সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিলোত্তমার অভিজাত পরিবারের পুজোগুলির মধ্যে মল্লিক বাড়ির পুজো নিঃসন্দেহে অন্যতম। স্বাভাবিকবশতই ভবানীপুরের এই মল্লিক বাড়ির পুজোর দিকে নজর থাকে সবারই। কারণ, এই পুজো পুরোপুরি অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিকের তত্ত্বাবধানে হয়ে থাকে। আর রঞ্জিত-কন্যা কোয়েলও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হাতে হাত লাগিয়ে নেমে পড়েন পুজোর কাজে। এক্কেবারে আর পাঁচজন সাধারণ মেয়ের মতোই পুজোর এই পাঁচ দিন অভিনেত্রী মেতে ওঠেন দুর্গা আরাধনায়।
এবারের পুজোতেও পরিবারের সবার সঙ্গে একেবারে ঘরোয়া মেজাজে দেখা গেল টলিউডের এক নায়িকাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বাড়ির দুর্গাপুজোর একটি ভিডিও শেয়ার করে অনুরাগীদের পুজোর শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন কোয়েল মল্লিক। সঙ্গে বাঙালি সিনেদর্শকদের ধন্যবাদ জানালেন ‘মিতিন মাসি’কে স্বাগত জানানোর জন্য। আর যারা দেখেননি এখনও, তাঁদেরকেও অনুরোধ জানিয়েছেন এই ছবি তাড়াতাড়ি দেখে নেওয়ার জন্য।
এবারও মল্লিক বাড়ির পুজোয় জাঁকজমকপূর্ণ দেবী আরাধনার অন্যথা হয়নি। মল্লিক বাড়ির পুজো বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে একচালা চালচিত্রের প্রতিমা. ডাকের সাজ, টানাটানা চোখ। সাবেকী গন্ধ মাখা সেই পুজোর ধাঁচ আজও প্রচলিত রয়েছে মল্লিক বাড়িতে। সালটা ১৯২৫। এই বাড়িতে শুরু হয়েছিল দুর্গা আরাধনা। ৯৫ বছর ধরে দুর্গাপুজোর স্মৃতিবিজড়িত এই দালানটিতেই উমার আরাধনা শুরু করেন রাধামাধব মল্লিকের পুত্রেরা। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে জনপ্রিয়তা। এক পুজোকে কেন্দ্র করেই কলকাতার রূপে বদল এসেছে বহুবার। কিন্তু সেই পরিবর্তনের স্রোতে গা না ভাসিয়ে স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখেই এগিয়ে চলেছে আজকের মল্লিক বাড়ির দুর্গাপুজো। বর্ধমানের শ্রীখণ্ড এবং গুপ্তিপাড়া নিবাসী বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রাধামাধব মল্লিকদের পৈতৃক বাড়িতে দুর্গাপুজোর চল ছিল বহু আগে থেকেই। তবে ভবানীপুরের বাড়ির অন্নপূর্ণা দালানে প্রথমে দুর্গা নয়, বরং তাঁরই অন্যতম এক রূপ অন্নপূর্ণার আরাধনা শুরু হয়। পরবর্তীতে রাধামাধব মল্লিকের ছোট ছেলে সুরেন্দ্রমাধব মল্লিক এবং তাঁর অন্যান্য ভাইদের উদ্যোগে শুরু হয় ‘আনন্দিতা শ্যামলী মাতৃকার চিন্ময়ীকে মৃন্ময়ীতে আবাহন’। মোহিনী মোহন রোডের এই বাড়িতে সেই ইতিহাসকে বহন করে বিগত ৯৫ বছর ধরে আজও পূজিত হয়ে আসছেন দেবী দুর্গা।
View this post on Instagram
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.