সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী! যা কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন সম্প্রতি শিল্পা শেঠি কুন্দ্রা, তাতে এ ছাড়া আর কিছু বলার নেইও!
সম্প্রতি কে জানে কেন, এক সাংবাদিক পাঠ্যক্রমে হ্যারি পটারের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে মতামত চেয়েছিল শিল্পা শেঠির কাছে। সেই মতামত দিতে গিয়েই বেফাঁস মন্তব্য করে বিপত্তি বাধিয়েছেন নায়িকা।
“লর্ড অফ দ্য রিংস, হ্যারি পটারের মতো বই পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হলে তো ভালই! যা খুব অল্প বয়স থেকেই পড়ুয়াদের কল্পনাশক্তিকে বিকশিত করতে পারবে”, জানিয়েছেন শিল্পা। বেশ কথা! এখানে তেমন খুঁত ধরার কোনও জায়গাই নেই! তাহলে গণ্ডগোলটা কোথায়? ওই যে, এর ঠিক পরেই বলেছেন তিনি, “আমার তো মনে হয় অ্যানিমাল ফার্ম বইটাও পাঠ্যক্রমে রাখা উচিত, যাতে ছোটরা জীবজন্তুদের ভালবাসার অনুপ্রেরণা পায়।“
আসলে জর্জ অরওয়েলের ‘অ্যানিমাল ফার্ম’ ভীষণ ভাবেই একটি রূপক লেখা। সেখানে একটা খামারের রূপকে বলা হয়েছিল দেশের দুর্দশার কথা, জীবজন্তুরা সবাই সেখানে সমাজের একেকটি শ্রেণিকেই প্রতীকায়িত করছে। ১৯১৭ সালে প্রকাশিত এই বইটার মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নের স্তালিনবাদী জামানার ছাপ স্পষ্ট টের পাওয়া যায়। ফলে, পশুপ্রেমের কোনও বার্তা ওই বইয়ের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
“Fifty Shades of Grey is an amazing coloring book.Children will love it”
Advertisement— Fats (@a_bit_too_much)
The Lord of the Rings will teach children the importance of returning jewellery.
— Nirmalya Dutta (@nemo_dutta23)
“Moby Dick” isn’t for children. Bro, please!
— Vivek Tejuja (@vivekisms)
তাই, টুইটারে শুরু হয়েছে শিল্পা শেঠিকে নিয়ে হাসাহাসি। যেমন, “ফিফটি শেডস অফ গ্রে বইটাও পাঠ্যক্রমে রাখা হোক, ওটা একটা দারুণ কালার বুক, বাচ্চারা আঁকা শিখবে!” অনেকে বলছেন আরও একটু বিদ্রুপ করে- “লর্ড অফ দ্য রিংস পড়ে বাচ্চারা গয়নাগাটি ফেরত দিতে শিখবে, অন্যের জিনিস নিজের কাছে রাখবে না” গোত্রের কথা। টুইটগুলো পড়ুন, নিঃসন্দেহেই হাসি পাবে!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.