ছবি: ফেসবুক
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুটিংয়ে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না হরিয়ানার মডেল শীতলের। পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করার পর পুলিশি তদন্তে হরিয়ানার সোনিপাতের একটি খাল থেকে উদ্ধার করা হয় মডেল শীতলের ক্ষতবিক্ষত দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান গলার নলি কেটে শীতলকে খুন করা হয়েছে।
পানিপথের খালিলা মাজরা গ্রামের বাসিন্দা শীতল মডেলিংয়ের পাশাপাশি মিউজিক ভিডিওর কাজও করতেন। মডেলিং শুরু করার আগে শীতল কর্ণালের একটি হোটেলে কাজ করতেন। পরিচিত ছিলেন সিমি চৌধুরী নামেও। ১৪ জুন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন শীতল শুটিংয়ের উদ্দেশ্যে। নির্ধারিত সময়ের পরেও বাড়ি না ফিরলে পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। এরপর রবিবার উদ্ধার হয় শীতলের দেহ। দেহ উদ্ধারের পর তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত। এই খুনের নেপথ্যে কী কারণ থাকতে পারে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
যদিও শীতলের দিদি নেহার অভিযোগের তীর শীতলের প্রাক্তন বন্ধু সুনীলের দিকে। নেহা দাবি করছেন শীতলের প্রাক্তন বন্ধু সুনীল এই ঘটনায় জড়িত। তিনিই শীতলকে খুন করেছেন। বলে অভিযোগ শীতলের দিদির। কর্ণালের হোটেলে কাজ করার সময়ই সুনীলের সঙ্গে পরিচয় হয় শীতলের। নেহার আরও দাবি তাঁর বোন শীতল তাঁকে সেদিন ফোনে জানিয়েছিলেন যে এদিন শুটিং ফ্লোরেও নাকি সুনীল এসেছিলেন ও তাঁর বোনকে সেখানেই বেধড়ক মেরেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয় সেখানে গিয়ে সুনীল নাকি তাঁর বোনের উপর নানারকম চাপসৃষ্টি করেছিল। তাঁকে বাইরে বেড়াতে যাওয়ার জন্যও বারবার বলতে থাকে। নেহা সুনীলের কথায় রাজি না হওয়াতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। পরে পুরো ঘটনা নাকি ফোনে তাঁর বোন শীতল নিজেই তাঁকে জানিয়েছিলেন।
নেহার আরও দাবি শীতলকে নাকি নানাভাবে উত্যক্ত করত সুনীল। পরে শীতল নাকি জানতে পেরেছিলেন যে সুনীল বিবাহিত ও তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। এরপর থেকে আরও বেশি করে তাঁকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করাতেই বোনকে এরকমভাবে জীবন দিয়ে মূল্য দিয়ে যেতে হল আক্ষেপ নেহার। নেহা আরও জানান রবিবার রাতে দিল্লিতে একটি খালে সুনীলের গাড়ি পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে সুনীলকে উদ্ধার করে আনা সম্ভব হলেও তাঁর বোনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সেখান থেকেই তাঁর সন্দেহ আরও জোরালো হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.