Advertisement
Advertisement

কাশ্মীরে গণভোট চেয়ে বিতর্কে কমল হাসান, পরে সুর বদলের চেষ্টা

‘ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ’ বলে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন অভিনেতা।

Kamal Hassan backtracks on Pakistan
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:February 19, 2019 5:02 pm
  • Updated:February 19, 2019 5:02 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় ৪৯ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুর পর উত্তাল গোটা দেশ। ক্ষোভে ফুঁসছে মানুষ। তারই মধ্যে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে জনপ্রিয় অভিনেতা-রাজনীতিক কমল হাসান। এনডিএ নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে গিয়ে তিনি কাশ্মীরে গণভোট করতে সরকার ভয় পাচ্ছে কেন বলে প্রশ্ন তুলে বসেছেন।

Advertisement

উল্লেখ্য, বহুদিন ধরেই পাকিস্তান ও উপত্যকার বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা গণভোটের দাবিতে সরব। অর্থাৎ কাশ্মীরিরা ভারতে থাকতে চান কি না, তা নিয়েই গণভোট করতে হবে। যা কখনও মানেনি ভারত। পাশাপাশি, পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে তিনি ‘আজাদ কাশ্মীর’ বলে মন্তব্য করেন। এই মতকেই সমর্থন করে বসলেন কমল হাসান। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

রবিবার চেন্নাইয়ে ছাত্রদের এক সভা থেকে পুলওয়ামা প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেন কমল হাসান। সেখানেই তিনি প্রশ্ন তোলেন, “কাশ্মীরে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়নি কেন? কেন মানুষকে নিজের মত জানানোর অধিকার দেওয়া হয়নি? সরকার কীসের ভয় পাচ্ছে? এখন তো আর গণভোট করা সম্ভব নয়। কোনও না কোনও ভাবে ওরা দেশকে দু’ভাগ করে দিয়েছে। এটাই বাস্তব। কেন কাশ্মীরের মানুষের কাছে ফের মত জানতে চাওয়া হবে না? আমি জানি, ওরা সেটা করবে না। একই সভা থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ‘আজাদ কাশ্মীর’ বলে উল্লেখ করে মক্কল নিধি মাইয়ম পার্টির নেতা বলেন, “আজাদ কাশ্মীরে জেহাদিদের নায়ক বানিয়ে আরও জেহাদি তৈরি করা হচ্ছে। সেটাও নির্বোধের মতো আচরণ। একই ধরনের নির্বোধের মতো আচরণ করছে ভারত সরকারও।”

শহিদ পরিবারগুলির পাশে বলিউড, অর্থসাহায্য অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ]

কমল হাসান আরও জানান, “মাইয়াম নামে একটি পত্রিকা চালাতাম। সেখানে কাশ্মীর প্রসঙ্গে লিখেছিলাম। আগেই জানতাম এমন কিছু হবে। গণভোট করে মানুষকে মুখ খুলতে দিতে হবে। এতদিন কেন এটা করা হল না? ওরা (সরকার) কীসের ভয় পাচ্ছে? আমরা যদি বোঝাতে চাই ভারত অনেক উন্নত, তাহলে জেহাদিদের মতো আচরণ বন্ধ করতে হবে। ওখান থেকেই রাজনীতি আরম্ভ হয়। নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরি হয়ে যায়।” তাঁর প্রশ্ন, কেন সেনারা মৃত্যুবরণ করছেন? কমল হাসানের মত, ভারত ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি সংযত হয়, তাহলে নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ফিরে আসবে। অর্থাৎ জঙ্গি অনুপ্রবেশ, সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন বন্ধ হয়ে যাবে। আর কোনও সেনাকে মরতে হবে না।

অভিনেতার এই মন্তব্যের পরই শুরু হয় বিতর্ক। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বাধ্য হয়ে নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে কমল হাসান জানান, তাঁর মুখের কথা বিকৃত করা হয়েছে। কয়েক দশক আগে পত্রিকায় লেখা প্রসঙ্গে গণভোটের কথা তুলেছিলেন। গণভোট এখন আর প্রাসঙ্গিক নয়। কাশ্মীর ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

বলিউডে কাজ নয় পাকিস্তানি শিল্পীদের, ঘোষণা সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের ]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ