ছবি: ইনস্টাগ্রাম
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবে মা হওয়ার বছর ঘুরেছে। চব্বিশ সালের জুলাই মাসে কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন রিচা চাড্ডা। মাঝখানে বারো মাসের ব্যবধান। এখনও পর্যন্ত মেয়ে জুনেইরার মুখ দেখাননি অভিনেত্রী। এর মাঝেই ভারতে সন্তানকে লালন-পালন করা নিয়ে বোমা ফাটালেন রিচা। অভিনেত্রীর মন্তব্য, “এদেশে থেকে মেয়েকে বড় করতে হলে বাড়িতে বন্দুক রাখতে হবে।” কিন্তু কেন এমন সংশয়ে ভুগছেন অভিনেত্রী?
রিচা চাড্ডা বরাবরই স্পষ্টবাদী। কোনও বিষয়ে মন্তব্য করতে পিছপা হন না। সম্প্রতি মাতৃত্ব নিয়ে পোস্ট করে ট্রোলের মুখে পড়েছিলেন। সেসময়েও নেটপাড়ার নিন্দুকদের ছেড়ে কথা বলেননি রিচা। পালটা কড়া ভাষায় পাঠ দিয়েছিলেন। এবার ভারতে বসবাস করে সন্তানকে মানুষ করা প্রসঙ্গে বড় কথা বললেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রিচার মন্তব্য, “আমি তো মাতৃত্ব নিয়ে প্রথমটায় বেশ ভয়ে ছিলাম।” কেন? রিচার যুক্তি, “একে জলবায়ু পরিবর্তন, দ্বিতীয়ত গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এত হিংসা, গণহত্যা। এই বিশৃঙ্খল পৃথিবীতে কি সন্তানকে নিয়ে আসা ঠিক হবে?” এখানেই থামেননি অবশ্য অভিনেত্রী। গর্ভে কন্যাসন্তান বেড়ে উঠছে জানতে পেরে একপ্রকার ঠিক করে নিয়েছিলেন যে, বন্দুক কিনবেন। রিচা বলছেন, “আমি ভেবেছিলাম, আমরা যেহেতু ভারতে থাকি। এবার এখানে কন্যাসন্তানকে বড় করতে হলে তো বাড়িতে বন্দুক রাখতে হবে একটা।” সত্যি কি বন্দুক কিনেছেন তিনি?
সংশ্লিষ্ট সাক্ষাৎকারেই রিচা জানালেন, “না না। আমরা দেখছি। মেয়েকে আমার মতোই শক্ত মানসিকতার মানুষ তৈরি করব।” যদিও লিলি সিংয়ের সাক্ষাৎকারে রসিকতা করেই বাড়িতে বন্দুক রাখার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তবে অভিনেত্রীর এহেন মন্তব্য নিয়ে আবারও শোরগোল। প্রসঙ্গত, ১৬ জুলাই মেয়ের প্রথম জন্মদিন উপলক্ষে ইনস্টাগ্রামে মা হিসেবে ব্যক্তিগত মাইলস্টোন ছোঁয়ার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছিলেন রিচা চাড্ডা। প্রেগন্যান্সি পর্ব থেকে বিগত বারো মাস ধরে সন্তানের ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠা এবং একরত্তির সঙ্গে কাটানো নানা মুহূর্তের কোলাজ রয়েছে সেই ভিডিওতে। সেখানেই স্বাভাবিক পদ্ধতিতে (নরম্যাল ডেলিভারি) সন্তান প্রসব করার কথা জানিয়ে আক্রমণের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তিনিও পালটা চাঁচাছোলা ভাষায় জবাব ছোড়েন। রিচা চাড্ডা লিখেছিলেন, ‘আমি যদি নরম্যাল ডেলিভারি শব্দটা প্রয়োগ করতাম, তাহলেও আপনারা এধরনের মন্তব্য করতেন। যোনি-প্রসব শব্দটা নিয়েই এত আপত্তি! এটা আমার পেজ, আমার যোনি, আমার সন্তান। আর নারীবাদ আমাকে নিজের মতো করে শব্দ নির্বাচন করতে শিখিয়েছে। তাতে আপনাদের কী?’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.