Advertisement
Advertisement
নুসরত জাহান

করোনা তহবিলে ৩০ লক্ষ টাকা-সহ একমাসের বেতন দিলেন সাংসদ নুসরত

দেব-মিমির পর এবার করোনা মোকাবিলায় শামিল নুসরত।

Trinamool MP Nusrat Jahan donates 30 lakhs to CM's relief fund
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:March 29, 2020 9:44 am
  • Updated:March 29, 2020 9:58 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বসিরহাটবাসীদের জন্য বড় ঘোষণা তৃণমূলের তারকা সাংসদ নুসরত জাহানের। করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দিচ্ছেন নিজের এক মাসের বেতন এবং নিজস্ব সাংসদ তহবিল থেকে ৩০ লক্ষ টাকা। দেব এবং মিমি চক্রবর্তীর পর এবার করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান।

Advertisement

গতকাল অর্থাৎ শনিবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথ অনুসরণ করে রাস্তায় নেমেছিলেন আমজনতাকে ভরসা জোগাতে। লকডাউন পরিস্থিতির মাঝে মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস পরে সচেতনবার্তা দিয়ে এসেছেন চেতলা বাজারে। এবার COVID-19 মোকাবিলায় নিজের সাংসদ তহবিল থেকে ৩০ লক্ষ টাকা দান করলেন অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরত জাহান। প্রদান করা এই অর্থ তাঁর নিজস্ব সংসদীয় এলাকায় করোনা মোকাবিলার কাজে লাগানো হবে।

শনিবার নুসরতের তহবিল থেকে এই টাকা প্রদান করা হয়েছে। শুধু বসিরহাটবাসীই নয়, স্বাস্থ্যকর্মীদের দিকেও নজর রেখেছেন সাংসদ। বসিরহাট এলাকায় যত হাসপাতাল রয়েছে, সেখানকার স্বাস্থ্যকর্মীরা যাতে প্রত্যেকে যথাযথ মাস্ক, স্যানিটাইজার, গ্লাভস পান এবং করোনা চিকিৎসায় যাতে কোনওরকম খামতি না থাকে, সেই জন্যই নিজের সাংসদ তহবিল থেকে ৩০ লক্ষ টাকা এবং একমাসের সাংসদের বেতন প্রদান করেছেন নুসরত জাহান। এছাড়াও করোনা মোকাবিকায় প্রয়োজনীয় টেস্ট কিট এবং যাবতীয় সরঞ্জাম কেনার জন্যেও সাংসদের এই অনুদান থেকে টাকা ব্যায় করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বসিরহাটের হাসপাতালগুলিতে আইসোলেশন ওয়ার্ডের কাজেও লাগানো হবে এই টাকা। নুসরতের এমন উদ্যোগে স্বাভাবিকবশতই খুশি বসিরহাটবাসী।

[আরও পড়ুন: ‘মানুষ আপনাকে মনে রাখবে’, মুখ্যমন্ত্রীর তৎপরতায় মুগ্ধ পরিচালক সৃজিত]

প্রসঙ্গত, শুক্রবার ঘাটালের জন্য ১ কোটি টাকা নিজের সাংসদ তহবিল থেকে দিয়েছেন দেব। অন্যদিকে যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও ব্যক্তিগতভাবে ১ লক্ষ টাকা এবং নিজের তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ টাকা দান করেছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট এমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ডে।

উল্লেখ্য, শনিবার রাজ্যের লকডাউনের পঞ্চম দিনে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, এদিনই করোনা সংক্রমণের স্টেজ থ্রি-তে ঢুকতে পারে ভারত। সেক্ষেত্রে জনঘনত্বপূর্ণ দেশে মহামারি রোখা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। ইতিমধ্যে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে এক কিশোর ও দুই শিশু রয়েছে। তারপরেও আমজনতার একাংশের হুঁশ ফিরছে না। বাজারে, চায়ের দোকানে আড্ডা জমাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের সতর্ক করতেই মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথে হেঁটেছেন তৃণমূল সাংসদ নুসরতও। বাড়ির প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে বাজারে ঢুঁ মারার পাশাপাশি, জনগণকে সতর্কবার্তাও দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

[আরও পড়ুন: লোকগীতি চুরির অভিযোগ বাদশার বিরুদ্ধে, আড়ালেই রয়ে গেলেন স্রষ্টা রতন কাহার]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement