Advertisement
Advertisement
বুড়ো সাধু

‘বুড়ো সাধু’র অপমৃত্যু, ঋত্বিকও বাঁচাতে পারলেন না ছবিকে

হলে গিয়ে কি দেখবেন এই ছবি? জেনে নিন।

Buro Sadhu film review: The story is not up to the mark
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:November 3, 2019 5:10 pm
  • Updated:November 3, 2019 5:10 pm   

চারুবাক: ‘বুড়ো সাধু’ দেখার একমাত্র আকর্ষণ ছিল অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। সত্যি বলতে তিনি এখনকার বাংলা সিনেমার একজন অন্যতম সেরা অভিনেতা। ঋত্বিক যে ছবিতে থাকেন, তার আলাদা একটা গুরুত্ব থাকে। দর্শক ভাবতেই পারেন, ‘অন্যরকম’ কিছু একটা দেখব। কিন্তু জনৈক ভিক-এর পরিচালনায় ‘বুড়ো সাধু’ দেখতে গিয়ে ভীষণ বিভ্রমে পড়তে হল। ঋত্বিকের মতো একজন অভিজ্ঞ অভিনেতা এই গল্প এবং চরিত্র ‘পছন্দ’ করলেন কোন যুক্তিতে! মানছি এটা টালিগঞ্জের বাণিজ্যপন্থী ছবি নয়। নয় চলতি পটবয়লারও। কিন্তু গল্প ও চরিত্রের মধ্যে বাস্তবের ছিটেফোঁটাও তো থাকবে। কিংবা ঘটনা পরম্পরায় কিঞ্চিত বিশ্বাযোগ্যতা! কোনওটাই নেই। গল্পের গতি, বিবর্তন এবং উত্তরণে যে কী ঘটল, সবই দুর্বোধ্য।

Advertisement

ছবির শুরু, বলা হল দিল্লির কোনও হোটেল! কিন্তু করিডর দেখে মনে হল কলকাতার কোনও স্কুলের বারান্দা। হোটেল ঘরে একটা সিঙ্গল ও আর একটা ডবল বেড কেন? সেখানে বসে গল্পের নায়ক ক্যামেরার সামনে স্বীকারোক্তি দিচ্ছে বা দেবে ভাবখানা এমন! তারপর যা যা ঘটতে থাকে সেগুলো বুড়ো বয়সে ভিরমি খেলেও বোধহয় ঘটে না। ছাত্রাবস্থা থেকে পরচুলা পরা ঋত্বিক চক্রবর্তী পরবর্তী দশ-বারো বছর একই চেহারা নিয়ে কখনও পেঁচো মাতাল হলেন, মা দোলন রায়ের যাতে চড়ও খেলেন। আবার গঙ্গায় ডুবতে গিয়েও বাঁচলেন বন্ধুর হাতযশে। ‘বুড়ো সাধু’ মার্কা মদ্যপান তবুও থামল না।

Buro-Sadhu

[আরও পড়ুন: জন্মদিনের শুভেচ্ছায় শাহরুখকে খোঁচা সলমনের! কী উত্তর দিলেন কিং খান?]

হঠাৎ শান্তশিষ্ট হয়ে টালিগঞ্জ পাড়ায় সিরিয়ালের সহকারী পরিচালক হয়ে গেলেন তিনি। হয়ে গেলেন পরিচালকও। কথায় আছে না, চুরি বিদ্যে মহাবিদ্যে যদি না পড়ে ধরা! সেই কাজটি করেই নায়ক আবির প্রথম ছবি বানিয়েই পেয়ে গেলেন জাতীয় পুরস্কার। কিন্তু চুরি তো ধরা পড়বেই। পড়লও। দেখা গেল, নায়কের বৃদ্ধ ও হতাশ বাবাই ওই চুরি যাওয়া চিত্রনাট্যের লেখক। সুতরাং বাপের সম্পত্তি ছেলে নিয়েছে। একে কি আর চুরি বলা যায়? নাকি বলা উচিত! তবুও বাবাকে গাড়ি চাপা দিয়ে খুন করলেন চিত্রনাট্যকার ভিক। বুঝতেই পারছেন এমন ছড়ানো ছিটানো গল্পের শুরু ও শেষ খোঁজা, খড়ের গাদায় সূচ অন্বেষণের মতোই!

পরিচালক ভিককে আর কী বলে ধন্যবাদ জানাবো? গাঁটের কড়ি খরচ করে এমন ‘বুড়ো সাধু’র কাণ্ড কারখানা দেখা সত্যিই এক অভিজ্ঞ যন্ত্রণা। এবং ছবি দেখেই মালুম হল অভিনেতা ঋত্বিককে কতই না অসহ্য কষ্টের মধ্যে দিয়ে বাস করতে হয়েছে। ধন্যবাদ তাঁকেও।

[আরও পড়ুন: একাকীত্ব নিয়ে কেমন থাকেন একজন সফল মানুষ? উত্তর দেবে ‘কেদারা’]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ