'মাৎস্যন্যায়' নাটকের দৃশ্য।
ভাস্কর লেট: নেসেসিটি’। ‘মাস্ট’। ‘হ্যাভ টু’। ‘ইনএভিটেব্ল’। ‘বাউন্ড টু’। এসব শব্দ ঘুরেফিরে পুনরাবর্তিত হয়েছে নিকোলো মেকিয়াভেলির ‘দ্য প্রিন্স’ বইতে। বারবার প্রতিধ্বনিত হয়েছে– ‘সাকসেস’, ‘ভিক্ট্রি’, ‘প্রেস্টিজ’, ‘অ্যাচিভমেন্ট’। এসব শব্দের অনুরণনের বিপরীতে আবার দপ করে জ্বলে ওঠে– ‘লস’, ‘ফেলিওর’, ‘ডিফিট’, ‘ডেথ’। আর, এই দ্বিমেরু বিভাজনের মাঝে থেকে যায় ‘বিক্জ’, ‘হেন্স’, ‘দেয়ারফোর’, ‘অ্যাজ আ রেজাল্ট’, ‘অ্যাজ আ কনসিকোয়েন্স’ এ ধরনের শব্দসেতু। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই বইয়ে বারুদের মতো বিছিয়ে থাকে কার্যকারণের সম্বন্ধ– ‘কজ অ্যান্ড এফেক্ট’। কীসের জন্য, কীসের বিনিময়ে? উত্তরটি সহজ: বেঁচে থাকার লড়াই। ‘সারভাইভাল’। এছাড়া, আর সবই মেকিয়াভেলির চোখে বাড়তি ও বিলাসিতা–‘এনিথিং এক্সট্রা ইজ লাক্সারি’।
টিম পার্কস যখন ‘পেঙ্গুইন ক্লাসিকস’-এর জন্য মেকিয়াভেলির ‘দ্য প্রিন্স’ অনুবাদ করেন ইংরেজিতে, তখন একটি অসামান্য ভূমিকাও লিখেছিলেন– তা যেমন সবিস্তার বর্ণনা করেছে বইটির প্রেক্ষাপট, তেমনই ধরিয়ে দিয়েছে রাষ্ট্র, রাজপুরুষ ও কূটনীতির গোপন আন্তঃসম্পর্ক। ‘প্রয়োজন’ বা ‘বিজয়’ বা ‘মৃত্যু’-র মতো শব্দ যে আগাগোড়া আচ্ছন্ন করে রেখেছিল মেকিয়াভেলির চিন্তা ও রাষ্ট্রদর্শনকে–সেই সহজ সত্যটি ভূমিকার গোড়াতেই আমাদের ধরিয়ে দিয়েছেন পার্কস। এটুকু অনুভব ও অভিজ্ঞতা নিয়ে এবার যদি ‘মাৎস্যন্যায়’ থিয়েটারের খলবলে ও ফুটন্ত বলয়ে প্রবেশ করি, দেখার চোখটিই বদলে যায়। ১৪২৭ বঙ্গাব্দে একটি শারদ সংখ্যায় ব্রাত্য বসুর লেখা এ নাটক আত্মপ্রকাশ করেছিল। ‘সিগনেট প্রেস’ থেকে বইয়ের আকারে প্রকাশ পায় ২০২১ সালে। আর, চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর, মির্নাভা রেপার্টরি থিয়েটারের উদ্যোগে, গিরিশ মঞ্চে প্রথমবার উদ্যাপিত হল ‘মাৎস্যন্যায়’-এর প্রথম রজনী। নির্দেশনায় অর্পিতা ঘোষ।
স্থানেশ্বরের সিংহাসনে কী করে অধিষ্ঠিত হলেন রাজা হর্ষবর্ধন, তাই চুম্বকে এ থিয়েটারের সারবস্তু। কিন্তু চমকের মোড়কটিকে বোনা হয়েছে যে-পারম্পর্যে, তার দু’টি দিক। একদিকে রয়েছে অনচ্ছ ইতিহাস ও কল্পনার সমাবেশ। যেখানে সুকৌশলে সেলাই করে দেওয়া হয়েছে দু’জন মহাকাল-সম লেখক– উইলিয়াম শেক্সপিয়র ও বাণভট্টের ছায়া। অন্যদিকে রয়েছে রাজপুরুষদের মনোভঙ্গির বিশ্লেষণ– যেখানে ক্ষমতা ও কূটনীতি, বন্ধুত্ব ও শত্রুতা, সন্ধি ও যুদ্ধবিগ্রহ, প্রজাশাসন ও প্রজাপালন– এক আশ্চর্য দ্বন্দ্বময় গোধূলিসন্ধির নৃত্যের ছদ্মবেশে দর্শকদের সামনে অনুষ্ঠিত হতে থাকে। আর, সেখানেই অবতীর্ণ হন স্বয়ং নিকোলো মেকিয়াভেলি।
প্রথমে ইতিহাস ও কল্পনা নিয়ে বলি। ‘মাৎস্যন্যায়’-এর ভূমিকায় নাটককার ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের লেখা ‘টাইটাস অ্যান্ড্রোনিকাস’ শীর্ষক ট্র্যাজেডির দ্বারা তিনি প্রাণিত। ১৫৮৮-’৯৩ এরকম সময়পর্বে এ নাটক লেখা হয়েছিল। প্রথম প্রযোজনা, সন-তারিখ মেপে বললে, ১৫৯৪ সালের ২৪ জানুয়ারি। শেক্সপিয়রের বয়স তখন ৩০। কিন্তু যেটা মজার, রোমের পটভূমিকায় লেখা হলেও ‘টাইটাস অ্যান্ড্রোনিকাস’ ঐতিহাসিক তথ্যনিষ্ঠায় সমৃদ্ধ নয়। এখানে বরং রয়েছে কল্পনার প্রসার। অর্থাৎ ‘টাইটাস অ্যান্ড্রোনিকাস’ চরিত্রটি তৈরি করা। জুলিয়াস সিজারের মতো তা পাথুরে প্রমাণ নয়।
ব্রাত্য বসু আরও জানিয়েছেন যে, বাণভট্টের ‘হর্ষচরিত’ গদ্যকাব্যের দ্বারাও তিনি প্রভাবিত, যা লেখা হয়েছিল ষষ্ঠ শতাব্দীর শেষ থেকে সপ্তম শতাব্দীর পূর্বাব্দের কোনও সময়ে। এটি সম্পূর্ণ করতে পারেননি বাণভট্ট, যদিও ইতিহাসবিদদের কাছে বিশ্বস্ত তথ্যসন্নিবেশের কারণে এই টেক্সটের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এখান থেকেই জানা যায় যে, হর্ষবর্ধন পুষ্যভূতি রাজবংশের সন্তান। ৫৮০ খ্রিস্টাব্দে প্রভাকরবর্ধন স্থানেশ্বরের সিংহাসনে বসেন। তাঁর মৃত্যুর পর ৬০৫ খ্রিস্টাব্দে রাজা হন হর্ষ-জ্যেষ্ঠ রাজ্যবর্ধন। অতঃপর সেই সিংহাসন করায়ত্ত করেন হর্ষবর্ধন। তখন মগধ-সহ বাংলার সিংহাসনে রয়েছেন শশাঙ্ক, মালব তথা মধ্যপ্রদেশে দেবগুপ্ত। ইতিহাসের এই অবলম্বনই যেন যথেষ্ট। এবং তা আকণ্ঠ শুষে নিয়ে নাটককার ঘটিয়ে ফেলেন অভূতপূর্ব এক অন্তর্ঘাতের কল্পনাজারিত ন্যারেটিভ। যেখানে ইতিহাস গৌণ, গল্পকথন মুখ্য। এবং তার চেয়েও সক্রিয় রাজপুরুষের মানসসম্ভের গড়নপিটন। ক্ষমতা, কূটনীতি ও শাসনেচ্ছা কেমন করে বানিয়ে তোলে এক অগ্নিগর্ভ বাস্তুতন্ত্র তা ব্রাত্য বসু দেখিয়েছেন লিখিতভাবে, মঞ্চে সেটিকেই কায়া-তরুবরে সজীব করেছেন অর্পিতা ঘোষ। কিন্তু দু’জনের মাঝে যে জেগে থাকেন আরও একজন– নিকোলো মেকিয়াভেলি– ‘দ্য প্রিন্স’ বইটি নিয়ে।
১৫০০ শতকের দ্বিতীয় দশকে ‘দ্য প্রিন্স’ রচিত হয়েছে বলে অনুমান করা হয়, যদিও ১৫৩২ সালের আগে তা ছাপা হতে পারেনি। যখন মেকিয়াভেলি এ-বইয়ের ভাবনাকে অনুবন্ধন করছেন, ‘পেঙ্গুইন’-নিযুক্ত অনুবাদক ও টীকাকার টিম পার্কস বলছেন, সেই সময় তিনি ক্ষমতার বৃত্ত থেকে পদচ্যুত, পরিবার নিয়ে রাজধানী থেকে বহু দূরে, সে-অর্থে হাতে কাজ নেই, সারা দিন ধরে ক্ষমতার অন্তর্বিন্যাসের শৃঙ্খলা নিয়ে ভেবে চলেছেন। কেমন সেই ভাবনার ধারাটি?
‘দ্য প্রিন্স’-এর সতেরো নম্বর অধ্যায়ের নাম ‘ক্রুয়েলটি অ্যান্ড কমপ্যাশন: হোয়েদার ইট ইজ বেটার টু বি ফিয়ারড অর লাভড’। মানে, শাসক রাজপুরুষের পক্ষে শ্রেয় কোনটি? শাসিত মানুষ তাকে ভয় পাবে, না কি ভালবাসবে? ভয় পাওয়ার মধ্যে নিহিত রয়েছে ‘ক্রুয়েলটি’ বা নৃশংসতা। ভালবাসার কোরকে ‘কমপ্যাশন’। কোনটি তবে অনুসরণীয়? মিস্টার মেকিয়াভেলি কী বলছেন? ‘ক্ষমতাকে আরও সুনিশ্চিত করতে, কোনও কোনও শাসক শাসিতদের নিরস্ত্রীকরণ ঘটিয়েছেন। কোনও কোনও শাসক আশ্রয় নিয়েছেন নাগরিক-ঐক্যকে শতচ্ছিন্ন করার। কেউ কেউ আবার দ্রোহের আগুনকে উসকে দিয়েছেন নিজ-স্বার্থে, কেউ আবার জয় করেছেন প্রাথমিকভাবে যারা সন্দেহভাজন, তাদের।’ কবে ‘কী যে অবশ্যকরণীয়’ তার একটিমাত্র ও সর্বজনগ্রাহ্য রূপরেখা কখনওই ছিল না। তাই শাসকের গুণবত্তার তালিকা তৈরি করতে হলে, অনেকেই প্রাধান্য দেন, ভালবাসতে পারার ক্ষমতাকে, কেননা তা প্রজা মনোরঞ্জনের সহায়ক।
কিন্তু মেকিয়াভেলি মনে করিয়ে দিচ্ছেন, শাসককে খেয়াল রাখতে হবে, যেন তিনি অযথা দয়ালু হয়ে না ওঠেন। ‘নৃশংস’ বলা হচ্ছে– এ তকমায় যদি কোনও শাসক অস্থির হয়ে ওঠেন, তাহলে তাঁর সিংহাসন টলমলাতে বাধ্য। শাসিতদের অনুগত রাখতে তিনি মমত্বশীল হবেন বটে, তবে ততখানিও হবেন না– যাতে তাঁর দরদের জন্য রাজ্য আরও বিশৃঙ্খলপরায়ণ হয়ে উঠতে পারে! বিশেষত যিনি ক্ষমতায় নতুন, তাঁকে খেয়াল রাখতে হবে ভার্জিল-কথিত মহামন্ত্র: ‘পরিস্থিতি জটিল বলে, আর সেই পরিস্থিতিতে আমি সদ্য ক্ষমতায় এসেছি বলেই সর্বত্র প্রহরী রাখতে হয়েছে, হবে।’
এখান থেকে যদি আবার ফিরে যাই ‘মাৎস্যন্যায়’ থিয়েটারে, কী দেখব? রাজা প্রভাকরবর্ধনের মৃত্যুর পরে, সিংহাসনে আসীন হওয়ার দড়ি টানাটানি চলছে রাজ্যবর্ধন ও হর্ষবর্ধনের মধ্যে। পরম্পরা, রীতি, অনুশাসন মানলে বড়-র দাবিই সমধিক। স্থানেশ্বর পরাক্রান্ত হুন আক্রমণ সামলে টলোমলো দশা কাটিয়ে উঠতে চাইছে। সেই সময় দুই ভাইয়ের রাজ্য-দ্বন্দ্ব কি কাম্য? রাজপুরুষ ভণ্ডি, যে এই দু’জনের মামাতো ভাইও বটে, স্মরণ করিয়ে দেয়– স্থানেশ্বরের অপরাজেয় সেনাপতি মহাবাহু কাকে নির্বাচিত করবে, তাও সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
মহাবাহু রাজপুরুষ। রাজকর্মচারী। অনুগত। রাজ্যঅন্তপ্রাণ। নানা বিপদে-আপদে জীবনের মায়া তুচ্ছ করে সে ঝাঁপিয়ে পড়েছে স্থানেশ্বরের সার্বভৌমত্ব অটুটু রাখতে। গৌড়রাজ শশাঙ্কও তাকে সমঝে চলে। ‘মাৎস্যন্যায়’ নাটকে সে-ই প্রকৃতপক্ষে নায়ক, টাইটাস অ্যান্ড্রোনিকাস। তা, মহাবাহু নির্বাচিত করল রাজ্যবর্ধনকে। এই ‘চয়েস’-কে অগ্রাহ্য বা অবহেলা করতে পারল না হর্ষবর্ধন ও ছোটভাই কৃষ্ণবর্ধন। সিংহাসনের আশা অবশ্য কৃষ্ণবর্ধন তত রাখেও না, সে বরং ভালবাসার কাঙাল, মহাবাহুর মেয়ে ললন্তিকাকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে রাজ্যবর্ধন বিয়ে করতে চাইল ললন্তিকাকে। মহাবাহু মত দিল। বেঁকে বসল বাকিরা– প্রত্যেকে। মহাবাহুর পুত্রেরা, আর ললন্তিকা-সহ কৃষ্ণবর্ধন। তাদের প্রতিবাদকে রাজ্যবর্ধন মনে করল এক ধরনের দ্রোহ, যা প্রদর্শিত হচ্ছে সম্রাটের অধিকার ও ইচ্ছার বিরুদ্ধে।
মহাবাহুর নির্দেশে স্থানেশ্বর আক্রমণকারী বহিঃশত্রু যে হুনদের মেরে ফেলার কথা ছিল, রাজ্যবর্ধন তাদেরই নিঃশর্তে মুক্তি দিল। হুন-রানি মুলাকে রাজমহিষী করল, এবং তার কথার পুতুলে পর্যবসিত হল। আপন ভাই ও ললন্তিকার শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি জ্বালাল হিংসার ধুনি। এদিকে, হুন-রানি মুলা জীবন ফিরে পেয়ে কৃতজ্ঞ হল না, রাজমহিষী হওয়ার সুযোগকে সে উল্টে প্রতিশোধের মহামন্ত্র করে তুলল। সে চায় স্থানেশ্বরের সর্বনাশ, মহাবাহুর বিনাশ, রাজ্যবর্ধনের নিকেশ। সে চায় স্বয়ং শাসক হয়ে উঠতে, এ-কাজে তার সহচর, তারই গোপন প্রেমিক তান্ত্রিক গুণাঢ্য। কিন্তু মুলা জানে না, গুণাঢ্যও ক্ষমতা চায়।
অর্থাৎ, সিংহাসন ও ক্ষমতা– শাসক হতে চাওয়ার অভীপ্সা ও বিরোধীদের দমন করার প্রবণতা, তৎসহ নিজ-নিজ দৃষ্টিকোণ থেকে জারি করা অপার প্রতিশোধস্পৃধার সুচারু চর্চা ‘মাৎস্যন্যায়’-কে করে তুলেছে রোমাঞ্চকর, রহস্যময়, শ্বাসরোধী রোমন্থনে পরিপুষ্ট। আগাগোড়া গল্পকাঠামোটি অনুসরণ করলে আমরা বুঝতে পারব– বিপুল ঘটনার ঘটঘটায় হারিয়ে না-গিয়ে কূচনীতির চর্চা করে গিয়েছে একদিকে হর্ষবর্ধন, ও অন্যদিকে শশাঙ্ক ও দেবগুপ্তর মিলিত ‘ইউনিট’। ক্ষমতাকে হস্তগত করার প্রতিটি কৌশলী পদক্ষেপে তারা জেনে ও না জেনে জীবিত করে তুলেছে নিকোলো মেকিয়াভেলি-র দর্শনকে।
‘হোয়াট আ রুলার শুড ডু টু উইন রেসপেক্ট’, ‘দ্য প্রিন্স’-এর ২১ নম্বর অধ্যায়ে, মেকিয়াভেলি লিখেছেন– ‘আ রুলার উইল অলসো বি রেসপেক্টেড হোয়েন হি ইজ আ জেনুইন ফ্রেন্ড অ্যান্ড আ জেনুইন এনিমি’। নিখাদ বন্ধু ও ভনিতাহীন শত্রু হওয়ার চারিত্রলক্ষণ যদি একজন শাসকের থাকে, তিনি সম্মান পাবেন। আর, সেই ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দেয় ‘মাৎস্যন্যায়’ পরিস্থিতি। ব্রাত্য বসু লিখেছেন মহাবাহুর কণ্ঠে, ‘মাৎস্যন্যায়ই আমার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, যে-সময়ে আমি সৃজন করতে পারি, বিস্তার ঘটাতে পারি, বিশাল মহীরুহ হয়ে অগণিত চারাগাছ রোপণ করে যেতে পারি, এবং শেষ পর্যন্ত একমাত্র নিজেই নিজের ধ্বংস ডাকতে পারি মহাকালকে বিদ্রুপ করে।’ থিয়েটারের অন্তে শশাঙ্ককে আমরা সর্পিল সাবধানতায় পরামর্শ দিতে শুনি– অবিরত ‘শলাকা’ ও ‘সোপান’ সন্ধান করে যাওয়ার। ‘শলাকা’ যা আঘাত দেয়, ‘সোপান’ যা বন্ধুর মতো উত্তরণের পথ দেখায়। একই মানুষের মধ্যে উদ্ভূত হতে পারে না কি এই গুণ?
পুনশ্চ পারফরম্যান্সের নিরিখে, ‘মাৎস্যন্যায়’ দলগত বিস্ফোরণের কথা বলে। শব্দযোজনা, আলোকসম্পাত, কস্টিউম চমৎকার। অভিনয়ে বিশেষভাবে চোখে টেনেছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (মহাবাহু), সৌম্যদীপ রায় (রাজ্যবর্ধন), সায়ন্তনী চক্রবর্তী (মুলা), রানা (গুণাঢ্য), সর্বজিৎ সরকার (শশাঙ্ক)। উত্তরোত্তর শো যত বাড়বে পারফরম্যান্স তত মোলায়েম ও সূক্ষ্ম হবে। নির্দেশক অর্পিতা ঘোষের এই কথার সঙ্গে সহমত জ্ঞাপন করে জানিয়ে রাখি– আগামী রবিবার, মধুসূদন মঞ্চে, অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘মাৎস্যন্যায়’। নিকোলো মেকিয়াভেলিকে আবিষ্কার করতে হলে, সেদিন যেতে পারেন বইকি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.