Advertisement
Advertisement
Nuts farming

আলু-ধানের চেয়ে লাভজনক, বিকল্প বাদাম চাষে মজেছেন চাষিরা

এবার কালবৈশাখীর তাণ্ডব দেখা যায়নি। তাই ফলনও ভাল হয়েছে।

Nuts farming more profitable than potato or paddy
Published by: Paramita Paul
  • Posted:June 14, 2025 1:58 pm
  • Updated:June 14, 2025 1:58 pm  

দেবব্রত দাস, পাত্রসায়ের: বিকল্প বাদাম চাষ করে বিকল্প আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকের জামকুড়ি সহ বেশ কিছু অঞ্চলের চাষিরা। আলু, বোরো ধান চাষে লাভ থাকলেও খরচ বেশি। তাই বাদাম চাষ করেছেন চাষিরা।

এবার কালবৈশাখীর তাণ্ডব দেখা যায়নি। তাই ফলনও ভাল হয়েছে। মুখে হাসি ফুটেছে জামকুড়ি, বরুজপোতা, কান্তোর, নান্দুর, আখড়াশাল গ্রামের চাষিদের। কৃষিদপ্তর ও স্থানীয় চাষিরা জানিয়েছেন, জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে বাদাম বীজ ফেলা হয়। দিন সাতেকের মধ্যে জমিতে ফেলা সেই বীজ থেকে চারা বের হয়। চারা একটু বড় হলে জমিতে জল দেওয়া হয়। এরপর কুড়নি দিয়ে চারার আশপাশের মাটি কুড়ে নরম করে দেওয়া হয়। বাদামের জমিতে মাত্র তিন থেকে চারবার জল দিতে হয়। এক বিঘা জমিতে ১৮-২০ কেজি বীজ লাগে। রাসায়নিক সার বিঘে প্রতি লাগে মাত্র ১০ কেজি। মাত্র চার মাসের মধ্যে বাদাম ফলে যায়। বিঘে প্রতি প্রায় চার কুইন্টাল বাদাম উৎপন্ন হয়। বর্তমানে যার বাজার মূল্য ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা।

বরুজপোতা গ্রামের চাষি শেখ জাহাঙ্গীর, ইফতারুল খান, বিষ্টু মেটে, রহিম হাজারিরা বললেন, “বোরো ধান চাষ করা অনেক খরচ সাপেক্ষ। প্রচুর জলের প্রয়োজন। সাব মার্সিবল থেকে জল তুলে জমিতে দেওয়ার খরচ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তাই আমরা জমিতে বাদাম চাষ শুরু করেছি।” পাত্রসায়ের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সুব্রত দত্ত বলেন, “জামকুড়ি অঞ্চলের বেশ কিছু মৌজায় এবার বোরোর বিকল্প হিসাবে বাদাম চাষ হয়েছে। আগামী দিনে এই বাদাম চাষ পাত্রসায়ের ব্লক জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে ও চাষিরা উৎসাহী হবেন বলে আমরা আশাবাদী।” বিষ্ণুপুর মহকুমা কৃষি আধিকারিক সুব্রত কর্মকার বলেন, “বাদামের দামও এখন উর্ধ্বমুখী। বিকল্প চাষ হিসাবে বাদাম চাষ আগামী দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement