রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: নিম্নচাপের বৃষ্টি ও নদীর জলের স্রোতে আলিপুরদুয়ারের বহু এলাকা বিপর্যস্ত। ভেঙে গিয়েছে বাড়ি। বহু পরিবার এখন ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন। বিপর্যয় কাটিয়ে ছন্দে ফেরার চেষ্টা চলছে। দুর্যোগের কারণে আলিপুরদুয়ার জেলার ৩৩৬ বিঘা জমির সবজি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। টাকার অঙ্কে এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম করে ৪৫ লক্ষ টাকা। জেলা হর্টিকালচার ডিপার্টমেন্টের ক্ষয়ক্ষতির হিসেবে এই তথ্য উঠে এসেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১৩৪০ জন কৃষক।
জেলায় আলিপুরদুয়ার ১ ব্লক, কুমারগ্রাম ব্লক ও মাদারিহাট বীরপাড়া ব্লকে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কুমারগ্রাম ব্লকে ২০০ প্যাকেট ১০ রকম হাইব্রিড সবজির বীজ দিয়েছে হর্টিকালচার ডিপার্টমেন্ট। ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য এলাকাতেও একইভাবে হাইব্রিড সবজির বীজ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। তোর্সা নদীর চরে ব্যাপক বেগুন চাষের ক্ষতি হয়েছে। যেসব কৃষকরা তোর্সা নদীর চরে বেগুন চাষ করে ক্ষতির মুখে পড়েছেন, তারও হিসেব কষছে হর্টিকালচার ডিপার্টমেন্ট। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চর এলাকায় যারা চাষ করেছেন, তাঁদের জমির কোনও কাগজ নেই। এসব কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা ভাবছে ব্লক প্রশাসন। যদিও আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক আর বিমলা বলেন, “আমরা সর্বত্র যেখানে যেমন ব্যবস্থা নেওয়ার নিচ্ছি।”
জানা গিয়েছে যারা অগ্রিম ফুলকপি, বাঁধাকপি চাষ করেছেন তাঁদের সবজির সামান্য ক্ষতি হয়েছে। সেসব জমিতে জলের ঝাপটা দিয়ে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির সমস্যা সমাধানের চেষ্টা শুরু হয়েছে। তবে জেলায় সবজি চাষের ক্ষয়ক্ষতির কারণে এবার বাজারে কালীপুজোর সময় দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করছে বিভিন্ন মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.