সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেঘভাঙা বৃষ্টি, ভূমিধসে নাজেহাল উত্তরাখণ্ড-হিমাচল। বিদায়বেলায় আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠেছে বৃষ্টি। যার জেরে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি নিখোঁজ অন্তত ২০ জন। চলতি সপ্তাহে নতুন করে ভারী বৃষ্টির জেরে উপচে পড়েছে নদীগুলি। ভূমিধসে ধুলিসাৎ বহু বাড়ি, ভেঙেছে রাস্তাঘাট।
প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, রাতভর ভারী বৃষ্টির জেরে উত্তরাখণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। পাশাপাশি নিখোঁজ হয়েছেন আরও ১৬ জন। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নেমেছে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং ফায়ার ব্রিগেড। ৯০০ জনের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা দেরাদুনের। এখানেই মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। অন্যদিকে হিমাচলপ্রদেশেও হাল বেহাল। সেখানে মান্ডি জেলার ব্রাগতা গ্রামে ভূমিধসের জেরে বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হয়েছে একই পরিবারের তিন সদস্যের। হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে ধর্মপুরের প্রধান বাসস্ট্যান্ড। ভেসে গিয়েছে একাধিক গাড়ি। বিপুল ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি চারজন নিখোঁজ হয়েছেন বলে খবর।
প্রাণহানির পাশাপাশি লাগাতার বৃষ্টি জেরে অত্যন্ত খারাপ অবস্থা হিমালয়ের এই দুই রাজ্যের। দেরাদূনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল। সেখানেও শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতি জানতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিকেও ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বেশিরভাগ রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। রিপোর্ট বলছে, এই বর্ষার মরশুমে এখনও পর্যন্ত ২৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে শুধুমাত্র হিমাচলে। এই রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৫০০ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য দিয়েছে কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, গত বছরের মতোই এবছরও প্রকৃতির রুদ্ররোষে পড়েছে হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ অংশ। গত ৭ জুন থেকে ৩ আগস্টের মধ্যে হিমাচলে শুধুমাত্র বৃষ্টির জেরে প্রাণ গিয়েছে ৭৯ জনের। ৩১ জুলাই রাতের হড়পা বানে কুলুর নির্মান্দ, মালানা, মান্ডির পাধার, শিমলার রামপুরে অন্তত আট জনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, কিছুদিন আগেই উত্তরাখণ্ডের ধারালি এলাকায় হড়পা বানে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে বিস্তর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.