Advertisement
Advertisement
Zubeen Garg

মনভাঙা অসমে জুবিন গর্গকে নিয়ে কুকথায় ‘রণক্ষেত্র’ বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৭০ নাগা ছাত্রকে সরাল প্রশাসন

জুবিন গর্গের মৃত্যুতে অশ্লীল ভাষাপ্রয়োগে অসম্মান! প্রতিবাদ নাগাল্যান্ডের শিক্ষামন্ত্রীরও।

Nagaland student makes derogatory remarks on Zubeen after death, suspended
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:September 22, 2025 4:25 pm
  • Updated:September 22, 2025 4:25 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জুবিন গর্গের অকাল প্রয়াণে অসমের আকাশ-বাতাস ভারী। কিছুতেই চোখের জল বাঁধ মানছে না অসমবাসীর। রবিবার সেই হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সাক্ষী সরুসূযাই স্টেডিয়াম। গায়কের কফিনবন্দি দেহ দেখে ভেঙে পড়েছে আট থেকে আশির প্রজন্ম। যে ছেলেটি নির্ধিদ্বায় প্রতিবাদ করত, যে ছেলেটি মানুষের আপদে-বিপদে ঝাপিয়ে পড়ত, তাঁকে আর কাছে পাওয়া যাবে না! কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছে না অসমবাসী। এমতাবস্থায় অসমের কাজিরাঙ্গা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নাগা পড়ুয়া জুবিনকে নিয়ে কটুক্তি করায় তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

Advertisement

অভিযোগ, ওই পড়ুয়া গায়কের উদ্দেশে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করেছেন। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাজিরাঙ্গা বিশ্ববিদ্যালয়। সূত্রের খবর, নাগাল্যান্ড থেকে অসমে পড়তে আসা ওই ছাত্রকে ইতিমধ্যেই বহিষ্কার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি নাগা পড়ুয়াদের যাতে কোনওরকম সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়, তার জন্যে ৩৭০জনকে ইতিমধ্যেই ডিমাপুরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ আচমকাই অসমের কাজিরাঙ্গা বিশ্ববিদ্যালয় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জুবিন গর্গকে ঘিরে বি টেক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক পড়ুয়ার মন্তব্যকে ঘিরে। নেটপাড়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে ওই পড়ুয়াকে বলতে শোনা যায়, জুবিন গর্গের মৃত্যুতে কী যায়-আসে? সেকথা শুনেই বাকি ছাত্ররা প্রতিবাদে গর্জে উঠে বলে- “আর যাই হোক, জুবিনদাকে নিয়ে কোনও কুকথা বদরাস্ত করব না। প্রত্যুত্তরে ওই ছাত্র বলে- রানির মৃত্যুতে কি তোমরা শোকপালন করেছিলে? তাহলে এই জুবিনকে নিয়ে এত কেন শোক? ও কে?” ভাইরাল ভিডিও ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। জানা যায়, ওই পড়ুয়া আদতে নাগাল্যান্ডের বাসিন্দা। ঘটনায় প্রতিবাদ করেছেন খোদ নাগাল্যান্ডের শিক্ষামন্ত্রী তেমজেন ইমনা।

সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানান, জুবিন গর্গ শুধু অসম নয়, গোটা উত্তর-পূর্ব ভারচের গর্ব। তাঁর সংযোজন, এটা ভীষণই স্পর্শকাতর বিষয়। আমাদের রাজ্যের জনৈক পড়ুয়া জেনে বা না জেনে, রাগ কিংবা দুঃখের বশে, যেভাবে ওই মন্তব্য করে থাকুক না কেন, সেটা অনুচিত। খুব ভুল করেছে। তেমজেন জানান, ওই বিশঙ্খলার পর আরও কোনও উত্তেজনার খবর পাওয়া যায়নি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে। সকলেই সুরক্ষিত রয়েছেন। সূত্রের খবর, নাগা স্টুডেন্ট ফেডারেশনের তরফেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করা হয়েছে ওই পড়ুয়াদের ডিমাপুরে আপাতভাবে স্থানান্তরিত করার জন্যে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ