সুমন করাতি, হুগলি: বিঘার পর বিঘা জমিতে চাষ হয়েছে আলু, শসা। দিব্যি বেড়ে উঠছিল তারা। কিন্তু আচমকাই DVC-র ছাড়া জলে সব শেষ। জলের তলায় চাষের জমি। ফসলের ব্যাপক ক্ষতিতে মাথায় হাত হুগলির পোলবার বহু কৃষকের। কীভাবে লোনের টাকা মেটাবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় তাঁরা।
হুগলির পোলবা থানার মহানাদ পঞ্চায়েতের মেঘসার গ্রামের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বোরো ধান চাষ হয়। তার আশপাশের জমিতে কেউ ফলিয়েছেন আলু। তো কেউ চাষ করেছেন শসা। রবিবার সকালে কৃষকরা মাঠে গিয়ে দেখেন আলু এবং শসার জমি পুরো ভেসে গিয়েছে ডিভিসির ছাড়া জলে। সমবায় থেকে লোন নিয়ে আলু,শসা চাষ করেছিলেন কৃষকরা। ডিভিসির ছাড়া জলে চাষযোগ্য জমি ভেসে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের। কারণ, কীভাবে লোনের টাকা মেটাবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বহু কৃষক। সরকারি সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
ডিভিসির ছাড়া জলে এমন বিপদের কথা শুনে জলে ডোবা চাষের জমি পরিদর্শন করেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান জানান, “ওখানকার চাষিরা আমাদের কাছে এসেছিলেন। আমি শোনামাত্রই ঘটনাস্থলে যাই। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০০ বিঘা। চাষিরা লোন করে আলুর বীজ কিনে চাষ করেন। সেই আলু বিক্রি করে লোনের টাকা শোধ করবেন বলেই পরিকল্পনা করেন। কিন্তু ডিভিসি হঠাৎ করে জল ছেড়ে দেওয়ায় পুরো জমি জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। দেখে যা মনে হচ্ছে একটি আলুও আর বাঁচবে না। চাষিদের বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল। আমি বিষয়টি বিডিওকে জানিয়েছি। জেলাস্তরে কথা বলছেন। কৃষকরা যাতে ক্ষতিপূরণ পান, সে অনুরোধ জানিয়েছি। আমি বিডিওকে অনুরোধ করব একটা সরষে বিমার ক্যাম্প করতে, যাতে কৃষকরা উপকৃত হন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.