Advertisement
Advertisement
গাজি সাহেব

সুন্দরবনে অমিতাভ ও আমিরের নামে কলেজ বানাচ্ছেন এই ট্যাক্সিচালক

কেন এমন উদ্যোগ?

Taxi-driver to build college in the name of Aamir and Amitabh
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:August 25, 2019 4:26 pm
  • Updated:August 25, 2019 4:37 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  খাস বাংলায় আমির-অমিতাভের নামে কলেজ? প্রিয় তারকার নামে লোকে কি-ই না করে, কিন্তু কলেজ! শুনে অবাক লাগলেও, এমনটাই সত্যি। আর সেই কলেজ তৈরি করছেন এক ট্যাক্সিচালক। লোকে তাকে গাজি সাহেব নামেই চেনেন। নরেন্দ্রপুরের উথিলার বাসিন্দা। ছাপোষা নিম্ন মধ্যবিত্ত জীবনযাপন। থাকেন বাঁশ-টালির চালা ঘরে। তবে এর মাঝেই নিজের জীবনের সঞ্চয়ের টাকা থেকে তৈরি করে ফেলেছেন ৩ তিনটি স্কুল। যেখানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা সব মিলিয়ে ৫৪০। আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া ছেলে মেয়েদের জন্যই তৈরি করা গাজি সাহেবের এই ৩ টি স্কুল। তবে এবার কলেজ তৈরির পথে ট্যাক্সিচালক গাজি সাহেব।

Advertisement

[আরও পড়ুন: স্টেশন মাস্টারের ভূমিকায় সলমন, ‘বিগ বস’-এর টিজারেই চমক অভিনেতার ]

কিন্তু হঠাৎ দুই বলিউড ‘মহাতারকা’র নামে কলেজ কেন? না, ঠিক অনুরাগী হওয়ার জন্যই তাঁদের নামে কলেজ তৈরি করছেন না। নেপথ্যে রয়েছে অন্য কারণ। ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র (কেবিসি) দৌলতে গাজি সাহেব অবশ্য বেশ পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন। গত বছর অক্টোবরের কথা। কেবিসি’র ‘কর্মবীর’ নামে বিশেষ পর্বে তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার ১ মাস আগেই কেবিসি নির্মাতাদের তরফে ফোন পেয়েছিলেন গাজি সাহেব। তবে শোয়ে তিনি হাসিমুখেই স্বীকার করেছিলেন যে একটি প্রশ্নের উত্তরও তিনি দিতে পারবেন না। সেই সময়ে গাজি সাহেবের হয়ে খেলেছিলেন অভিনেতা আমির খান। কারণ, ‘ঠাগস অফ হিন্দোস্তান’-এর প্রচারের জন্য আমিরও উপস্থিত ছিলেন শোয়ে। জিতেছিলেন ২৫ লক্ষ টাকা। এছাড়াও শোয়ের সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চন তাঁকে দিয়েছিলেন ২১ লক্ষ টাকা। তাই তাঁদের প্রতি সম্মান জানিয়েই অমিতাভ বচ্চন এবং আমির খানের নামের আদ্যাক্ষর দিয়ে কলেজের নামকরণ করবেন গাজি সাহেব। নাম হবে ‘সুন্দরবন এ এ কলেজ’। জমি দেখার কাজ চলছে।

সস্ত্রীক গাজি সাহেব

 

[আরও পড়ুন: মা হচ্ছেন ভক্ত, সুখবর শুনে শুটিং থেকে সটান অনুরাগীর বাড়িতে হাজির রণবীর ]

আজকের ব্যস্ত জীবনে যখন আমাদের কারওরই কারও দিকে তাকানোর মতো সময়টুকু নেই। তখন গাজি সাহেব দুঃস্থ ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে ভাবছেন। তার পড়শিদের কথায়, এটাই বা কম বড় কথা কী! নিজে পড়াশোনা করতে পারেননি। নিজের মতো করে রুজির সন্ধান করে নিলেও, তাঁর মনে পড়াশোনা না করতে পাড়ার সেই আক্ষেপটা রয়েই গিয়েছে। ৩ টি স্কুলে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয় বাংলা, হিন্দি, উর্দু এবং অঙ্ক। অসহায় দুঃস্থরা সেখানে কম্পিউটার, টেলারিং, জরি শিক্ষা নেন। শিক্ষক রয়েছেন ২৬ জন। এই প্রথমবার বাংলায় কোনও তারকাদের নামে কলেজের নামকরণ হতে চলেছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ