বাবুল হক: গঙ্গার ভুতনির চর মানেই সুগন্ধি সোনামুগ আর দেশি প্রজাতির কলাই ডাল। পাশের গদাই চরেরও নামডাক রয়েছে কলাই চাষের জন্য। কিন্তু মালদহের সেই কলাই আর সোনামুগ ডাল দিনের পর দিন ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। সোনামুগ ও দেশি প্রজাতির কলাই ডাল চাষে জেলার বাইরে যথেষ্ট সুনাম ছিল মালদহের। অভিযোগ, কৃষকদের কোনও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় গুণগত মান কমছে এই দুই প্রজাতির ডালের। বাজারে চাহিদাও কমছে। কৃষকদের পালটা অভিযোগ, তাঁদের কোনও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় না। ফলে খেয়াল খুশি মতো কীটনাশক প্রয়োগের ফলে স্বাদ নষ্ট হচ্ছে সোনামুগ ও দেশি কলাই ডালের।
মালদহ জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গা ও ফুলহার নদীর চর এলাকায় উন্নত মানের সুগন্ধি সোনামুগ ডাল ও দেশি প্রজাতির কলাই ডালের চাষ হয়। সোনামুগ ডাল সব থেকে বেশি চাষ হয় মানিকচক সংলগ্ন ভুতনি চর, রতুয়া-১ নম্বর ব্লকের বিলাইমারি চর, মহানন্দাটোলা চর এবং ইংলিশবাজার ও কালিয়াচক-৩ ব্লকের নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলিতেও সোনামুগ ডালের চাষ হয়। জেলাতে ২৫০-২৬০ বিঘা জমিতে সোনামুগ ডালের চাষ হয়। বিঘা প্রতি সোনামুগ ডাল উৎপাদন হয় ৬০-৭০ কেজি। সোনামুগের মতো দেশি প্রজাতির কলাই ডালেরও সুনাম রয়েছে। গত বছর ১২ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন কলাই ডাল চাষ হয়েছিল। তার মধ্যে ৩৫ শতাংশ ছিল দেশি প্রজাতির কলাই।
তবে সম্প্রতি জেলার এই দুই প্রজাতির ডালের গুণগত মান কমছে বলে জানিয়েছেন কৃষি দপ্তরের কর্তারাই। কেন্দ্রীয় খাদ্য সুরক্ষা মিশনের প্রকল্পে এই দুই ডালের গুণগত মান বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সোনামুগ ও কলাইয়ের স্বাদকে বাঁচিয়ে রাখতে মালদহ জেলা কৃষি দপ্তরের তরফে গঙ্গার চরগুলিতে কৃষকদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি তাঁদের বীজ, আগাছানাশক ও কীটনাশক প্রভৃতি দেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.