Advertisement
Advertisement

নতুন বছরের শুরুতেই রক্তাক্ত কাশ্মীর, অনুপ্রবেশ রুখতে গিয়ে শহিদ ২ জওয়ান   

'কর্ডন অ্যান্ড সার্চ' অপারেশন শুরু করেছে সেনা।

2 Army jawans martyred in Kashmir's Nowshera encounter
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 1, 2020 10:36 am
  • Updated:January 1, 2020 10:37 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতেই রক্তাক্ত উপত্যকা। বুধবার, জম্মু ও কাশ্মীরের নৌসেরা সেক্টরে অনুপ্রবেশ রুখতে গিয়ে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন দুই জওয়ান। নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। 

Advertisement

সেনা সূত্রে খবর, বুধবার ভোররাতে নৌসেরা সেক্টরে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে জঙ্গিরা। নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন রাজৌরি জেলার নৌসেরা সেক্টরে খারি থারায়ত জঙ্গলে প্রবেশ করে সন্ত্রাসবাদীরা। তারপরই ‘কর্ডন অ্যান্ড সার্চ’ অপারেশন শুরু করে সেনা। তল্লাশি চলাকালীন জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জেহাদিরা। জবাব দেন নিরাপত্তারক্ষীরাও। শেষ প্রাপ্ত খবরের মতে, সংঘর্ষে শহিদ হয়ছেন দুই জওয়ান। গোটা এলাকা ঘির ফেলে সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। নৌসেরায় অনুপ্রবেশের জন্য পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের লঞ্চপ্যাডগুলিতে জঙ্গিদের জমায়েতের খবর আগেই দিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সেইমতো এদিন অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। 

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই উত্তর-কাশ্মীরের উরি সেক্টরে মর্টার হামলা চালায় পাকিস্তানি ফৌজ। ভারী মেশিনগান থেকে ভারতীয় সেনার পোস্ট লক্ষ্য করে অবিরাম গুলি চালাতে থাকে পাক রেঞ্জার্সরা। শুধু তাই নয়, সীমান্তে ভারতের গ্রামগুলিকে লক্ষ্য করে গোলা ছুঁড়ে পাক বাহিনী। ওই হামলায় শহিদ হন এক ভারতীয় জওয়ান। নিহত হন তিন সাধারণ নাগরিক। পাক হামলায় আতঙ্ক ছড়ায় সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে। অনেকেই বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। এবার ফের জেহাদিদের দিয়ে কাশ্মীরে নাশকতা ঘটাতে চাইছে পড়শি দেশটি। সদ্য, কাশ্মীর ৭ হাজার সেনাকর্মীকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তারপরই এই সুযোগ কাজে লাগতে চাইছে পাক বাহিনী বলে আশঙ্কা করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।     

[আরও পড়ুন: কেরলের জেহাদিরা মদত পাচ্ছে তুরস্ক-দুবাই থেকে, রিপোর্ট তলব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement