বাবুল হক, মালদহ: অকালবৃষ্টির জেরে আলু তোলার আগে জলের তলায় জমি। আর তার ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে মালদহের আলু চাষিরা। বুধবার সকাল থেকে ওল্ড মালদহ ব্লকের মহিষবাথানি গ্রামের আলু চাষিদের মধ্যে কান্নার রোল পড়ে গিয়েছে। জমির জমা জল দেখে হতাশ কৃষকরা। ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের আটমাইল-বলরামপুর এলাকার গ্রামীণ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এই ঘটনার খবর পেয়ে মহিষবাথানি এলাকায় গেলে অবরোধকারীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত কর্তাদের।
অকাল বৃষ্টিতে ডুবে যাওয়া আলুর জমিতে নেমে কান্নায় ভেঙে পড়েন বহু কৃষক। কীভাবে মহাজনের ঋণ শোধ করবেন, তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মহিষবাথান গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কয়েকশো চাষি। তাঁদের বক্তব্য, কয়েকদিন পরেই জমি থেকে আলু তোলার কাজ শুরু করা হত। কিন্তু মঙ্গলবার রাতভর বৃষ্টিতে আলুর জমি ডুবে গিয়েছে। বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। এই অবস্থায় সরকারের সাহায্যের দরবার করেছেন কৃষকরা। পরে অবশ্য ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত কর্তাদের আশ্বাস পাওয়ার পর কৃষকরা অবরোধ তুলে নেন।
মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র জানিয়েছেন, কৃষি দপ্তরকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওল্ড মালদহ ব্লকের সহকারি কৃষি উন্নয়ন আধিকারিক সাইফুল ইসলাম মণ্ডল জানিয়েছেন, অকাল বর্ষণের জেরে মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আলু চাষে ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাটি জানার পর ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ক্ষতিপূরণের একটি রিপোর্ট তৈরি করে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের সাঞ্জাইল, শহরা, ন্যাকরামাড়ি, বাঙ্গাবাড়ি সহ প্রায় ১৫টি গ্রামের বাসিন্দারা আলু চাষের সঙ্গে যুক্ত। এই ব্লকে এবার প্রায় ৩১০০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। কিন্তু অকাল বর্ষণের কারণে ৯০ শতাংশ জমিতে আলুর ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ দু’শো কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তারা মনে করছেন। অধিকাংশ আলু চাষের জমিতে জল জমে গিয়েছে। জলের তলায় আলু ডুবে যাওয়ার কারণে মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.