Advertisement
Advertisement
Nagpur

বার্ড ফ্লুর ‘শিকার’ বাঘ, ৩ শার্দূল ও চিতার মৃত্যুতে ‘লাল সতর্কতা’ নাগপুরে

ওই উদ্ধারকেন্দ্রে বর্তমানে ২৬টি চিতাবাঘ ও ১২টি বাঘ রয়েছে।

3 tigers and leopard die due to bird flu at Nagpur rescue centre
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:January 5, 2025 4:31 pm
  • Updated:January 5, 2025 4:31 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বার্ড ফ্লুর ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বাঘের! মহারাষ্ট্রের নাগপুরে ৩টি বাঘ ও একটি চিতার মৃত্যুতে প্রকাশ্যে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। মৃত্যুর কারণ নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় ল্যাবে নমুনা পাঠানো হয়েছিল গত ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে। সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর জানা যায়, প্রাণীগুলির মৃত্যুর কারণ বার্ড ফ্লু। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

Advertisement

গত বছর ডিসেম্বর মাসে নাগপুরের গোরেওয়াড়া প্রাণী উদ্ধারকেন্দ্রে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আনা হয়েছিল তিনটি বাঘ ও একটি চিতাকে। পৃথক পৃথক জায়গায় মানুষের উপর হামলার ঘটনার পর উদ্ধার করা হয়েছিল প্রাণীগুলিকে সেখান থেকে চন্দ্রপুর হয়ে নাগপুরে আনা হয় বাঘগুলি। চিকিৎসা চলাকালীন গত ২০ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় একটি বাঘের ২৩ ডিসেম্বর আরও দুটি বাঘ মারা যায়। মৃত্যুর কারণ জানতে বাঘগুলির নমুনা পাঠানো হয়েছিল ভোপালে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাই সিকিউরিটি অ্যানিমাল ডিজিজেস (NISHAD)-এ। ১ জানুয়ারি সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতে জানা যায়, বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছিল তারা।

কীভাবে বাঘগুলি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হল, এবং কোথা থেকে সংক্রণ ছড়াল তা খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে গোটা মহারাষ্ট্রে। পাশাপাশি উদ্বেগের আরও একটি বড় কারণ হল ওই উদ্ধারকেন্দ্রে বর্তমানে ২৬টি চিতাবাঘ ও ১২টি বাঘ রয়েছে। তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তায় কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পর সবকটি পশুর শরীরের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। যদিও ওই ৩৮টি বাঘই সুস্থ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বন্য মাংসাশী প্রাণীদের মধ্যে বার্ড ফ্লু সংক্রামিত হয় সাধারণত তাদের শিকার করা কাঁচা মাংস খাওয়ার ফলে। এক্ষেত্রেও তেমনটা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement