সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র ১১ বছর বয়সেই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করে নজির গড়ল হায়দরাবাদের ‘বিস্ময় বালক’ অগস্ত্য জয়সওয়াল। ইউসুফগুডার সেন্ট মেরি জুনিয়র কলেজের ছাত্র অগস্ত্য ৬৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে পরীক্ষায় পাস করেছে। গোটা রাজ্যে তার বয়সি আর কেউ এই কীর্তি অর্জন করতে পারেনি, জানিয়েছেন অগস্ত্যর বাবা অশ্বিনী কুমার। তেলেঙ্গানা এসএসসি বোর্ডের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে চলতি বছরের মার্চ মাসে পরীক্ষায় বসেছিল অগস্ত্য। গত রবিবারই পরীক্ষার ফল বেরিয়েছে। ইন্টারমিডিয়েট এডুকেশন বোর্ডের এক আধিকারিক বলেন, ‘যদি কেউ পরীক্ষায় বসতে চায় তাহলে তাঁকে কেবল বিষয়, কোন মাধ্যমে পরীক্ষা দেবে এবং দ্বিতীয় ভাষা কী সেই তথ্যগুলিই দিতে হয়। বয়সের ব্যাপারে তথ্য জানানোর প্রয়োজন পড়ে না।’
ছোটবেলা থেকে মেধাবী অগস্ত্য রপ্ত করেছে অর্থনীতি, বাণিজ্যের সিলেবাসও৷তবে নজির গড়েই ক্ষান্ত থাকতে চায়না সে। যেখানে বাকি সব মেধাবি ছাত্ররা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পথে দৌড়চ্ছে, সেখানে অগস্ত্য হতে চায় আইএএস অফিসার৷ সে জানাচ্ছে, পরীক্ষার সময় সে যে প্রচণ্ড পড়াশোনা করে এরকমটা নয়৷ কিন্তু কোন প্রশ্নে কী উত্তর হবে তা সে বুঝতে পারে ও তাই লেখে৷ তবে এই বয়সেই দেশের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করবে বলে স্বপ্ন দেখেছে অগস্ত্য৷ বিস্ময়ের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের দেদার প্রশংসাও তাই এই মুহূর্তে তার সঙ্গী৷
Hyderabad: 11-yr old Agastya Jaiswal clears XII exam, says with regular pratice&respect for teachers you can do everything;aims to be doctor
— ANI (@ANI_news)
হায়দরাবাদের এই জয়সওয়াল পরিবারই বিস্ময়ের৷ এ বাড়িরই মেয়ে নয়না জয়সওয়াল৷ সবথেকে কম বয়সের খেলোয়াড় হিসেবে পিএইচডি করার কৃতিত্ব আছে তার৷ নয়নারই ভাই অগ্যস্ত৷ আট বছর বয়সেই সে উত্তীর্ণ হয়েছে মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষায়৷ এবার ১১ বছরে বসল দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষাতেও৷ ভাইয়ের পড়াশোনার পুরো কৃতিত্বই অবশ্য মা-বাবাকে দিয়েছেন নয়না৷ জানিয়েছেন, তাঁদের প্রশিক্ষণই আজ ইতিহাসে নতুন পাতা যোগ করেছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.