সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বাবার কেরিয়ার শেষ করে দিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর এবং আশা ভোঁসলে!”, বিস্ফোরক এই মন্তব্য বলিউডের কিংবদন্তি গায়ক মহম্মদ রফির ছেলের। রফিপুত্র শাহিদ রফি এমন ভয়ংকর অভিযোগ এনেছেন বলিউডের দুই কিংবদন্তি গায়িকা বোনের বিরুদ্ধে। বলিউডের অন্দরে কান পাতলেই একসময়ে লতা-আশার মধ্যে রেষারেষির কথা শোনা যেত। কিন্তু এবার তাঁদের বিরুদ্ধেই রফির কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার মতো অভিযোগ তুললেন তাঁর ছেলে। তাও আবার গায়কের মৃত্যুর চার দশকেরও বেশি সময় পরে।
উল্লেখ্য, লতা মঙ্গেশকর এবং আশা ভোঁসলের সঙ্গে রফির অজস্র হিট নাম্বার রয়েছে বলিউডের ইতিহাসে। আর সেই দুই গায়টিকার বিরুদ্ধেই কিনা বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন রফিপুত্র! শাহিদের দাবি, “দীর্ঘ সঙ্গীতজীবনে কখনও কাজের জন্য কারও কাছে হাত পাতেননি তাঁর বাবা। অথচ, তাঁর সহকর্মীরা অনেক সময়ে তাঁকে বিপথে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু লতা মঙ্গেশকর ও আশা ভোঁসলে ঈর্ষা ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে ইচ্ছে করেই রফির কেরিয়ার ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে বাবার সঙ্গে কিশোর কুমারের কোনও পেশাদার ঈর্ষা বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল না”, বলেও জানিয়েছেন শাহিদ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রখ্যাত গায়কের অশীতিপর পুত্র জানিয়েছেন, “আমার বাবার তাঁর সমসাময়িক কোনও গায়কদের সঙ্গে কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আলাদা ছিল। তাঁরা ঈর্ষা করতেন মহম্মদ রফিকে, কারণ রফি সাহেব তাঁদের উপরে ছিলেন। মানুষ তাঁকে এক নম্বর গায়ক হিসাবে সম্মান দিচ্ছিল তখন, আর এটাই তাঁরা মেনে নিতে পারছিলেন না।”
শাহিদের সংযোজন, সাতের দশকে রফির সংক্ষিপ্ত বিরতি মোটেই হতাশা বা অন্য কারও কারণে নয়, বরং এক মৌলবি তাঁকে গানের জন্য ‘পাপী’ বলার পর স্বেচ্ছায় তিনি কিছুদিন দূরে সরে ছিলেন। পরে আবার গান গাওয়া শুরু করেন। তার জন্য আল্লার কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন মহম্মদ রফি। সেই সাক্ষাৎকারেই লতা মঙ্গেশকরের বিরুদ্ধে বোমা ফাটিয়ে শাহিদ রফির মন্তব্য, “আমার একটুও দ্বিধা নেই, ওঁদের সামনে এই কথা বলতে। লতাজির মৃত্যুর আগেও আমি এসব বলেছি। লতাজি বলেছিলেন, তাঁর কেরিয়ার এগোচ্ছে। তিনি বাবাকে ক্ষমা করতেও বলেছেন কিন্তু কোনওদিন খোলাখুলি স্বীকার করেননি। আসলে লতাজি হীনমন্যতায় ভুগতেন। আশা ভোঁসলেরও লজ্জা পাওয়া উচিত।”
লতা মঙ্গেশকর গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস সম্মাননার সময়ও ‘হস্তক্ষেপ’ করেছিলেন বলে অভিযোগ শাহিদের। তাঁর কথায়, “শেষ মুহূর্তে লতাজি সম্মানটা গ্রহণ করেন, আর বাবা সেটি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।” এই ঘটনা যে তাঁকে এখনও কষ্ট দেয়, সেকথা জানিয়েছেন রফি-পুত্র।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.