Advertisement
Advertisement
Surangana Bandyopadhyay

‘আমার আর ঋদ্ধির পছন্দগুলো এক’, সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে অকপট সুরঙ্গনা

'যদি কখনও একে অপরের বিপরীতে কাজ করি তখন ও আমার পরের মুভটা বুঝে যায়'- সুরঙ্গনা।

tollywood actress Surangana Bandyopadhyay about her filmy career

ছবি: সোশাল মিডিয়া

Published by: Arani Bhattacharya
  • Posted:October 10, 2025 2:27 pm
  • Updated:October 10, 2025 2:27 pm   

হইচই-এ ‘নিশির ডাক’ মুক্তির আগে আড্ডায় সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুনলেন বিদিশা চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

পুজো কেমন কাটল? কী করলেন?
…পুজোয় সেভাবে কিছু করিনি। সিনেমা দেখেছি বেশ কিছু। পছন্দের সিনে। দু-তিনবার দেখেছি।

জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘নিশির ডাক’-এ দেখা যাবে আপনাকে? এই সিরিজটা নিয়ে জানতে চাই।

…‘নিশির ডাক’-এ জয়দীপদার সঙ্গে আমার দ্বিতীয় কাজ। একটা ফোকলোর-এর বিষয় রয়েছে। ‘নিশির ডাক’-এর যে গল্প আমরা ছোটবেলায় শুনেছি তার সঙ্গে মিল আছে। আর টিজারে যেটুকু দেখা যাচ্ছে সেটার প্রেক্ষিতে আমার চরিত্র সম্পর্কে কিছুই বলতে পারব না। তবে এই সিরিজে আমার গান রয়েছে। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।

কোনও কাজে হ্যাঁ বলার সময় কোন দিকটা বিবেচনা করেন?
…এমন নয় আমাদের এখানে বাছবিচারের অনেক সুযোগ আছে। তবে আমি খুব ভাগ্যবান যে এখনও পর্যন্ত যা চরিত্র পেয়েছি, সেগুলো করতে ভালোই লেগেছে।

আপনি তো নাচ এবং গানটাও খুবই ভালো পারেন, নিজের কোনটা বেশি পছন্দের?

…আমি গানের পরিবারে বড় হয়েছি। মা-বাবা খুবই ভালো গান করেন। ছোটবেলা থেকে গান আমার সঙ্গে। সেটা ছাড়া নিজেকে ভাবতেই পারি না। আবার এটাও ঠিক যে অভিনয় সিরিয়াসলি নেওয়ার পর থেকে, সেটাও আমার একটা অংশ হয়ে গিয়েছে। তবে পেশা বাদ দিয়ে শুধুই নিজের জন্য যদি কিছু করি সেটা হল ছবি আঁকা। আমি ছবি আঁকতেও খুব ভালোবাসি।

‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’-এর পর প্রায় দশ বছর হয়ে গেল। এই ছবির পর জীবনে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। পিছন ফিরে তাকালে কী মনে হয়?

…আসলে এই ছবিটা আমার কাছে খুব অন্য রকমের একটা অভিজ্ঞতা। পেশাদারভাবে এক্সপোজার যা পেয়েছি, সে সব বাদ দিয়েই বলছি এই ছবিটা ব্যক্তিগতভাবে আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। নতুন বন্ধু দিয়েছে, প্রেম দিয়েছে। অনিন্দ্যদা (চট্টোপাধ্যায়) আমাদের সকলের কাছে ফাদার-ফিগারের মতো। নানাভাবে এই ছবি আমার কাছে লাইফ চেঞ্জিং।

ইন্ডাস্ট্রিতে দশ বছরের বেশি হয়ে গেল আপনার। সেভাবে পি.আর. করেন না, সোশাল মিডিয়াতেও খুব একটা দেখা যায় না। রিলস করেন না। এতগুলো দিন টিকে যাওয়ার পর কী মনে হয়?

…আমি আসলে কোনও কিছুই খুব চেষ্টা করে করিনি। যাঁরা সমাজ মাধ্যমে দারুণভাবে উপস্থিত বা রিলস করেন, তাঁদের  প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে– সবাই সকলের মতো করে কাজ করে। আর সোশাল মিডিয়া খুবই আনপ্রেডিক্টেবল। কখন কী দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করবে বলা মুশকিল। সেটা নিয়ে ভাবি না। কাজের প্রচারে যতটুকু দরকার ততটুকু ব্যবহার করি। এইটুকু বলতে পারি আমার কাছে যে কাজই এসেছে সেটা যতটা সম্ভব সৎভাবে করার চেষ্টা করেছি। সেটা থেকেই আবার অন্য কাজ এসেছে। কাজের ব্যাপারে আমি সত্যি খুব লাকি। যা কাজ করেছি সেটা নিয়ে আমি খুবই খুশি।

ঋদ্ধি সেনের সঙ্গে আপনার অনেক দিনের সম্পর্ক। পার্টনার একই পেশার হলে সেটা চ্যালেঞ্জিং? ভালো দিক কোনটা?

…আমার তো মনে হয় পুরোটাই অ্যাডভান্টেজ। অবশ্য সেটা নির্ভর করে নির্দিষ্ট ব্যক্তির উপর। আমার আর ঋদ্ধির ক্ষেত্রে সুবিধে হল আমার আর ওর সিনেমা, সাহিত্যের পছন্দগুলো এক। আমরা থিয়েটারে একসঙ্গে কোলাবরেট করি। বা ও কিছু পরিচালনা করলেও আমি নানাভাবে কোলাবরেট করি। সেটা খুব সুন্দর একটা জায়গা। আর চ্যালেঞ্জ যদি বলো, তা হলে বলব, যদি কখনও একে অপরের বিপরীতে কাজ করি তখন ও আমার পরের মুভটা বুঝে যায়। অভিনয়ে যে অপ্রত্যাশিত ব্যাপার থাকে সেটার
সুযোগ কমে যায়। আর সেটাও অভিনয়ের মজার জায়গা, ফ্যামিলিয়ারিটি ভুলে গিয়ে নতুন করে দেখা।

‘ডিটেক্টিভ চারুলতা’-য় আপনাকে দারুণ লেগেছে, নিজে অবাক হয়েছিলেন এমন চরিত্র পেয়ে?

… হ্যাঁ, আমি নিজে খুব সন্দিহান ছিলাম। তারপর মনে হয়েছে কেনই বা একজন অল্প বয়সি মহিলা গোয়েন্দা হতে পারবে না, তবে আমার কাছে খুব বড় চ্যালেঞ্জ ছিল অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করা। স্কুলে কেউ বদমাইশি করলে বড়জোর চড়-থাপ্পড় মেরেছি, মারকুটে আমি কোনওদিন ছিলাম না। বন্ধুরা দেখে হাসবে এটাও মনে হয়েছে। তবে সেটে যারা ছিল খুবই সাহায্য করেছে আর আমিও আমার যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছি। কেউ অ্যাকশন দৃশ্যে দারুণ অভিনয় করলে আমি সেটা খুব শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখি। যতটা সহজ মনে হয় তা একেবারেই নয়।

‘পুতুল নাচের ইতিকথা’-য় জয়া আহসান, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, আবির চট্টোপাধ্যায়ের পাশে দারুণ অভিনয় করেছেন!

…জয়া আহসান বা পরমদার সঙ্গে বেশি দৃশ্য ছিল আমার এবং প্রত্যেকে আমাকে সেটে খুবই কমফর্টেবল ফিল করিয়েছে, সেটা খুব বড় ব্যাপার। আমার মনে আছে গাছের তলায় বসে আমার পরমদার যে সিনটা সেটা একরকমভাবে প্রিপেয়ার করার পর, শুটের ঠিক আগে সুমনদা দৃশ্যটা পাল্টে দেয়। এবং তাতে মনে হয় একটা স্বতঃস্ফূর্ততা এসেছে এবং দৃশ্যটা আরও সুন্দর হয়েছে।

সুরাঙ্গনাকে চিনতে হলে গান শুনতে হবে, না কি অভিনয় ফলো করতে হবে!
…তা হলে তো বন্ধুত্ব করতে হয়। কিন্তু গান শুনে বা অভিনয় দেখে যে ধারণাই তৈরি হোক, সেটাও আমার একরকম প্রাপ্তি।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ