Advertisement
Advertisement
Kangana Ranaut

‘রাজনীতি শখের জায়গা, মাসমাইনে এত কম…’, সাংসদ হওয়ার বছর ঘুরতেই বেসুরো কঙ্গনা

এমনটা কেন বললেন মাণ্ডির সাংসদ?

Kangana Ranaut Calls Politics An Expensive Hobby
Published by: Arani Bhattacharya
  • Posted:July 11, 2025 8:14 pm
  • Updated:July 11, 2025 8:14 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মান্ডির সাংসদ পদপ্রাপ্তির বছর ঘুরতে না ঘুরতে রাজনীতি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে এখন চর্চায় নেত্রী তথা অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। সম্প্রতি এক পডকাস্টে নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ার নিয়ে মুখ খুলেছিলেন সাংসদ-অভিনেত্রী। এবার রাজনীতিকে শখের কাজ বলে সম্বোধন করলেন কঙ্গনা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা বলেছেন, “রাজনীতি একটি দামি শখ।” তাঁর এই মন্তব্যে সবাই কমবেশি অবাক হয়েছেন। কিন্তু এমনটা কেন বললেন মাণ্ডির সাংসদ?

Advertisement

কঙ্গনার দাবি, “রাজনীতি একটি দামি শখ তার কারণ আপনি যদি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হন তাহলে আপনার জন্য রাজনীতি আর পেশা হিসাবে থাকবে না। আপনার সেক্ষেত্রে একটি চাকরিরও দরকার পড়বে পাশাপাশি। আপনি যদি একজন সৎ মানুষ হন তাহলে তো আপনাকে অবশ্যই একটি চাকরি খুঁজতেই হবে রাজনীতি করার পাশাপাশি। কারণ রাজনীতি করে যা উপার্জন হয় তাতে জীবনধারণ করা ভীষণই কঠিন। একজন সাংসদ যে বেতন পান তাতে তাঁর সঠিক জীবনযাপনে অনেক সমস্যা আসবেই। আসতে বাধ্য।” এ দেশে একজন সাংসদের বেতন ১.২৪ লক্ষ টাকা। এই নিয়ে কঙ্গনা আরও বলেছেন, “এই দেশে একজন সাংসদকে বেতন দেওয়া হয় তার থেকে বাড়ির সহকারীদের বেতন দেওয়ার পর ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা মতো হাতে থাকে। এরপর সেই টাকায় কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখতে গেলেও অনেক খরচ পড়ে। কারণ সেসব জায়গা অনেকটা দূরে। কোনও কোনও জায়গা তো প্রত্যন্ত অঞ্চলে। তাই রাজনীতি করার পাশাপাশি আপনাকে কোনও না কোনও পেশায় যুক্ত থাকতে হবে। যেমন বহু সাংসদ রয়েছেন যাঁরা আইনজীবি বা যাঁদের কোনও ব্যবসা রয়েছে।”

Kangana Ranaut gets court notice over 'India got freedom in 2014' remark

কঙ্গনাকে ওই সাক্ষাৎকারে আরও জিজ্ঞেস করা হয়, “কঙ্গনা কি কোনও মন্ত্রকের দায়িত্ব পাবেন এমনটা আশা রেখেছিলেন”? এপ্রসঙ্গে কঙ্গনা বলেন, ” আমি মূলত একজন অভিনেত্রী, চিত্রপরিচালক। আমি পদ্মভূষণ সম্মানেও সম্মানিত হয়েছি। কাজেই আমার মনে হয় আমি আমার দলের জন্য অনেক কাজ আগেই করে ফেলেছি। আমার জন্য ভোটে জয়ী হওয়াটা খুব সহজ বিষয় ছিল না। নির্বাচনের শেষ দফায় আমার কেন্দ্রে নির্বাচন ছিল। অনেকটা পরিশ্রম করতে হয়েছিল তার জন্য। কাজেই কোনও একটা মন্ত্রকের দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়ে আমি আশাবাদী ছিলাম।” উল্লেখ্য,  বেশকিছুদিন আগে রাজনৈতিক কেরিয়ার নিয়ে এক পডকাস্টে কঙ্গনা বলেছিলেন, “আমি বেশ বুঝতে পারছি, রাজনীতি একেবারে অন্যরকম একটা কাজ। মূলত সমাজসেবা করা। একেবারেই বলব না, আমি এটা উপভোগ করছি। কারণ আমার রাজনৈতিক কোনও ব্যাকগ্রাউন্ড নেই। অতীত অভিজ্ঞতাও নেই। তাই আমি কোনওদিন মানুষের সেবা করব বলে ভাবিওনি। নারীদের অধিকার আদায়ের জন্য আওয়াজ তুলেছি। তবে সেটার সঙ্গে জনসাধারণের কাজ সামলানোর কোনও মিল নেই।” তাঁর এই মন্তব্যে অনেকেরই মনে হয়েছে তাহলে কী বছর ঘুরতে না ঘুরতেই রাজনীতি নিয়ে মোহভঙ্গ হয়েছে নেত্রী তথা অভিনেত্রীর।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement