সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাসিক সংশোধনাগারে মৃত্যু হল ১৯৯৩ সালের মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণ () কাণ্ডে দোষী ইউসুফ মেমনের। শুক্রবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মেমনের মৃত্যু বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করে বলা যাবে না বলেই দাবি তদন্তকারীদের।
১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ মুম্বইয়ে ধারাবাহিকভাবে বোমা বিস্ফোরণ হয়। দুপুর দেড়টা থেকে তিনটে চল্লিশ মিনিট পর্যন্ত চলে বোমা বিস্ফোরণ। ২ ঘণ্টা ১০ মিনিটে বাণিজ্যনগরীর বিভিন্ন প্রান্তে অন্তত ১৩টি বোমা বিস্ফোরণ হয়। তাতে প্রাণ হারান ২৫৭ জন। কম বেশি জখম হন অন্তত ১৪০০ জন। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মুম্বইবাসী।
এই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত ছিল মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম এবং তার সহযোগী টাইগার মেমন এবং ইউসুফ মেমন। বাণিজ্যনগরীর কুখ্যাত গ্যাংস্টার টাইগার মেমনেরই ছোট ভাই ইউসুফ। ইউসুফের আরেক ভাই ইয়াকুব মেমন এবং ইসাক মেমনও যুক্ত ছিল। বিস্ফোরণের পর দাউদ এবং টাইগার মেমন বিদেশে পালিয়ে যায়। তবে ইউসুফের ভাই ইয়াকুব মেমন মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়। প্রায় পাঁচ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৫ সালেই তার ফাঁসি হয়। মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় ২০০৭ সালে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ইউসুফকে। তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল আদালত। প্রথমে মুম্বইয়ের আর্থার রোড সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল তাকে। তবে ২০১৮ সাল থেকে নাসিক সংশোধনাগারে রাখা হয় ইউসুফকে। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ওই সংশোধনাগারেই মৃত্যু হয় তার। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ইউসুফের। তবে তার দেহ ধুলেতে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে আসার পরই নিশ্চিতভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। ইউসুফের ভাই ইসাক মেমন এখনও নাসিকের সংশোধনাগারেই বন্দি রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.