Advertisement
Advertisement
পানিপথ

জাঠ বিক্ষোভের জের, ‘পানিপথ’ থেকে বাদ পড়ল ১১ মিনিটের দৃশ্য

‘পানিপথ’ নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন রাজস্থানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে।

'Panipat' makers removed the controversial scenes
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:December 12, 2019 4:49 pm
  • Updated:December 12, 2019 4:49 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুক্তির পাওয়ার পর থেকেই বিপাকে ‘পানিপথ’। ৬ ডিসেম্বর মুক্তি পেতেই রাজস্থানের জাঠ সম্প্রদায় আপত্তি তুলেছিল এই ছবি নিয়ে। অর্জুন কাপুর, সঞ্জয় দত্ত এবং কৃতি স্যানন অভিনীত ‘পানিপথ’ ছবিতে এই সম্প্রদায়কে ভুল ভাবে দেখানো হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলেই ছবি প্রদর্শন বন্ধ করার দাবি তুলেছিল জাঠরা। এমনকী, বিক্ষোভ প্রদর্শনকারী মিছিলে সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের শীর্ষ স্থানীয় ব্যক্তিরা পরিচালক আশুতোষ গোয়াড়িকর-সহ অভিনেতাদের কুশপুতুল দাহ করেছিলেন। এবার সেই রোষানলে পড়েই কাটছাঁট করা হল ‘পানিপথ’ ছবির কিছু দৃশ্য।

Advertisement

বিতর্কের সূত্রপাত ছবিতে প্রদর্শিত রাজা সূরজমলের চরিত্র। ‘পানিপথ’-এ দেখানো হয়েছে, সদাশিব রাও ভাউ যখন আফগান সম্রাট আহমেদ শাহ আবদানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে মহারাজ সূরজমলের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন, তখন সূরজমল তার পরিবর্তে সদাশিবের কাছে একটি শর্ত রাখেন। যে শর্তে মোটেই রাজি হননি সদাশিব। অতঃপর আফগান সম্রাটের বিরুদ্ধে একজোটে লড়ার প্রস্তাবও নাকচ করে দেন সূরজমল। ছবির এই গল্প নিয়েই আপত্তি জাঠ সম্প্রদায়ের। তাঁদের কথায়, মহারাজ সূরজমলের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়েছে। যার ফলে ভুল বার্তা পৌঁছচ্ছে মানুষের কাছে। আর ছবিতে দেখানো এই দৃশ্যগুলিকেই ছেঁটে ফেলা হয়েছে বিতর্ক এড়াতে। কাঁটছাট করা হয়েছে আরও বেশ কিছু দৃশ্য। যার ফলে, ছবির দৈর্ঘ্যও ছোট হয়েছে।

panipat

মোট ১১ মিনিটের দৃশ্য বাদ পড়ল ‘পানিপথ’ থেকে। এই একই ইস্যু নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন রাজস্থানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে। তিনি বলেছেন, মহারাজ সূরজমল নিষ্ঠাবান, নরম মনের মানুষ ছিলেন। অথচ ‘পানিপথ’ ছবিতে তাঁকে সম্পূর্ণ উলটোভাবে দেখানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী একটি টুইটও করেছেন। রাজস্থানের পর্যটনমন্ত্রী বিশ্বেন্দ সিংও একই কথা বলেছেন। এছাড়া রাজস্থানবাসীদেরও দাবি, সূরজমলের চরিত্রটি ভুলভাবে দেখানো হয়েছে। তবে শুধু ভরতপুরের এই রাজাই তাদের আপত্তির একমাত্র কারণ নয়। ছবিতে রাজস্থানী ও হরিনাভি ভাষা ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু রাজস্থানবাসীর দাবি, ভরতপুরের বাসিন্দারা ব্রজ ভাষায় কথা বলেন। ফলে এক্ষেত্রেও সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে পরিচালক আশুতোষ গোয়াড়িকরকে।

[আরও পড়ুন: ৭০-এ পা ‘থালাইভা’র, জন্মদিনেই রজনীর ‘দরবার’ পোস্টার মুক্তিতে উচ্ছ্বসিত ভক্তরা]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ