Advertisement
Advertisement
North Bengal

তিস্তার চরে পলি জমিতে পোখরাজ আলুর চাষ, ঘুরে দাঁড়ানোর ভাবনা উত্তরবঙ্গবাসীর

জল নামতেই তিস্তা নদীর চর এলাকা জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে আলু ও সবজি চাষের জমি তৈরির কাজ।

North Bengal people to start Pokhraj potato cultivation

ফাইল ছবি

Published by: Sayani Sen
  • Posted:October 15, 2025 3:34 pm
  • Updated:October 15, 2025 3:34 pm   

শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: প্লাবিত একের পর পর এক গ্রাম। ঘরবাড়ি, চাষের খেত তছনছ। কৃষিদপ্তরের প্রাথমিক হিসাব বলছে, ১৩ হাজার হেক্টর কৃষিজমি জলের তলিয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে এক হাজার হেক্টর কৃষি জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত। বেশিরভাগটাই ধান জমি। ক্ষয়ক্ষতির এই হিসাব নিকেশের মাঝেই এক অন্য অঙ্ক খুঁজে পাচ্ছেন তিস্তাপাড়ের কৃষকেরা।

Advertisement

বন্যায় তিস্তার চর জমিতে এসে পড়েছে পলির প্রলেপ। যা চাষের পক্ষে অত্যন্ত সহায়ক। তাতেই আলু ও সবজি চাষের ব্যাপক ফলনের আশা করছেন তিস্তাপাড়ের কৃষকেরা। বর্ষা শেষে এই সময় পোখরাজ প্রজাতির আলুর চাষ হয়ে থাকে তিস্তা নদীর পাড়ে। ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে ফলন চলে আসে। বছরের শেষে বাজারে চলে আসে এই আলু। যা নতুন আলু বা আগুরি আলু হিসাবে বাজারে ভালো দাম মেলে।

তিস্তার এই নরম পলিতে আগুরি আলুর ব্যাপক ফলন হবে বলে আশাবাদী কৃষি দপ্তর। আলু চাষিরাও উৎসাহিত। জল নামতেই তিস্তা নদীর চর এলাকা জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে আলু ও সবজি চাষের জমি তৈরির কাজ। জলপাইগুড়ি কৃষি বিভাগের উপ কৃষি অধিকর্তা সুমিত বসাক জানান, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির হিসাব-নিকেশ চলছে। তিস্তা অঞ্চলে জমিতে প্রচুর পলি এসে জমা হয়েছে। যা চাষের পক্ষে খুবই লাভদায়ক। আলু ও সবজি চাষ ভালো হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের শষ্য বিমার টাকার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি নতুন করে চাষের জন্য বীজ ও অনুখাদ্য দিয়ে সাহায্য করা হবে বলে কৃষি দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ