সাবির জামান, লালবাগ: রেশম চাষে মুর্শিদাবাদের কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে উদ্যোগী কেন্দ্রীয় সরকারের বস্ত্র মন্ত্রক। রবিবার কেন্দ্রীয় রেশম পর্ষদের আয়োজনে নবগ্রাম থানার সাহেব নগরে অনুষ্ঠিত হয় পলু চাষের সাধারণ সমস্যা ও ব্যবহারিক সমাধানের লক্ষ্যে এক বিশেষ শিবির। ‘আমার রেশম, আমার অহঙ্কার’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন রেশম বিজ্ঞানী ড. রাহুল কে এবং টেকনিক্যাল সহযোগী সঞ্জয়কুমার মণ্ডল। ড. রাহুল কে বলেন, “এখানকার রেশম চাষিরা অত্যন্ত দক্ষ এবং পারদর্শী। এঁরা প্রযুক্তিগত সাহায্য পেলেই রেশম চাষে একটা পরিবর্তন আনতে পারবেন। চাষিদের আমরা সেই সহায়তা দিতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছি।” আগের তুলনায় নবগ্রামে রেশম চাষ বেড়েছে বলে দাবি করেন সঞ্জয়কুমার মণ্ডল।
রেশম উৎপাদনে জেলার খ্যাতি শুধুমাত্র দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল তাই নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মুর্শিদাবাদের রেশমের গরিমা ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু উপযুক্ত পরিকাঠামো এবং পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে সেই গরিমা কিছুটা ম্লান হলেও আজও জেলার রেশম শিল্প দেশ ও বিদেশের নানা মহলে প্রশংসিত হয়, সেই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা লাভ করে। ফলে অতীত ঐতিহ্য ফিরে পেতে ও বাণিজ্যিক প্রসার বাড়াতে তৎপর কেন্দ্রীয় সরকারের বস্ত্র মন্ত্রক। এবার কেন্দ্রীয় রেশম পর্ষদকে কাজে লাগিয়ে জেলার রেশম চাষে গতি আনতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দেশের বস্ত্র মন্ত্রক।
এদিন আলোচনার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল তুঁত চাষ পদ্ধতি, তুঁতে কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনা, রেশম পোকা পালন কৌশল, জীবাণুমুক্তকরণ প্রযুক্তি এবং মৌলিক রিলিং পদ্ধতি। এই ব্যাপারে রেশম চাষি নওসাদ শেখ, জিয়াউদ্দিন হক বলেন, “শুধু আলোচনা নয়। রীতিমতো মাঠে গিয়ে হাতে কলমে রেশম চাষের আধুনিক ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তিগত কৌশল এবং ব্যবহারিক সমাধানের বিষয়গুলোও বোঝানো হয়।”এর ফলে রেশম চাষিরা গতানুগতিক চাষের বাইরে গিয়ে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রয়োগ করবেন বলে দাবি করেছেন রেশম পর্ষদের বিশেষজ্ঞরা। স্বাভাবিকভাবে রেশম চাষে অধিক উৎপাদনশীলতা ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে চাষিদের বলেও দাবি করেছেন রেশম পর্ষদের বিশেষজ্ঞ দল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.