ছবি: ইনস্টাগ্রাম
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তারকা দম্পতি কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজের মেয়ে কৃষভিকে মারধর। অভিযুক্ত বাড়ির পরিচারিকা। আর সেই দৃশ্য সিসিটিভি ফুটেজে দেখামাত্র রীতিমতো আঁতকে উঠেছেন অভিনেত্রী শ্রীময়ী!
কাজের সূত্রে শ্রীময়ী এবং কাঞ্চন দু’জনেরই ব্যস্ততা তুঙ্গে। তাই বাড়িতে দিদার কাছেই বড় হচ্ছে কৃষভি। নাতনিকে সবসময়ই চোখে চোখে রাখেন শ্রীময়ীর মা। তবে একা এতটুকু বাচ্চাকে সামলানো দায়, তাই সঙ্গে সর্বক্ষণের সহায়িকা হিসাবে একজন গৃহপরিচারিকাকে রেখেছিলেন তাঁরা। জানা যাচ্ছে, বেশ কিছুদিন আগে বিপত্তারিণী পুজো দিতে নিজের বাড়িতে গিয়েছিলেন শ্রীময়ীর মা। বাড়িতে ওই পরিচারিকার ভরসাতেই রেখে গিয়েছিলেন ছোট্ট কৃষভিকে। এমন সময় বাড়িতে থাকা সিসিটিভিতে ধরা পড়ে সেই ভয়ংকর ছবি। যা দেখে রীতিমতো আঁতকে উঠেছেন কাঞ্চনঘরনি।
সেখানেই অভিনেত্রী দেখতে পান, মেয়ে কাঁদছে আর তাকে থামাতে না পেরে বেদম মার মারছে আয়া! ঠিক কী ঘটেছিল তা জানতেই সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল যোগাযোগ করেছিল শ্রীময়ীর সঙ্গে। এই নিয়ে শ্রীময়ী বলেন, “এটা প্রায় একমাস আগের ঘটনা। এটা কিন্তু আমার বাড়ির ঘটনা বা আমার বাড়িতেই শুধু ঘটছে এমনটা নয়। এটা প্রতিটা বাড়িরই ঘটনা। যারা বাড়িতে বয়স্কদের রেখে যান তাঁদেরও একই সমস্যা। আর এটাকেই হাতিয়ার করা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে আয়া সেন্টারের দোষ দেব আমি। তারা কোনও সুরক্ষাপ্রদান করতে অক্ষম। কোনও সঠিক তথ্য দেয় না অথচ পারিশ্রমিকবাবদ অনেক টাকা নেয়।”
শ্রীময়ী আরও বলেন, “শুধু তাই নয়, আয়া সেন্টার থেকে যাঁদের পাঠানো হয় তাঁরা অসম্ভব অপরিষ্কার। কোনওরকম পরিচ্ছন্নতার বালাই নেই তাঁদের মধ্যে। অথচ চলে আসে বাচ্চার দেখাশোনা করতে। গা ভর্তি চর্মরোগ, অপরিচ্ছন্নতা এসব তো রয়েছেই, সঙ্গে রয়েছে সারাদিন মোবাইল ফোনে ডুবে থাকার অভ্যাসও। বাচ্চাকে খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো- সবসময়ই তাঁরা ফোনে কথা বলে যায়। কাজের প্রতি কোনও দায়বদ্ধতা নেই। মিথ্যা কথা বলা, জিনিসপত্র চুরি করার মতো বিষয়ও রয়েছে। এমনকী আমার বাড়ির পরিচারিকা ও আয়া দু’জনে মিলে পরামর্শ করে জিনিসপত্র অনলাইনে অর্ডার করে আনিয়েছে। আর সেই জিনিস ডেলিভারি দিতে এসে গ্রিলের বাইরে থেকে ডেলিভারি বয় আমার মেয়েকে আদর করে গিয়েছে। এসবও সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে। আসলে এরা কিছুই মানে না। কাউকেই মানে না। এই বিষয়গুলো আয়া সেন্টারগুলো যতদিন না সচেতন হবে বা এই সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে, ততদিন এরা সচেতন হবে না। এটা হওয়া খুব দরকার।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.