সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে নিজের বাসভবন ‘সদগুরু শরণে’ দুষ্কৃতীর হামলার মুখে পড়েছিলেন সইফ আলি খান। জানা যায়, যথাসময়ে সইফ সেখানে উপস্থিত না হলে দুই সন্তান জেহ-তৈমুরের পাশাপাশি বাড়ির পরিচারিকারও বড়সড় বিপদ হতে পারত। তবে নিজের জীবন বাজি রেখে দুষ্কৃতীর উপর ঝাপিয়ে পড়েছিলেন নবাব। তখনই ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন তিনি। ঘটনার মাসখানেক পেরলেও ‘অভিশপ্ত’ সেই রাতের কথা ভোলেনি পরিবার! তবে হামলার একসপ্তাহের মাথায় অস্ত্রোপচারের পর যখন সইফ হাসপাতাল থেকে নিজে পায়ে হেঁটে বেরিয়েছিলেন, তখন অনেকেই হামলার ঘটনাকে মিথ্যে, ভুয়ো বলে কটাক্ষ করেছিলেন। এমনকী, সইফকে এমন খোঁটাও শুনতে হয়েছিল যে, প্রচারের জন্যই ‘লঘু কাণ্ডকে গুরু রূপে তুলে ধরছেন পতৌদিরা!’ দশ মাস বাদে এবার সংশ্লিষ্ট ঘটনায় মুখ খুললেন সইফ আলি খান।
সম্প্রতি কাজল, টুইঙ্কল খান্নার টক শোয়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সইফ। সেখানেই কাজলের প্রশ্নের মুখে পড়ে ওই অভিশপ্ত পর্ব নিয়ে মুখ খোলেন পতৌদিদের অন্তিম নবাব। কথাপ্রসঙ্গে কাজল সইফকে জিজ্ঞেস করেন, “গুরুতরভাবে জখম হওয়ার পর তোমার কঠিন অস্ত্রোপচার হয়, তারপরও হাসপাতাল থেকে কীভাবে পায়ে হেঁটে বেরলে তুমি?” উত্তরে সইফ জানান, “সব মিটে যাওয়ার পর অনেকে এসেছিলেন নানা উপদেশ নিয়ে। কীভাবে বাড়ি ফিরব, কী করব… অনেকে অনেক পরামর্শ দিচ্ছিলেন। উপরন্তু মিডিয়াও কৌতূহলী ছিল। তবে আমি কাউকে কিছু বলিনি। কারণ আমার কথা শোনার মতো অবস্থায় কেউ ছিলই না। শুধু একটা কথা বলেছিলাম, ‘শোনো, মিডিয়ার কৌতূহলটা এখানেই মিটিয়ে ফেলা উচিত। আমাকে হেঁটে হাসপাতাল থেকে বেরতে দাও।’ খুব কষ্ট হচ্ছিল। আমার পিঠে উপর পর্যন্ত সেলাই করা ছিল। একসপ্তাহ হাসপাতালে ছিলাম। হাঁটতে মারাত্মক কষ্ট হচ্ছিল কিন্তু হুইলচেয়ারের প্রয়োজন বোধ করিনি।” কেন?
এপ্রসঙ্গে সইফের সংযোজন, “আমার মনে হয়েছিল, বিষয়টাকে বেশি নাটকীয় করার প্রয়োজন নেই। তখন কেউ বলেছিল, ‘তোমার অ্যাম্বুলেন্সে যাওয়া উচিত।’ কেউ বলেছিল, ‘তোমার হুইলচেয়ারে যাওয়া উচিত।’ তবে আমি একটাই কথা ভেবেছিলাম যে, আমার পরিবার, এত শুভাকাঙ্ক্ষী, অনুরাগীদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রাখার কোনও মানে হয় না। তাই নিজে হেঁটে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে ছবি তুলে ওদের আশ্বস্ত করতে চেয়েছিলাম যে, আমি ঠিক আছি, চিন্তার কিছু নেই। পরিবার, অনুরাগীদের মুখ চেয়ে কোনওরকম প্যানিক সৃষ্টি করতে চাইনি। কিন্তু সেটা দেখেই নেটপাড়ায় অনেকে আমার উপর এই হামলার ঘটনাকে ‘সাজানো’ বলে আক্রমণ করা শুরু করেন। কেউ বা পুরোটাই ‘মিথ্যে ঘটনা’ বলে দাবি করেন। আসলে আমরা তো এরকম একটা পৃথিবীতেই বাস করি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.