Advertisement
Advertisement
Agnimanthan Review

বিফলে গেল মেঘনাদ ভট্টাচার্যর অভিনয়, ব্যতিক্রমী ছবি হয়ে উঠতে পারল না ‘অগ্নিমন্থন’

বড্ড আগোছালোভাবে তৈরি ছবিটি।

Here is the review of Bengali movie Agnimanthan | Sangbad Pratidin
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:January 14, 2023 5:11 pm
  • Updated:January 14, 2023 5:11 pm   

চারুবাক: বারবার বহুবার বলা হয়, আজকের অধিকাংশ বাংলা ছবির নির্মাতারা (প্রযোজক-পরিচালক) সময়ের কথা এড়িয়ে যান, বিনোদনমূলক ছবিতেই বেশি আগ্রহ তাঁদের। বাস্তব থেকে মুখ ঘুরিয়ে রহস্য, প্রেম, প্রতিহিংসা নিয়েই আগ্রহ বেশি। অনেকদিন পর নতুন ছবি ‘অগ্নিমন্থন’-এ (Agnimanthan) দেখা গেল ব্যতিক্রমী প্রচেষ্টা।

Advertisement

প্রতিহিংসা, খুন, মারপিট নিয়েই যখন অন্যরা দর্শক মজাতে ব্যস্ত, তখন প্রবীণ পরিচালক প্রবীর রায় অনেকদিন পর তাঁর ‘অগ্নিমন্থন’ ছবিতে দেখালেন এই দেশে হতাশ, দরিদ্র মানুষের কথা। সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবীদের নিস্পৃহ, নীরব থাকার কথা। আর রাজ্যজুড়ে মধ্য নিম্ন মেধা ও সংস্কৃতির আগ্রাসী বিস্তার ও প্রশাসনে দুর্নীতির কাহিনি।

Agnimanthan-1

ছবির প্রধান চরিত্র এক সময়ের ফিল্ম পরিচালক দিব্যজ্যোতি (মেঘনাদ) ছিলেন যথেষ্ট প্রতিবাদী, চিরন্তন মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন। এখনকার সময়ে তিনি প্রায় বাতিলের খাতায়। এমনকী তাঁর নিজের স্ত্রী (মৌমিতা), ছেলে(অনিন্দ্য), সকলেই গা ভাসিয়েছে চলমান রাজনীতির স্রোতে। “সময় পালটে গিয়েছে বাবা” এই আপ্ত বাক্যে বাবাকে চুপ করিয়ে রাখে ছেলে। এহেন দিব্যকে নিয়ে একটা ছবি করতে চায় এক তরুণ। ছবির কাজ যত এগোয়, রাজ্যের রাজনীতির জল ঘোলা হতে শুরু করে।

[আরও পড়ুন: সিনেমার মধ্যে আরেক সিনেমার গল্প, চিত্রনাট্যেই বাজিমাত ‘মায়াকুমারী’র, পড়ুন রিভিউ]

দেশের সত্যিকার মঙ্গলকামী, মূল্যবোধে বিশ্বাসী দিব্যকে একসময় ‘পাগল’ চিহ্নিত করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিচালক দেখান, তাঁর মেয়ে দ্যুতি (বৈশালী), বউমা (মৈত্রেয়ী), সাংবাদিক দোয়েল (অস্মি) সকলকে একজোট করে প্রতিবাদে সামিল হয়। দিব্যজ্যোতির স্ত্রী-ছেলেও যোগ দেয় প্রতিবাদে। বলা হয়, মোমবাতি মিছিল দিয়ে নয়, আসন্ন জনযুদ্ধের জন্য মশাল জ্বালিয়ে অগ্নিমন্থনের প্রয়োজন। 

Agnimanthan

প্রবীণ নাট্যাভিনেতা মেঘনাদ ভট্টাচার্য যথাসাধ্য দিব্যজ্যোতির চরিত্রকে জীবন্ত করার চেষ্টা করেছেন। মৌমিতার অভিনয়ে দাপুটে নাটক আছে কিন্তু প্রাণ তেমন নেই। বরং ছেলের চরিত্রে অনিন্দ্য সরকার ভাল। বিশেষ করে বাবার কাছে ভেঙে পড়ার দৃশ্যে জমাটি। বাকিদের মধ্যে সুবীর ভট্টাচার্য, বৈশাখী, অস্মি ক্যামেরার সামনে যেন দাঁড়াতেই পারছেন না। পুরো ছবি জুড়ে এত অবহেলা, এত অগোছালোভাব কেন? ছবির নির্মাণ পদ্ধতিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে, সেটা জানা দরকার।

সিনেমা তৈরিতে যে পরিবর্তন ঘটেছে সেখানে আপস করলে আজকের দর্শক সেটা মানবে না – এই সত্যটা পরিচালকের বোঝা উচিত ছিল। ছবির মধ্যেকার পরিচালক দিব্যজ্যোতি প্রশ্ন করেছেন তাঁর ছবি মুক্তি পাবে কিনা। ভাল কথা, তবে মূল পরিচালকের ছবি তো মুক্তি পেল! কিন্তু এখনকার দর্শক সেই ছবি দেখতে কতটা ইচ্ছুক হবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েই গেল।

ছবি – অগ্নিমন্থন
অভিনয়ে – মেঘনাদ ভট্টাচার্য, মৌমিতা গুপ্ত, অনিন্দ্য সরকার, সুবীর ভট্টাচার্য, বৈশাখী, অস্মি
পরিচালনা – প্রবীর রায়

[আরও পড়ুন: পাগলু ডান্স! ঢোলের তালে দেবের সঙ্গে নাচ রুক্মিণীর, ভিডিও দেখে কী বললেন নেটিজেনরা?]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ