Advertisement
Advertisement
আর ডি বর্মন

‘গায়ক আর ডি আমার কাছে ইউরোপের ফোক সিঙ্গার’, বললেন নচিকেতা

ক্ল্যাসিক্যাল ফিউশন মিউজিক নিয়ে আর ডি অভাবনীয় কাজ করেছেন বলে জানান নচিকেতা।

Nachiketa reminisce his journey with music director R D Burman
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:June 27, 2019 5:08 pm
  • Updated:June 27, 2019 5:08 pm  

নচিকেতা চক্রবর্তী: একটা যুগের নাম আর ডি বর্মন। যুগের ট্রেন্ডসেটারের নাম আর ডি বর্মন। সুর নিয়ে যিনি সারা জীবন খেলেছেন তাঁর নাম আর ডি বর্মন। আমার মনে হয় ‘তিসরি মঞ্জিল’ ছবি আর ডি-র জীবনের টার্নিং পয়েন্ট ছিল। কী সব গান ছিল সেই অ্যালবামে। আহা! ‘আজা আজা’, ‘ও হসিনা জুলফোওয়ালি’, ‘ও মেরে সোনা রে সোনা রে’। সব ক’টা সুপারহিট।

Advertisement

আর ডি মানে সুর-তাল-লয়ের পারফেক্ট ম্যাচ। সুরকার হিসেবে আর ডি-র একটা নিজস্ব স্টাইল ছিল। কিন্তু তার থেকেও বেশি যা আমাকে ওঁর প্রতি আকৃষ্ট করে, সেটা হল সাউন্ড এবং রিদম নিয়ে খেলা। তিনি একজন তুখড় সাউন্ড ডিজাইনার। সে সময়ে ওয়েস্টার্ন মিউজিক নিয়ে যাঁরা কাজ করতেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শঙ্কর এবং জয়কিষেন। আর ডি তাঁদের পিছনে ফেলে সুরের অন্য দিগন্ত খুলে দিয়েছিলেন।

আর ডি-র সুর করা ‘আঁধি’ ছবির প্রতিটি গান আমার ব্যক্তিগত পছন্দ। কিশোরকুমার, লতা মঙ্গেশকর, মহম্মদ রফি এবং আর ডি। পুরো অ্যালবাম জুড়ে একটা সুরেলা সফর! আর ডি-র একটা দারুণ গুণ ছিল। বাবার (এস ডি বর্মন) সুর করা কিছু গান নিজস্ব মিউজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্টে তিনি নতুন করে তৈরি করতেন।

[ আরও পড়ুন: গুলি-বোমাবাজিতে উদ্বিগ্ন, পরিস্থিতির খোঁজ নিতে ভাটপাড়া যাচ্ছেন বিদ্বজ্জনরা ]

‘জুয়েল থিফ’ ছবির ‘ইয়ে দিল না হোতা বেচারা’ কিংবা ‘হোঁটো পে অ্যায়সি বাত’ গানগুলোর অরিজিনাল মিউজিক কিন্তু এস ডি বর্মন করেছিলেন। আরেকটা ছবি ছিল ‘ভূত বাংলা’, যে ছবির মিউজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট করেছিলেন প্যায়ারেলালজি। আর ডি-র একটা দারুণ গান ছিল সেই অ্যালবামে। ‘জাগো সোনেওয়ালো’। শুনেই বুঝতে পারবেন সময়ের অনেক আগে এ গান তৈরি হয়েছিল।

আমি অনুষ্ঠানে বহুবার বহুরকমভাবে আর ডি-র গান গেয়েছি। ‘আনেওয়ালা পল জানেওয়ালা হ্যায়’ গানটি আমার খুব প্রিয়। অনেককে বলতে শুনেছি ক্ল্যাসিকাল মিউজিকে আর ডি-র নাকি ভীষণ অবদান রয়েছে। আমি তো আসলে ক্ল্যাসিক্যালের লোক, তাই আমি এটা মানি না। আমি বিশ্বাস করি ক্ল্যাসিক্যাল ফিউশন মিউজিক নিয়ে আর ডি অভাবনীয় কাজ করেছেন।

একটা উদাহরণ দিতে পারি। ‘অমর প্রেম’ ছবির ‘র‌্যায়না বিত যায়ে’ গানটা। গোটা ক্লাসিক্যাল গান শুধুমাত্র গিটার স্ট্রামিংয়ে দাঁড়িয়ে। অসাধারণ কম্পোজিশন! আর শেষে বলব গায়ক আর ডি-র কথা। এমন একজন গায়ক, যাঁর গলা গায়কসুলভ নয়। একেবারে ইস্টার্ন ইউরোপের ফোক সিঙ্গার। কিন্তু তাও যেন শুনে শেষ করা যায় না! অদ্ভুত!

অনুলিখন: শুভঙ্কর চক্রবর্তী

[ আরও পড়ুন: ঝুমুর প্রেম, আজীবন বঞ্চনা সঙ্গে নিয়েই গানের ওপারে লোকশিল্পী বিজয় মাহাতো ]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement