Advertisement
Advertisement
প্যান্থার

অ্যাকশনে ভরপুর ‘প্যান্থার’, জিৎময় ছবিতে ম্লান বাকি অভিনেতারা

দেখতে যাওয়ার আগে জেনে নিন ছবিটি কেমন হল।

The review of actor Jeet's new bengali movie Panther
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:August 9, 2019 9:18 pm
  • Updated:August 9, 2019 9:18 pm  

চারুবাক: জিতের ছবি মানেই অ্যাকশন সর্বস্ব। গরম মশলার মতো প্রেম আর আইটেম নাচ থাকতেই হবে। প্রেমটা হবে নীরবে, শব্দহীন এবং দৃষ্টি বিনিময়ে। আর আইটেম নাচটির সময় নায়িকা (এখানে শ্রদ্ধা দাশ) লজ্জাহীন, বেআব্রু। এটাই জিতের ছবির সাধারণ ইউএসপি। তাঁর নতুন ছবি ‘প্যান্থার’ আরও কয়েক পা এগিয়ে দর্শককে ইতিহাস ভূগোলের নতুন পাঠ শেখানোর দায়িত্ব নিয়েছে।

Advertisement

যেমন ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ‘র’-এর প্রতিষ্ঠিত ফিরোজ খান ওরফে জাহাঙ্গীর সরকারি অনুমোদন ছাড়াও ‘প্যান্থার’ (জিৎ) আন্ডারকভার হয়ে বিদেশ চলে যায় নতুন এক মিশনে। মিশনটা কী? মুম্বই বিস্ফোরণের চক্রী এবং কলকাতায় আসন্ন বিস্ফোরণের মদতদাতাকে ধরা। সে ওয়ান ম্যান আর্মি। সে যায় এল ডেরা নামে একটি দেশে। কেনিয়ায় এই রকম একটি জায়গা আছে। কিন্তু দুবাই বা মধ্যপ্রাচ্যে আছে বলে তো শুনিনি। ভূগোল জ্ঞানের আরও একটি বড় উদাহরণ ‘তাহিরিকিস্তান’ (না, তাজাকিস্তান নয়) নামের একটি কল্পিত দেশ। যে দেশের বিমানবন্দরে ঢুকতে চেক-ইন কাউন্টার, ইমিগ্রেশনের কোনও ঝক্কি নেই। সর্বত্র অবাধ গতি প্যান্থার মশাইয়ের। যাঁর জীবনের মন্ত্রই হল ‘দিল ধড়কে- জয় হিন্দ’। সন্ত্রাবাদীদের আক্রমণ থেকে নিরাপত্তাই শুধু নয়, একশো চৌত্রিশ লোকের জীবন রক্ষায়ও নিবেদিতপ্রাণ প্যান্থার। অবশ্য শুধু সেই নয়, পাগলাটে কম্পিউটর সহকারি শ্বাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, ‘র’-এর অন্যতম প্রধান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সবাই।

jeet

[ আরও পড়ুন: অতীত ও বর্তমানকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয় সুদেষ্ণা-অভিজিতের ‘সামসারা’ ]

বিদেশের মাটিতে প্রায় সিঙ্গল হ্যান্ডে আল কায়েদার বড় জঙ্গী নেতা-সহ মাঝারি মদতদাতাকে গ্রেপ্তার করে প্যান্থার নিয়ে আসে কলকাতায়। সেজন্য পাহাড়ে ওঠার যন্ত্রপাতি-সহ কাল্পনিক ধরণের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে প্যান্থার। কিন্তু ব্যবহারের পর সেগুলোর কোনও হদিশ নেই। তার চেয়েও বড় প্রশ্ন, বিমানে করে অতসব অস্ত্র সে নিল কী করে? বিশেষ করে, যখন সে এমিরেটসের সাধারণ ফ্লাইটে যাতায়াত করে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই?

যাক গে, জিতের ফ্যানেরা এসব যুক্তি বুদ্ধির ধার ধারে না। ইতিহাস-ভূগোল জ্ঞানও তথৈবচ। সারাক্ষণ পর্দায় জিৎ কালো চিতার মতো গর্জন ও মুষ্ঠি বর্ষণ করেই দর্শককে বিরক্তিকর এক আনন্দের খোরাক জুগিয়ে গেলেন। জিৎময় ছবিতে বাকিদের (শাশ্বত, সুদীপ, কাঞ্চন, এমনকী শ্রদ্ধাও) শুধুই প্রণয়, নায়ককে গ্লোরিফাই করা ছাড়া কোনও কাজ নেই। আসলে জিতের ভাবনায় এখনও মারদাঙ্গার সঙ্গে দেশপ্রেমের পিটুলি গোলা খাওয়ানোর মনোভাব। তাঁর কাছ থেকে আর কীই বা আশা করা যায়!

[ আরও পড়ুন: বাস্তবতা আর সত্যি-মিথ্যের দ্বন্দ্ব উঠে এল ‘গড ইজ গুড’ ছবিতে ]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement