সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে যখন পরিবেশ দূষণের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে, ঠিক তেমনই অন্যদিকে সাধারণ মানুষের মধ্যে দূষণ রোধে সচেতনতা বাড়াতে নেওয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ। বিশ্ব জুড়ে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে বাড়ছে পাটের ব্যবহার। আর এই অতিরিক্ত পাটের যোগান দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে হায়দরাবাদ নুজিভীডু সিডস কোম্পানি। পাটের বিশেষ ফলন রাজা পাটের অধিক উৎপাদন হাসি ফুটিয়েছে চাষির মুখে। গত বছরের তুলনায় এবছর রাজা পাটের ফলনের সঙ্গে সঙ্গে চাহিদাও বেড়েছে। দামও বেড়েছে দ্বিগুণ। এই অভাবনীয় সাফল্যে খুশি রাজ্যের চাষিরা।
এই উপলক্ষে মালদা জেলার তুলসীহাটা, হরিশচন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকে অনুষ্ঠিত হল ‘মেগা ফিল্ড ডে’। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পদ্মশ্রী প্রাপ্ত ঢাকি সম্রাট গোকুল চন্দ্র দাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে তিনি এই অনুষ্ঠানে রাজা পাটের গুণাগুণ তুলে ধরেন। এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বহু চাষি বন্ধুরা। তাঁদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গোলুক ঢাকি বলেন, “রাজা পাট শুধু ফসল নয়, চাষিদের ভাগ্যবদলের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।” একইসঙ্গে এদিন ঢাকের তালে তালে কৃষকদের মন ভরিয়ে দেন তিনি।
আগে কুইন্টাল প্রতি রাজা পাটের দাম ছিল ৪০০০ টাকা, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল। ফলে রাজা পাট চাষে আগ্রহ বেড়েছে রাজ্যের বহু কৃষকের। এনজে-৭০০৫, রাজা পাটের এই নতুন প্রজাতিটি ২০২০ সালে উদ্ভাবন করেন নুজিভীডু সিডস সংস্থার গবেষণা বিভাগের প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ মোহাম্মদ মসিউর রহমান। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে চাষিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই উচ্চমানের পাট বীজের জনপ্রিয়তা।
নুজিভীডু সিডস সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, রাজা পাট ভবিষ্যতের জন্য একটি টেকসই ও লাভজনক পণ্য। প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে দিন দিন রাজা পাটের তৈরি পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। আর শিল্প ক্ষেত্রে রাজা পাটের কোনও বিকল্প এই মুহূর্তে ভারতে নেই। তাই এই নতুন প্রজাতির পাটের গুনাগুণ প্রচারে বিশেষ উদ্যোগ নিল মালদা জেলা। পদ্মশ্রী গোকুল ঢাকি নিজের শিল্প দক্ষতায় প্রচার করলেন এই নতুন প্রজাতির পাটের বিবরণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.