাশাপাশি দেবীমূর্তিও পূজিতা হন খরাজের বাড়িতে। কৃষ্ণবর্ণের কালীই প্রতিবার নিয়ে আসেন খরাজ মুখোপাধ্যায়। একেবারে জাগ্রত প্রতিমা।

প্রতিবারের মতো এবারও ভোর থাকতে থাকতে হাওড়ার ফুল মার্কেটে চলে যাবেন খরাজ। মায়ের জন্য প্রত্যেকটা ফুল, মালা নিজে বেছে নিয়ে আসবেন। ভোরের আলো ফোটার আগেই পুজোর ঘট ভরা হয়। বাড়ির দরজায় বসানো হয় কলাগাছ। জানা গেল, পুজোর দিকটা খরাজের বড়দাই দেখেন। আজও অভিনেতার দেশের বাড়িতে বলিপ্রথা বহাল। বহু চেষ্টা করেও সেটা বন্ধ করতে পারেননি তাঁরা। রাতভর পিতলের পাত্রে নারকেলের জল রেখে বাড়িতেই তৈরি হয় মায়ের ‘কারণসুধা’ প্রসাদ।

খরাজ মুখোপাধ্যায় নিজে খুব ভালো রাঁধুনি, সেকথা কারও অজানা নয়। আগে পুজোর রান্নাবান্না নিজেই করতেন। কিন্তু এখন আর বাড়িতে অত আয়োজন করার অবকাশ নেই অভিনেতার। তাই বাড়ির কাছেই এক জায়গায় রান্না করা হয় ক্যাটারারকে দিয়ে। মায়ের ভোগে থাকে খিচুড়ি, পাঁচরকমের ভাজা, মিষ্টি। আর নিমন্ত্রিতদের জন্য অবশ্যই খাসির মাংস, পোলাও কিংবা ফ্রায়েড রাইসের আয়োজন থাকে। তবে দেবীর ভোগের ব্যবস্থা বাড়িতেই হয়। খরাজের আত্মীয়-পরিজন, বন্ধুবান্ধব সকলে আসেন। রাতভর আড্ডা হয়। কারণ হোমযজ্ঞ করে পুজো শেষ হতেই বেজে যায় রাত দুটো-তিনটে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ