Advertisement
Advertisement
Darjeeling Tea

দার্জিলিংয়ে চা উৎপাদন কমেছে ১০ শতাংশের বেশি! শঙ্কায় বণিকসভা

শুধু তাই নয়, অর্থোডক্স ও সিটিসি চা দেশের বাজারে দাম পাচ্ছে না।

Tea production in Darjeeling has decreased by more than 10 percent
Published by: Suhrid Das
  • Posted:August 1, 2025 9:16 pm
  • Updated:August 1, 2025 9:16 pm   

বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: দার্জিলিং চায়ের সমাদর বিশ্বমহলে। কিন্তু সেই চায়ের উৎপাদনই এবার কমতে শুরু করেছে বলে খবর। একদিকে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা, অন্যদিকে বাগানে পোকার আক্রমণে ফলনে ধাক্কা দেখা দিচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে গরমে জলের অভাবে শুকিয়ে গিয়েছে দুটি পাতা একটি কুঁড়ি। তথ্য বলছে এক বছরে ১০ শতাংশের বেশি চায়ের উৎপাদন কমেছে।

Advertisement

২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত দেশে চা উৎপাদন গত বছরের তুলনায় ২৫.৭৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে দার্জিলিং চা উৎপাদন ১০.৩৪ শতাংশ কমেছে। শুধু তাই নয়, অর্থোডক্স ও সিটিসি চা দেশের বাজারে দাম পাচ্ছে না। অন্যদিকে, কেনিয়া এবং নেপাল থেকে চায়ের আমদানি বেড়েছে। চা পর্ষদের ওই রিপোর্ট ঘিরে রীতিমতো আতঙ্কের ছায়া চা বণিকসভা মহলে। কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এভাবে চলতে থাকলে চা শিল্প ধ্বংস হতে বাধ্য।”

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত দেশজুড়ে চা উৎপাদন হয়েছে ৩৩৬.২২ মিলিয়ন কেজি। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে মে মাসের মধ্যে চা উৎপাদন ছিল ২৬৭.৩৬ মিলিয়ন কেজি। চা পর্ষদের দাবি, চা উৎপাদনে ২০২৪ সালের তুলনায় উন্নতি ঘটেছে। কিন্তু ২০২৩ সালের তুলনায় উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। সেটার জন্য মূলত প্রতিকূল আবহাওয়া দায়ী। ২০২৩ সালের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে বৃহৎ বড় চা বাগানের উৎপাদন ১২.৮৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এদিকে দার্জিলিং চা উৎপাদনের ক্ষেত্রে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে মে মাসের মধ্যে ১.৩৪ মিলিয়ন কেজি উৎপাদন হয়েছে। ২০২৩ সালে একই সময়ের মধ্যে ১.৪৭ মিলিয়ন কেজি উৎপাদন হয়েছিল। স্বভাবতই ২০২৫ সালে ঘাটতির পরিমাণ ১৮.২৪ শতাংশ হতে পারে। দামের দিক থেকে, ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের শেষের দিকে ডুয়ার্স ও তরাইয়ে উৎপাদিত চায়ের দাম ৯.৫ শতাংশ কমেছে।

জানুয়ারি মাস থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত চলতি বছরে মোট চা রপ্তানি হয়েছে ৮৫.৭৭ মিলিয়ন কেজি চা। ২০২৪ সালে ছিল ৮৫.৯৫ মিলিয়ন কেজি। অর্থাৎ ০.১৮ মিলিয়ন কেজি রপ্তানি কমেছে। এদিকে দেশের বাজারে উৎপাদিত চায়ের দাম না মিললেও চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ভারতে ৯.৮৬ মিলিয়ন কেজি চা আমদানি হয়েছে। ২০২৪ সালে ছিল ৫.১২ মিলিয়ন কেজি। কেনিয়া থেকে চায়ের আমদানি দ্বিগুণ হয়েছে। ছিল ২.০৫ মিলিয়ন কেজি। হয়েছে ৪.২৬ মিলিয়ন কেজি।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ