Advertisement
Advertisement
Tollywood

আখেরেই হাউসফুল না ‘ফুল’! টলিউডে প্রেক্ষাগৃহ ভরানোর সহজ ‘টনিক’ কী?

'অর্গ্যানিক' বিশ্বাসে মিলায় হিসেব, তর্কে বহুদূর!

Techniques for publicity of Tollywood films
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:September 10, 2025 9:49 pm
  • Updated:September 11, 2025 2:29 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বলিউড কিংবা দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির মতো বাজেট না থাকলেও পুজোর বক্সঅফিসে বাংলা সিনেমার ক্যাশবাক্সে লক্ষ্মীদেবীর কৃপা বরাবর থাকে। নেটভুবন আলো করে ধরা দেয়, দলে দলে হাউসফুল ভরানোর ছবি কিংবা বক্স অফিসের প্রতিযোগিতামূলক পোস্টের ভিড়। যদিও ‘অর্গ্যানিক’ বিশ্বাসে মিলায়ে হিসেব, তর্কে বহুদূর! তবে প্রায়শই প্রশ্ন ওঠে, সিনেমার ‘হাউসফুল বোর্ড’ নিয়ে। কৌতূহলীদের প্রশ্ন, প্রেক্ষাগৃহ ভরানোর সহজ ‘টনিক’ কী?

Advertisement

টলিউডের অন্দরে এই ‘হাউসফুল থিওরি’ নিয়ে আবার নানা মুনির নানা মত। সূত্রের খবর, প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের ভাঁটা পড়লেই ডাক পড়ে হল ভরানোর এজেন্টদের! হল ভরানোর জন্য কলকাতার বুকে রীতিমতো নানা সংস্থা গজিয়ে উঠেছে ব্যাঙের ছাতার মতো। কী কাজ এই সংস্থাগুলির? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইন্ডাস্ট্রি ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির কথায়, “খুব সাদামাটা কাজ। ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শোয়ে হাউসফুল বোর্ড টাঙাতে হবে? কিংবা প্রথম দু’-তিন দিন সিনেমা চলার পর প্রেক্ষাগৃহে তেমন ভিড় নেই? নম্বর ডায়াল করলেই মুশকিল আসান! ওই সংস্থাগুলি উপঢৌকনের বিনিময়ে দর্শক সরবরাহ করে। গ্যাঁটের কড়ি খরচ করলেই কেল্লাফতে!”

তবে এহেন গুঞ্জন ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে শুরু হলেও আরেক পক্ষের মত আবার, বাংলা সিনেমার ক্ষেত্রে তো সেটা আদতেও কোনও ক্ষতি করছে না! একদঙ্গল লোকের উন্মাদনা দেখে যদি আরও কিছু সংখ্যক মানুষ হলে বাংলা সিনেমা দেখতে আসেন, সেটা তো আখেরে টলিউডের ক্যাশবাক্সই চাঙ্গা করবে। এবার প্রশ্ন, পঁচিশের পুজোর মরশুমেও চার-চারটে ‘গ্ল্যামারাস’ রিলিজ। স্বাভাবিকভাবেই ‘সুস্থ’ প্রতিযোগিতা বহাল থাকবে। কিন্তু এক্ষেত্রেও কি তেমন সংস্থাগুলির ডাক পড়বে? নজর থাকবে সেদিকে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ