সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেলেবদের গতিবিধির উপর চব্বিশ ঘণ্টা ফটোশিকারিদের লেন্সের তাক থাকে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সুবাদে সেই সংস্কৃতি আরও বেড়েছে বই কমেনি! জিম থেকে রেস্তরাঁ, শপিং সর্বত্রই তারকাদের সঙ্গী পাপারাজ্জি। এমনকী শেষকৃত্যেও নিস্তার নেই! সম্প্রতি শেফালি জরিওয়ালার মৃত্যু (Shefali Jariwala Death) তার জ্বলন্ত উদাহরণ। ‘কাঁটা লাগা গার্ল’কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া থেকে তাঁর শেষকৃত্যের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করতে পেটের দায়ে ছবিশিকারিরা প্রায় হুড়মুড়িয়ে পড়েছিলেন! কখনও তাঁদের হাত থেকে বাঁচতে গাড়িতে বসে মুখ ঢেকেছেন শেফালির স্বামী। আবার কখনও বা অভিনেত্রীর পরিবারের সদস্যরা তাঁর শেষ যাত্রার নিয়মাবলী পালন করতে গিয়ে বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন। এবার সেই প্রেক্ষিতেই ফটোশিকারিদের একহাত নিলেন সোনাক্ষী সিনহা।
বলিউডের পাপারাজ্জি সংস্কৃতি নিয়ে রীতিমতো তিতিবিরক্ত সোনাক্ষী সিনহা (Sonakshi Sinha)। এর আগে জয়া বচ্চন, কাজল, শাহিদ কাপুর-সহ আরও অনেকের রোষানলে পড়তে হয়েছে ফটোশিকারিদের। এবার শেফালির মৃত্যুর পর যেভাবে প্রতিমুহূর্তের ছবি-ভিডিও নেটপাড়ায় ভাইরাল হয়েছে, তাতে ক্ষিপ্ত সোনাক্ষী। দিন দুয়েক আগেই প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন বরুণ ধাওয়ান, জাহ্নবী কাপুর। এবার মুখ খুললেন সোনাক্ষী। এক বলিউড মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোনাক্ষী জানিয়েছেন, “দেখুন সোশাল মিডিয়ায় কোন জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে? আর এই পাপারাজ্জি সংস্কৃতিটাও কোথায় নেমেছে দেখুন! শেষকৃত্যে গেলেও ক্যামেরাবন্দি হতে হচ্ছে। আমার বড্ড উদ্ভট লাগে এসব। একটা পর্যায়ে এসে এসব এড়িয়া যাওয়াই শ্রেয় কিন্তু তাতে অভ্যস্ত হতে সময় লাগে।” সোনাক্ষীর এই মন্তব্যে সায় দিয়ে আবার একাংশের মন্তব্য, ‘সেলেবদের মৃত্যু নিয়েও এত উল্লাস কেন?’
প্রসঙ্গত শেফালি জরিওয়ালার মৃত্যুর পর প্রতি পদে তাঁর স্বামী পাপারাজ্জিদের অনুরোধ করেছিলেন, এই মুহূর্তগুলো যাতে ক্যামেরাবন্দি না করা হয়। পরাগ ত্যাগী রীতিমতো হাতজোড় করে সকলকে বলেছিলেন, ‘এমন বিষয়কে মজায় পরিণত করবেন না। আমি প্রত্যেককে অনুরোধ করছি দয়া করে ক্যামেরা বন্ধ করে আমার পরীর জন্য প্রার্থনা করুন।’ কিন্তু সেটা হয়নি। সেপ্রেক্ষিতেই
এর আগে রবিবার নিজের ইনস্টা পোস্টে বরুণ ধাওয়ান লিখেছিলেন, ‘আবারও একজন মানুষের মৃত্যু দেখিয়ে দিল কীভাবে এতটা অমানবিক হওয়া যায়। আমি বুঝি না কোনও তারকা প্রয়াত হলে তাঁর মৃত্যু ও তাঁর পরিবারের শোককে খবর করার এত প্রয়োজন পড়ে কেন? প্রত্যেকেই এর কারণে অপ্রস্তুত হয় পড়েন, তবুও একাজ থামেনা। কীভাবে এটা সম্ভব? সংবাদমাধ্যমের বন্ধুদের আমার অনুরোধ, কারোর শেষযাত্রা যাতে এভাবে খবর না করা হয় সেদিকে নজর রাখতে।’ বরুণের মন্তব্য শেয়ার করে জাহ্নবী কাপুর লেখেন, ‘যাক, কেউ তো কথাটা বলল।’ এবার সেই একই কথা সোনাক্ষী সিনহার মুখে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.