Advertisement
Advertisement
Rabindranath Tagore

বাইশে শ্রাবণ ‘রবি রাগ পথে’ কবিগুরুকে শ্রদ্ধাঞ্জলি তেজেন্দ্র নারায়ণ, শ্রীকান্ত আচার্য, জয় গোস্বামীর

কবে কোথায় এই অনুষ্ঠান? জেনে নিন।

Joy Goswami, Tejendra Narayan, Srikanto Acharjya to unite for Robi Rag Pothe
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:July 26, 2025 4:21 pm
  • Updated:July 26, 2025 4:22 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই ২২শ্রাবণ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণের দিন। কিন্তু বাঙালি মননে এবং সংষ্কৃতিতে যে রবীন্দ্রনাথ আজও অমর! আপামর বাঙালিদের কাছে তিনি অমর। রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু নেই!  তাঁর অগাধ প্রতিভা-ভাণ্ডার থেকে তাই আজও মণি-মানিক্য খুঁজে চলেছে বাঙালি। এই খোঁজ বিরামহীন। রবীন্দ্রনাথকে খুঁজতে গিয়ে এমনই এক নতুন পথের সন্ধান পেয়েছেন সমকালীন তিন গুণী শিল্পী- পদ্মশ্রী পন্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার, শ্রীকান্ত আচার্য এবং কবি জয় গোস্বামী। আর এই অন্বেষণের নাম তাঁরা রেখেছেন ‘রবি রাগ পথে’। নামকরণটির কৃতিত্ব অবশ্য কবি জয় গোস্বামীর। আগামী ৯ আগস্ট জিডি বিড়লা সভাঘরে সন্ধে সাড়ে ছয়টায় বিশ্বকবিকে নতুন আলো-আঙ্গিকে খোঁজার পথ দেখাবেন এই তিন দিকপাল। নিঃসন্দেহে বাঙালি তাঁর নিরন্তর রবীন্দ্রচর্চায় এক নতুন পথের দিশা পেতে চলেছেন।

Advertisement

‘রবি রাগ পথে’ আর পাঁচটি রাবীন্দ্রিক অনুষ্ঠানের মতো নয়, রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে তিন শিল্পীর গভীর অন্বেষণের প্রদর্শন। পন্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার, শ্রীকান্ত আচার্য এবং কবি জয় গোস্বামী- এই তিন জনের সাধনভূমি একেবারে ভিন্ন। তেজেন্দ্র নারায়নের ক্ষেত্রে এই ভূমি সরোদ, শ্রীকান্ত আচার্যের ক্ষেত্রে কন্ঠ এবং জয় গোস্বামীর ক্ষেত্রে ভাষা। এই তিন শিল্পী রবীন্দ্র-অন্বেষণে এমন কোন ‘আকর’ খুঁজে পেলেন যে তাঁরা ৯ আগস্টের সন্ধ্যায় একটা ত্রিভুজ তৈরি করবেন? এই আকর হল রাগ-রাগিনীর পথে রবীন্দ্রনাথের গানের বিস্তার। রাগপথে এই বিস্তারের  অন্বেষণ তিন শিল্পীকে একসুতোয় বেঁধে দিয়েছেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। রাগ-রাগিনীর নানা বাঁকে রবীন্দ্রনাথের গান কীভাবে আলোকবিস্তার করেছে সেই নিয়েই অনুষ্ঠান ‘রবি রাগ পথে’। অনুষ্ঠানে স্বাভাবিকভাবেই রবীন্দ্রনাথের গান শোনাবেন শ্রীকান্ত আচার্য, সেই গানের আধারিত রাগ বাজিয়ে শোনাবেন পদ্মশ্রী পন্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার। আর এখানে জয় গোস্বামী সূত্রধর। তিনি রবীন্দ্রনাথের রচনাপাঠ করে কীভাবে রাগ পথে রবীন্দ্রনাথের গান আলো ফেলেছে, তা মিলিয়ে দেবেন। সেটাই এই অনুষ্ঠানের প্রধান চমক। 

‘রবি রাগ পথে’ অনুষ্ঠানটি নিয়ে পন্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ন বলেন, “এই অনুষ্ঠানে আমি সরোদে কোনও রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজাব না, রবীন্দ্রনাথের গান যে রাগে আধারিত সেই রাগই বাজাব। আসলে অনেকেই ভাবেন রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে গেলে রাগসঙ্গীত না বুঝলেও চলবে। সেটা কিন্তু একদমই ঠিক নয়। রবীন্দ্রনাথের গানে কিছু কিছু জায়গায় রাগের এমন বিস্তার আছে, সেই রাগ না বুঝলে, না বিশ্লেষণ করলে কিন্তু ওই গান অনুভব করে ঠিকভাবে গাওয়া খুব মুশকিল। রবীন্দ্রনাথের গানে রাগের যে ব্যবহার তা এক বিস্ময়, সেই নিয়ে শুধু একটা ‘রবি রাগ পথে’ যথেষ্ট নয়। অজস্র অনুষ্ঠান করা যায়।” শ্রীকান্ত আচার্যের কথায়, “আমার তো মনে হয় রাগ সঙ্গীত নিয়ে রবীন্দ্রনাথ যা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন আর কেউ এমন করেননি। রবীন্দ্রনাথের গানে রাগ সঙ্গীত আর কাব্য যেভাবে মিলেমিশে আছে, তা বিশ্লেষণ করলে সত্যিই বিস্ময় জাগে।” আর সেই আলোকপথের পথিক হতে পারেন আপনারাও।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ