বৃষ্টিতে নষ্ট জমির ধান। নিজস্ব চিত্র
সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: হাঁসফাঁস অবস্থা থেকে সাময়িক স্বস্তি। শনিবার রাতের ঝড়বৃষ্টি কিছুটা অস্বস্তির গরম কমিয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। কিন্তু রাতের বৃষ্টিতে মাথায় হাত নদিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার ধানচাষিদের। ভরা বৈশাখে মাঠের সোনার ফসল ফলেছিল। পাকা সেই ধান ঘরে তোলার কথা ছিল। তার আগেই প্রবল ঝড় ও বৃষ্টিতে প্রবল ক্ষতি হয়ে গেল। মাঠেই নষ্ট হল বিঘের পর বিঘে জমির পাকা ধান। কয়েক ঘণ্টার ঝড়বৃষ্টিতে লক্ষ লক্ষ টাকার ধান নষ্ট হয়েছে বলে খবর।
প্রবল গরমের মধ্যেই শনিবার রাতে ঝড়বৃষ্টি হয় দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়। নদিয়া জেলার শান্তিপুর, চাপড়া, করিমপুর, কৃষ্ণগঞ্জ ,হাঁসখালি-সহ একাধিক জায়গায় ভারী বৃষ্টি ও ঝড় হয়েছে। তারই জেরে মাঠের পাকা ধানের বহুল ক্ষতি হয়েছে বলে খবর। আজ রবিবার ভোরে চাষের জমিতে গিয়ে মাথায় হাত দিয়েছেন চাষিরা। অনেকেই সর্বশান্ত হয়ে গেলেন। এমনও বলেছেন চাষিদের অনেকে। জানা গিয়েছে, কিছু দিনের মধ্যেই ওইসব এলাকার জমির ধান কাটার কথা ছিল। বহু জমির ধান কাটাও শুরু হয়েছিল। গতকালের বৃষ্টি সেই সব ধানেরই ক্ষতি করেছে।
শান্তিপুর ,চাপড়া, তেহট্ট, করিমপুর, কৃষ্ণগঞ্জ ,হাঁসখালি থেকে শুরু করে একাধিক এলাকায় বহু কৃ্ষক ধান চাষ করেন। আর সেই ধান তোলার পর চাল তৈরি হয়। অনেকক্ষেত্রেই সারা বছরের জন্য ধান গোলায় তুলে রাখা হয়। গতকালের বৃষ্টি ও ঝড়ে জমিতেই কার্যত শুয়ে পড়েছে গাছগুলি। অনেক জায়গায় জমিতে গাছ প্রায় অর্ধেক মুড়ে গিয়েছে। বহু জায়গায় ধান জমিতেই পড়ে রয়েছে। ধান ভিজে যাওয়ায় সেসব দ্রুত কেটে নেওয়ার কাজ শুরু করতে হবে। এখন বিপুল টাকা খরচ করে সেই ধান কাটতে হবে। সেই কথাও জানাচ্ছেন চাষিরা। ভিজে যাওয়া অনেক ধান পচে যাওয়ার আশঙ্কাও করছেন অনেকে। তার মধ্যেই ফের ঝড়বৃষ্টি হলে আরও সমস্যা দেখা দেবে। সেই আশঙ্কাও করা হয়েছে। অনেকেই এই ধান নিজেদের সারা বছরের খাওয়ার জন্য মজুত করতে রাখেন। জমির ধান নষ্ট হওয়ায় ভাঁড়ারে আগামীর সঞ্চয়েও ধাক্কা লাগবে। সেই কথাও বলা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.