ছবি: ইনস্টাগ্রাম
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলা চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অবদান বলে বোঝানো যাবে না। অভিনয় করা বা একজন নামি অভিনেত্রী হয়ে ওঠার পাশাপাশি বিভিন্ন ভূমিকায় তাঁকে দেখেছেন দর্শক। এবার অভিনেত্রী থেকে ‘কবি’ ঋতুপর্ণা। না, এ কোনও ছবির চরিত্র নয়। বরং বাস্তবেই এবার কবি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবেন অভিনেত্রী।
অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনা ও সমানতালে সংসার ও সন্তানদের সময় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যস্ত জীবন থেকে সময় বের করে নিয়ে নিজের জীবোনের নানা ঘটনা কবিতার আকারে লিখে ফেলেছেন ঋতুপর্ণা। ব্যক্তিগত জীবন থেকে অভিনয় জীবনের সবসিক, নানা ওঠাপড়া তিনি তুলে ধরেছেন ‘মাই ব্যালকনি সি অ্যান্ড আদার পোয়েমস’এ। বিগত এক দশক ধরে কবিতা লেখার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন তিনি। অবশেষে সেই বইই প্রকাশ পাচ্ছে। ঋতুপর্ণার সেই কবিতাই এবার অনুবাদ করা হয়েছে ফরাসি ভাষায়। কলকাতার বুকে আগামী ৩০ আগস্ট আলিয়াস ফ্রাঁসোতে হবে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বইপ্রকাশ অনুষ্ঠান। এই বই অনুবাদ করেছেন ত্রিনাঞ্জন চক্রবর্তী।
যদিও এই মুহূর্তে অভিনেত্রীর ব্যস্ততা তুঙ্গে। শুক্রবার, ২৯ আগস্টই মুক্তি পেয়েছে ছবি ‘বেলা’। অল ইন্ডিয়া রেডিও, মহিলামহল, বেলা দে, এক সময়ের বাঙালির মনেপ্রাণে জড়িয়ে গিয়েছিল এই তিনটি নাম। বিশেষ করে বাঙালি মেয়ে, সাধারণ বাঙালি মেয়ের আটপৌরে যাপন এবং পুরুষ শাসিত, সংস্কার আচ্ছন্ন সমাজে তার নিঃসঙ্গ লড়াই, তার এই জাগৃতি ও নিজেকে খুঁজে পাওয়ার যাত্রা, তার অহং এবং আত্মসম্মানকে পাপোশ থেকে তুলে নিজের পায়ে দাঁড় করানোর সাহস ও শক্তি, এই সব কিছুর সঙ্গে একদিন ওতপ্রোত হয়ে গিয়েছিল বেলা দে-র নাম। এই সময়টা অনেক বাঙালির কাছেই এখন ধূসর পান্ডুলিপি। তখন সবে রবীন্দ্রনাথ মারা গেলেন। সবে ভারত স্বাধীন হল। রবীন্দ্রনাথের অবসান এবং স্বাধীন ভারতের প্রথম মধ্যরাত এবং জওহরলাল নেহরুর সেই ধ্রুপদী ভাষণ, সব আছে অনিলাভ চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ‘বেলা’ ছবিতে। আর সেই ‘বেলা’ চরিত্রেই দর্শক দেখতে পাবেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.