চন্দ্র গুপ্ত: শিল্পের সমস্ত মাধ্যম দু’ভাগে বিভক্ত। একটি প্রচলিত, অন্যটি পরীক্ষামূলক। পরীক্ষামূলক ধারার অন্যতম চরিত্র হল ‘মৌলিকতা’। অভিযানপ্রিয় এই মৌলিক বা নতুন পথ অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমকালে স্বীকৃতি পায় না, অথচ ভবিষ্যৎ সাহিত্যের রূপরেখা তৈরি করে! তেমন ‘দিক-ফেরানো স্বল্পালোচিত’ একঝাঁক কথাকারকে নিয়ে জরুরি কাজ করেছে মুর্শিদাবাদ থেকে প্রকাশিত দেবাশিস সাহা সম্পাদিত পত্রিকা ‘ছাপাখানার গলি’। আলোচিত কথাকারদের মধ্যে রয়েছেন জীবনানন্দ দাশ, ঋত্বিককুমার ঘটক, রাঘব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। যাঁরা অন্য পরিচয়ে বাঙালির কাছে অধিক পরিচিত।
অন্যদিকে বাংলা সাহিত্যের ‘কালোঘোড়া’ বাসুদেব দাশগুপ্ত থেকে সুভাষ ঘোষ, দিবাকর ভট্টাচার্য থেকে সুবিমল বসাক, অরুণেশ ঘোষ থেকে সুবিমল মিশ্ররাও স্বমহিমায় উপস্থিত বর্তমান সংখ্যায়। যদিও ‘বিশুদ্ধ আলোচনার কাগজ’ ছাপাখানার গলিতে মতি নন্দী, মহাশ্বেতা দেবী, কবিতা সিংহ, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ নন্দীর মতো সমকালে স্বীকৃতি এবং আলোচিত কথাসাহিত্যিকদের নিয়েও আলোচনা রয়েছে। ‘স্বল্পালোচিত’ বর্তমান সংখ্যায় যা কিঞ্চিত বেমানান। আসলে রতন ভট্টাচার্য, অলক সান্যালদের মতো ‘দূরের গ্রহ’দের পাশে কিছুতেই মানায় না মতি বা মহাশ্বেতাকে। যায় কী?
এত বড় কাজে এ অবশ্য কোনও ত্রুটিই নয়। আসল কথা, সাইত্রিশ জন কথাকারকে নিয়ে সমসংখ্যক আলোচক নিষ্ঠাভরে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ছাপাখানার গলির বর্তমান সংখ্যায়। বলা বাহুল্য, বাংলা সাহিত্যের নিবিড় পাঠকের কাছে এ বড় পাওয়া। পত্রিকার সুনাম বজায় রেখে আরও একবার বাঙালি পাঠকের ধন্যবাদার্হ হলেন সম্পাদক দেবাশিস। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে বইপাড়ায় এসে গিয়েছে ছাপাখানার গলির ‘দিক-ফেরানো স্বল্পালোচিত’ সংখ্যাটি। গত ১৩ জুন কলেজ স্কোয়ারের বেঙ্গল থিওসফিক্যাল সোসাইটি হলে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়েছে সংখ্যাটি। ওই দিন ‘নাসের হোসেন স্মারক বক্তৃতা’ দেন কথাসাহিত্যিক সাধন চট্টোপাধ্যায়। বক্তব্যের বিষয় ছিল ‘বাংলার রাজনৈতিক উপন্যাস বনাম দ্রোহকালের আখ্যান’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.