সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) হামলাকারীর বাংলাদেশ যোগ নিয়ে তুমুল শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। কীভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশিরা ভারতে প্রবেশ করে অসামাজিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে? সেই প্রশ্নও উঠেছে। কখনও সোশালপাড়ায় কেজরি-ফরণবিসের বাক-বিতণ্ডা আবার কখনও বা সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে তৃণমূল-বিজেপির তরজাও হয়েছে। এদিকে নবাবের বাড়িতে হামলার ঘটনায় নিত্যদিন নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। এবার ধৃত শরিফুল ইসলাম শেহজাদ সম্পর্কে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন তাঁর বাবা মহম্মদ রহুল আমিন। তাঁর দাবি, “শেখ হাসিনার জন্যই ভারতে অনুপ্রবেশ শরিফুলের।”
রহুল আমিনের দাবি, তাঁর ছেলেকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। বাংলাদেশের টালমাটাল পরিস্থিতির জন্যই শরিফুলকে ভারতে চলে আসতে হয়। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ধৃত শরিফুলের বাবা নিজেকে বিএনপির নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, “হাসিনা সরকারের কারণেই ছেলেকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসতে হয়। বাংলাদেশেই অবৈধভাবে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করে গত বছর (২০২৪) এপ্রিল মাসে শরিফুল ভারতে চলে যায়। মুম্বইতে এক হোটেলে কাজও করছিল। পারিশ্রমিক পেত। আমরা বাংলাদেশের জালোকাঠি জেলার বাসিন্দা। আমি বিএনপি দল করতাম। আমার দুই সন্তানও সেই পার্টির সঙ্গেই যুক্ত ছিল।” ধৃত শরিফুলের বাবার আরও বিস্ফোরক দাবি, “সেইসময়ে শেখ হাসিনা অনেক মানুষকে মেরে ফেলছিলেন। তাই আমার ছেলের পক্ষে আর বাংলাদেশে থাকা সম্ভব হয়নি। ভারতে পালিয়ে যাওয়া ছাড়াও আর কোনও উপায় ছিল না ওর কাছে।”
পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বটে কিন্তু সইফের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে যাকে দেখা গিয়েছে সে অন্য লোক। ওই সাক্ষাৎকারে রুহুল আমিন বলেছেন, “সিসিটিভি ফুটেজে যাকে দেখা গিয়েছে তার চুল অনেক বড়বড়। আর আমার ছেলে বরাবর ছোট চুল রাখে। অনেকটা সেনাকর্মীদের মতো। গত ৩০ বছরে কখনও চুল বড় করেনি।” রহুল আমিন এও স্পষ্ট করে দেন যে, তাঁর ছেলের পক্ষে বলিউডের এমন নামী তারকার উপর হামলার ছক কষা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, ১৬ জানুয়ারি রাতে সইফের বাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালায় এক দুষ্কৃতী। তিন দিন খোঁজাখুঁজির পর ওই ঘটনায় বাংলাদেশি নাগরিক শরিফুলকে গেপ্তার করে পুলিশ। সেই ঘটনায় শুক্রবারই সইফের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। মুম্বই পুলিশকে দেওয়া বয়ানে সইফ জানিয়েছেন, সেদিন স্ত্রী করিনার সঙ্গে ঘরেই ছিলেন তিনি। আচমকা বাইরে থেলে পরিচারিকা এলিমা ফিলিপসের চিৎকার শুনতে পান। এলিমা করিনাদের ছোট সন্তান জেহ-র দেখাশোনা করেন। জেহ রাতে তাঁর সঙ্গেই ঘুমিয়েছিল। এলিমার চিৎকার শুনে সইফ এবং করিনা ছুটে যান এলিমার ঘরে। দেখতে পান দুষ্কৃতীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি চলছে এলিমার। অভিনেতা জানিয়েছেন, দুষ্কৃতী জেহ-র ঘর থেকে বের করার জন্য তিনি তাঁকে জাপটে ধরেন। সেসময় ওই দুষ্কৃতী তাঁকে এলোপাথাড়ি ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালানোর চেষ্টা করে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.