সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেলেব্রিটি পরিবারের আদবকায়দাই আলাদা। ছোটবেলা থেকে পরিবারের সদস্যদের গ্ল্যামারের ছটায় আলোকিত হয়ে ওঠে খুদে সদস্যরাও। হাঁটতে-চলতে শিখলেই ছবিশিকারিদের আকর্ষণের কেন্দ্রে চলে আসে তারা। ঠিক যেমন পতৌদি পরিবার। প্রায় প্রত্যেক সদস্যই সেলিব্রিটি। আর এই পরিবারে জন্মে পাপারাজ্জিদের ক্যামেরার আড়ালে থাকা বেশ কঠিন সইফ-করিনার সন্তানদের। নবাব দম্পতির মতো তৈমুর এবং জেহ – এরাও অতি প্রিয় আলোকচিত্রীদের। আর সামান্য বড় হতেই তৈমুর নাকি এসব ব্যাপারে বেশ আনন্দই পায়। অথচ মা করিনা মোটেই চান না, এখনই ছেলেকে নিয়ে এত হইচই হোক। তাই তিনি ছবিশিকারিদের অনুরোধ করেন, ওর ছবি তুলবেন না প্লিজ। একথা শুনেই নাকি খেপে যায় বছর নয়ের তৈমুর! ননদ সোহা আলি খানের পডকাস্ট চ্যানেলে বড়পুত্রকে নিয়ে সেই মিষ্টি গল্পের ঝাঁপি উপুড় করে দিলেন বেবো।
সাক্ষাৎকারে সোহা বউদি করিনাকে প্রশ্ন করেছিলেন, তৈমুর-জেহকে দেখলেই যে পাপারাজ্জিরা ছবি তুলতে থাকেন, তাতে তাদের কেমন প্রতিক্রিয়া হয়। তা শুনে হেসেই ফেলেন করিনা। তারপর ছেলেদের নানা কীর্তির কথা বলেন খোলামেলাভাবে। করিনা জানান, ৪ বছরের জেহ অর্থাৎ ছোট ছেলে এখনও এসব কিছুই বোঝা না। কিন্তু টিম (তৈমুর) এখন বড় হচ্ছে, গ্ল্যামার কিছুটা আঁচ করতে পারে। বেবোর কথায়, ”আলোকচিত্রীদের বলতাম যে ওর (তৈমুর) ছবি তুলবেন না। তাতে ও খুব রেগে যেত। বলত, কেন ওর ছবি তুলতে বারণ করছি। আমি বলতাম, ‘কারণ তুমি তারকা নও।’ ও চুপ করে যেত। আর এখন ও নিজেই বলে, ‘আমাকে তাহলে মেসি বা বিরাট কোহলির মতো হতে হবে। তবে ছবি উঠবে।’ এখন ও সব বোঝে।”
ওই সাক্ষাৎকারে স্বামী সইফেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন বেবো। বলেন, ”সইফ বাবা হিসেবে দারুণ। বাচ্চাদের সঙ্গে ও খুব ভালোভাবে বোঝাপড়া করতে পারে। আমি যদি কখনও সন্তানদের প্রতি বেশি রক্ষণাত্মক হয়ে উঠি, তাহলে ও আমাকেও বোঝায়। বলে যে ওদের এত চাপ না দিতে, ঠান্ডা মাথায় ওদের সঙ্গে কথা বলতে।” চলতি বছরের জানুয়ারি বড়সড় বিপদের মুখে পড়েছিল খান পরিবার। মু্ম্বইয়ের পতৌদি হাউসে ঢুকে সইফের উপর চলে হামলা। ঘাড়ে, হাতে আঘাত পান সইফ। খুব দ্রুতই অবশ্য তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। একইসঙ্গে নিজের পরিবারের প্রতি আরও যত্নশীল হতে দেখা যায় তাঁকে। বিশেষত বাচ্চাদের আগলে রাখেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.