Advertisement
Advertisement
Onko Ki Kothin

‘অঙ্ক কি কঠিন’ ছবির পাইরেসি রুখতে সাইবার ক্রাইম শাখায় লিখিত অভিযোগ রানা-সৌরভের

ফের পাইরেসির বাড়বাড়ন্ত টলিউডে!

Onko Ki Kothin makers filed written complaint to stop piracy
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:May 28, 2025 2:21 pm
  • Updated:May 28, 2025 4:35 pm   

স্টাফ রিপোর্টার: গত শুক্রবারই মুক্তি পেয়েছে সৌরভ পালোধী পরিচালিত ‘অঙ্ক কি কঠিন’। সহজ অথচ গুরুগম্ভীর মনঃস্তত্ত্বের পাঠ দেওয়া গল্প ইতিমধ্যেই দর্শকের মন জয় করে নিয়েছে। ছোটদের নিয়ে তৈরি হওয়া ছবির গল্প বলার সরল ধরণ বড়দেরও মন কেড়েছে। আর সেই ছবি যখন প্রেক্ষাগৃহে রমরমিয়ে চলছে, তখন এরই মধ্যে পাইরেসির অভিযোগ উঠল। যার জেরে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রযোজক রানা সরকার ও পরিচালক সৌরভ পালোধী।

Advertisement

জানা গিয়েছে, ২৬ মে সন্ধেবেলা প্রযোজক-পরিচালকের কাছে ‘অঙ্ক কি কঠিন’ ছবিটির বেশ কিছু অনলাইন লিঙ্ক পাঠান শুভানুধ্যায়ীরা। যেখানে পুরো ছবিটাই দেখা যাচ্ছে। দেরি না করে তৎক্ষণাৎ সাইবার ক্রাইম শাখায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয় প্রযোজনা সংস্থার তরফে। মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৭ মে প্রযোজক রানা সরকার এপ্রসঙ্গে ‘সংবাদ প্রতিদিন’কে জানান, “পাইরেসি যে ছবির ব্যবসায় বিপুল ফারাক আনতে পারে এমন নয়, তবে একটা প্রভাব তো ফেলবে। সবাই বলে স্টপ পাইরেসি অথচ পদক্ষেপ নেন না। তাছাড়া পাইরেসি কেন হবে? কে পাইরেসি করল? মাল্টিপ্লেক্স এবং রাধা ও নন্দন ছাড়া কোথাও মুক্তি পায়নি। আমি তো সাতটা স্ক্রিনে রিলিজ করেছি। কী করে হল? কমিশনার অফ পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি। তিনি এটা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চকে রেফার করেছেন। তারা খতিয়ে দেখছে বিষয়টা।”

রানার মুখ থেকেই জানা গেল, ২৬ মে নন্দনে ভালো ভিড় হয়েছিল, ২৭ মে ডায়মন্ড প্লাজা, হাইল্যান্ড পার্ক, মধ্যমগ্রামের স্টার মল-এ ভালো টিকিট বিক্রি হয়েছে। অতঃপর এই সিনেমার বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির বক্স অফিসে একটা ভালো প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে। তার মাঝেই পাইরেসির বাড়বাড়ন্তে বিরক্ত হয়ে আইনি পদক্ষেপ করলেন রানা সরকার এবং সৌরভ পালোধী।

প্রসঙ্গত, এই ছবির মূল চরিত্র তিন খুদে, যাদের স্বপ্ন একটা হাসপাতাল খোলা। তাও আবার কোথায়? আব্বুলিশ বাড়িতে। আববুলিশ বাড়িটা কী? আব্বুলিশ বাড়ি হল মাঝপথে আটকে যাওয়া একটা বহুতল যা আইনি জটিলতার কারণে পুরসভার অনুমোদন পায়নি। কাঠামোটুকু হয়েছে কিন্তু দরজা জানালা নেই। তিন খুদের একজনের স্বপ্ন ডাক্তার হওয়া একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং আরেকজনের ইচ্ছে নার্স হওয়ার- ঋদ্ধিমান তপময় আর গীতশ্রী, তিনজনের অভিনয় অত্যন্ত সাবলীল এবং প্রাণবন্ত যা ছবির শেষ পর্যন্ত দর্শককে মাতিয়ে রাখে। ওদের এই হাসপাতাল তৈরির আবর্তে গল্পের অন্যান্য চরিত্রগুলো ঘুরে ফিরে আসতে থাকে। অতিমারির পর বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুল, সিন্ডিকেট, রাজমিস্ত্রির জোগাড়ে, লোকের বাড়ি কাজ করতে যাওয়া পরিচারিকা কিংবা পেটের দায় শরীর বিক্রি করা এক মহিলা, হিন্দু-মুসলিমের বেপরোয়া প্রেম- এমন আরও অনেক কিছুর আবর্তে ঘুরতে ঘুরতে এই ছবির পথ চলা। শঙ্কর দেবনাথ, সঞ্জিতা, পার্নো মিত্র, ঊষসী, দীপান্বিতা প্রমুখের অভিনয় এই ছবির সম্পদ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ